শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের বর্তমান জনজীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে এর ভূমিকা অনেক বেশি। শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার কি কি সেই সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেল মন দিয়ে পড়ুন। 
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার
শিক্ষা ক্ষেত্রে যোগাযোগ প্রযুক্তি এমন কিছু বিপ্লব এনেছে যেটা হয়তো আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না। তবে আজকের আর্টিকেল যদি আপনি মন দিয়ে পড়েন তাহলে বিষয়গুলো সুন্দরভাবে জানার পরে আপনি বিশ্বাস করতে বাধ্য। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার 

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার 

বর্তমান সময়ে প্রায় প্রতিটি কাজে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা অনেক বেশি। সে দিক থেকে শিক্ষাক্ষেত্রেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পিছিয়ে নেই, বরং দিন দিন শিক্ষাক্ষেত্রে এটি ব্যাপকভাবে আমাদের পড়াশোনাকে উন্নত করছে। এখন আমরা জানবো আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৫ টি ব্যবহার সম্পর্কে। 

১। অনলাইন শিক্ষা বা ই-লার্নিংঃ বর্তমান সময়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে ই লার্নিং পদ্ধতি সবচেয়ে সেরা একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন কোর্স থেকে শুরু করে নোট এবং পরীক্ষার দিয়ে নিজের উন্নতি সাধন করতে পারে। তার জন্য শহরে কিংবা 

গ্রামে যে কোন শিক্ষার্থী ঘরে বসেই মানসম্মত শিক্ষা পেতে পারে। এতে করে যেমন আর্থিক খরচ কম হয় ঠিক তেমনি শিক্ষার্থীরা সুবিধা মত ক্লাস করতে পারে। আর এই ই-লার্নিং পদ্ধতির জন্য সবচেয়ে সেরা প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব, ফেসবুক অথবা গুগল ক্লাসরুম এর মত সেরা প্ল্যাটফর্ম। 

২। ভার্চুয়াল ক্লাসরুমঃ ডিজিটাল এই দেশে পড়াশোনা কে অনেক বেশি উন্নত করার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বাড়ানোর জন্য ভার্চুয়াল ক্লাসরুম ও মাল্টিমিডিয়া ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেটা শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির একটি বড় বিপ্লব। এতে করে শিক্ষার্থীরা বই পড়ার পাশাপাশি প্রজেক্টর, 

অডিও ভিডিও টুল কিংবা 3D মডেল ব্যবহার করে ভিডিওর মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে মনোযোগের সহিত ক্লাস করতে পারে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা যেমন কঠিন বিষয় সহজে বুঝতে পারে ঠিক তেমনি মজার সাথে ক্লাসগুলো করতে পারে। তবে ভার্চুয়াল ক্লাসরুমের জন্য ইউটিউব একটি সেরা প্ল্যাটফর্ম। 

৩। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাঃ পড়াশোনার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ AI বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা এবং চাহিদা খুব সুন্দরভাবে বুঝে তাদের জন্য সেরা পড়াশোনার উপায় তৈরি করে দিতে সক্ষম হয়েছে।যেটা আমাদের মত শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বেশি সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করে। আমাদের মধ্যে কোন শিক্ষার্থী যদি পড়াশোনায় দুর্বল হয়, তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেটি খুব সুন্দরভাবে বুঝে 

তার জন্য সেরা ভাবে বিশেষ কোর্স সাজিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মনে পড়াশোনা বিষয়ক যত কঠিন প্রশ্নই থাকুক না কেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেটা খুব সুন্দর করে সহজ ভাষায় সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম। তাই বলা যায় শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার এর মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অধিক কার্যকারী। যার সাহায্য নিয়ে আমরা আমাদের পড়াশোনার উন্নতি ঘটাতে পারবো। 

৪। গেমিফিকেশন বা খেলতে খেলতে শেখাঃ বর্তমানে এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে পড়াশোনা যে শুধুমাত্র ক্লাসে কিংবা বাড়িতে বই পড়ে, অনলাইন ক্লাস করে কিংবা ভিডিও দেখার মাধ্যমে করা সম্ভব এমনটি নয়, বরং গেম খেলার মাধ্যমেও শিক্ষার্থীরা বর্তমানে পড়াশোনার উন্নতি ঘটাতে পারে। কিন্তু সেটা কিভাবে ? 

Duolingo বা Kahoot নামের জনপ্রিয় কিছু অ্যাপ রয়েছে যেটার সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। এই অ্যাপ দুটি ব্যবহার করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভাষা শেখা সহ তাদের পড়াশোনার জন্য অনেক সহায়তা পেয়ে থাকে। আর তার জন্য এখানে প্রতিটি লেভেল পার করতে হয় এবং মাঝে মাঝে কিছু কুইজ বা গেম থাকে যেগুলো খেলে শিক্ষার্থীরা আনন্দিত হয় এবং পড়ার প্রতি আরো বেশি মনোযোগী হয়ে উঠে। 

৫। শিক্ষার জন্য প্রোগ্রামিংঃ html কোডিং পদ্ধতি শিক্ষাক্ষেত্রে এমন এক বিপ্লব ঘটিয়েছে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে যেমন খুব সহজে মানিয়ে নিতে পারি ঠিক তেমনি ভবিষ্যতের জন্য নিজের ক্যারিয়ার খুব সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারে। কেননা এই কোডিং এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়াতে পারে। 

পাশাপাশি কোডিং এর মাধ্যমে ভালো স্কিল অর্জন করে একজন শিক্ষার্থী পরবর্তীতে রোবট কিংবা আধুনিক বিশ্বে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি তৈরি করতে সক্ষম। যেটা প্রযুক্তি বিষয়ক দামি চাকরির জন্য প্রস্তুত করবে এবং ক্যারিয়ারের উন্নতি ঘটাবে। 

শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্লাটফর্মের ভূমিকা

শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্লাটফর্ম এর ভূমিকা কেমন এটা জানার পূর্বে আমাদের জানতে হবে ডিজিটাল প্লাটফর্ম আসলে কি? ডিজিটাল প্লাটফর্ম মূলত অনলাইন এর মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করা, ই লার্নিং অ্যাপ, ডিজিটাল লাইব্রেরি ও পরীক্ষার অনলাইন মূল্যায়ন ব্যবস্থার মতো কিছু প্লাটফর্ম কে বোঝায়। 

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভূমিকা রয়েছে। সে সকল ভূমিকা গুলো নিচে পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করা হবে। 

  • ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আমরা যেকোনো সময় যে কোন স্থান থেকে পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে থাকে। 
  • ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে ক্লাস রেকর্ডেড থাকায় অনলাইনে আমরা একটি ক্লাস একাধিক বার করতে পারি। 
  • আমাদের পড়াশোনায় সাহায্য করে এমন বিভিন্ন সাবজেক্টের নোট আমরা ডিজিটাল লাইব্রেরী থেকে ফ্রিতে সংগ্রহ করে পড়তে পারি। 
  • দেখা গেছে আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা অতিরিক্ত খরচের জন্য ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারে না। তাদের জন্য কম খরচে এবং ফ্রিতেও ক্লাস করা সম্ভব হচ্ছে শুধুমাত্র ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে। 
  • পড়াশোনা প্রতি আমাদের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য ডিজিটাল প্লাটফর্মের এমন কিছু গেম রয়েছে যার মাধ্যমে আমরা আনন্দের সাথে পড়াশোনা করতে পারি। 
  • আমাদের মত শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত শেখার অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি খুব সহজেই ব্যবহার করে সবকিছু জানা সম্ভব হচ্ছে। 

শিক্ষার্থীদের জন্য স্মার্ট ডিভাইসের সুবিধা কি

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মানকে এবং শেখার অভিজ্ঞতাকে উন্নত করার জন্য বেশ কিছু স্মার্ট ডিভাইস রয়েছে যেগুলো শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে স্মার্ট ফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ বা স্মার্টবোর্ড পড়াশোনা কে এতটা সহজ করে তুলেছে যে, শিক্ষার্থীরা খুব সহজে নিজের দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হচ্ছে। এখন আমরা জানবো শিক্ষার্থীদের জন্য এ সকল ডিভাইসের কি কি সুবিধা রয়েছে। 
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার
  • পাঠ্য বইয়ের কোন বিষয়ে যদি শিক্ষার্থীরা কনফিউজড হয়ে যায় কিংবা বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করে ভিডিও দেখার মাধ্যমে কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে খুব সহজেই সেই বিষয়ের সমাধান করে ফেলতে পারে। 
  • নিজের পড়াশোনা কে আরও সহজ করার জন্য শিক্ষার্থীরা গুগল কিংবা অনলাইন লাইব্রেরী থেকে সহজ তথ্য বিশিষ্ট বই খুঁজে পড়তে পারে। 
  • স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজ এর ক্লাসরুমের বাইরেও গুগল মিট কিংবা জুম অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাস করে নিজের পড়াশোনাকে উন্নত করতে পারে। 
  • পড়াশোনার জন্য যতগুলো নোট গাইড কেনা লাগে, স্মার্ট ডিভাইস আসার ফলে এসব আর কেনার প্রয়োজন হয় না। কেননা ই-বুক এবং ডিজিটাল লাইব্রেরীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের মনমতো নোট গাইড ফ্রিতে কিংবা অল্প খরচে ডাউনলোড করে পড়তে পারে। 
  • পড়াশোনার জন্য আমাদের মত শিক্ষার্থীদের কিছু এসাইনমেন্ট তৈরি করে জমা দেওয়া লাগে।আর স্মার্ট ডিভাইস অর্থাৎ ল্যাপটপ ব্যবহার করে হাতের লেখার পরিবর্তে সেটার মাধ্যমে খুব সহজেই অ্যাসাইনমেন্ট লিখে সেটা সংগ্রহ করা যায়। 

ডিজিটাল লাইব্রেরি ফ্রিতে ব্যবহার করার উপায়

ডিজিটাল লাইব্রেরী আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে কথাটা গুরুত্বপূর্ণ এটা আমরা প্রায় সকলেই জানি। যেখানে স্বল্প খরচে নিজের চাহিদার মত বই কিনে পড়া যায়। তবে আমরা চাইলে ফ্রিতেও ডিজিটাল লাইব্রেরী থেকে মন মত বই পড়তে পারবো। আমরা এখন জানবো শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার এর মধ্যে ডিজিটাল লাইব্রেরি ফ্রিতে কিভাবে ব্যবহার করা যায় সেই উপায় সম্পর্কে। 

Google Books: গুগল বুকস নামে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে সাহিত্য ইতিহাস বিজ্ঞান প্রযুক্তি ভাষা শিক্ষা ইত্যাদি সহ আরো বিভিন্ন রকমের বই রয়েছে যেসব সম্পূর্ণ ফ্রিতে পাওয়া যায়। এই সকল বইগুলো পাওয়ার জন্য প্রথমে যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করে 

books.google.com লিখে সার্চ করে সেই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি যে বই নিতে চান সেই বই সার্চ করতে হবে। এরপরে সেখানে ফিল্টার নামে একটি অপশন রয়েছে যেখানে ক্লিক করে ফ্রী ই-বুক অপশনটি সিলেক্ট করে মনের মত বই ডাউনলোড করে নিয়ে পড়তে পারেন। 

Open Library: ওপেন লাইব্রেরি নামে আরেকটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে দশ লাখের বেশি বই পাওয়া সম্ভব। বিভিন্ন ভাষার নতুন ও পুরাতন বিভিন্ন রকমের বই এই লাইব্রেরীতে রয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এ সকল বই আপনি ফ্রিতে কিভাবে ডাউনলোড করবেন? তার জন্য শুরুতে আপনাকে

openlibrary.org এই সাইটে প্রবেশ করে পূর্বের মতোই পছন্দের বই সার্চ করতে হবে। এরপরে আপনার মনমতো বই পেয়ে গেলে সেখান থেকে "Borrow" অপশনটি সিলেক্ট করে সেটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। 

শিক্ষাক্ষেত্রে AI এর ব্যবহার 

বর্তমানে এই প্রযুক্তি নির্ভর দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ AI আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে এক অন্যরকম বিপ্লব এনে দিয়েছে।কেননা এটি শুধুমাত্র আমাদের শিখার প্রক্রিয়াকে উন্নত করেছে ঠিক এমনটি নয়, বরং আমাদের মত শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগতভাবে কোন কিছু শেখা বা জানারও সুযোগ করে দিয়েছে। যার ফলে প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী কোন কিছু শিখতে পারে। 
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার
আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে AI এর একটি বিশেষ সুবিধা এবং ব্যবহার হচ্ছে এর ভার্চুয়াল চ্যাটবট। যেটা আমাদের মত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শিক্ষক হিসেবে কাজ করে। কেননা কোন শিক্ষার্থীদের মনে পড়াশোনা বিষয়ক যে কোনো রকমের প্রশ্ন জাগলে AI কে জিজ্ঞেস করলে সেটা উত্তর খুব সুন্দর করে বলে দেয়। যার জন্য বলা যায় শিক্ষাক্ষেত্রে এটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির অসুবিধা কি 

শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি যেমন বিপ্লব এনেছে ঠিক তেমনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারে আমাদের প্রকৃত শিক্ষা ব্যাহত হয়ে বিভিন্ন রকমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার সম্পর্কে আমরা জেনেছি। তবে এর পাশাপাশি এখন আমরা জানবো সেটা ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির কি কি অসুবিধা রয়েছে। 

বেশি সময় ধরে আমরা যদি স্কিনের সামনে থাকি তাহলে আমাদের বাস্তব জীবনের শিক্ষামূলক বিভিন্ন রকমের কার্যক্রম থেকে আমরা দূরে সরে যেতে পারি। বিশেষ করে অতিরিক্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার কিংবা ভিডিও গেমসের মাধ্যমে মনোযোগ নষ্ট করে দিতে পারে। যেটা পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ক্ষতি করে। 

এছাড়াও আমরা যদি শিক্ষার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন রকমের কোর্স করে কিংবা কৃত্রিম শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাই তবে এতে করে আমাদের বাস্তব জীবনের শিক্ষকের ভূমিকা কমে যেতে পারে। আমাদের মাথায় এটা রাখতে হবে যে একটি প্রযুক্তি কখনোই বাস্তব শিক্ষকদের মতো অনুপ্রেরণা জোগাতে পারেনা। তাই আমাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সেরা কিছু ব্যবহার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বর্তমান সময়ে প্রায় বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে সেরা কিছু ব্যবহারের মধ্যে যে শুধুমাত্র শিক্ষা ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এমনটি নয়, বরং বিভিন্ন রকম ব্যবহারের মধ্যে সেরা কিছু ব্যবহার রয়েছে যেগুলো আমাদের জানা প্রয়োজন। এখন আমরা সহজ ভাষায় জানবো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অসাধারণ কিছু ব্যবহার সম্পর্কে। 
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার
আমাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য টেলিমেডিসিন নামে একটি যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়েছে যেটার মাধ্যমে অনেক দূরে থেকেও কোন রোগী অনলাইনে অনলাইনে ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে পারেন। আবার কোন রোগীর কি রোগ হয়েছে এটা নির্ণয় করার জন্য মেডিকেল রোবট রয়েছে। যার মাধ্যমে খুব সহজেই কোন রোগের রোগ নির্ণয় করা যায়।

এছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইন শপিং এর মাধ্যমে খুব সহজে আমরা কোন কিছু কেনাকাটা করতে পারি। অর্থাৎ অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোন ব্যবসায়ী খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে তার ব্যবসার উন্নতি ঘটাতে পারেন। তবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সেরা কিছু ব্যবহারের মধ্যে সবচেয়ে 

গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বিভিন্ন রকমের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন facebook, whatsapp, instagram ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই আমাদের আত্মীয়-স্বজনের সাথে ভিডিও কলে কিংবা অডিওর মাধ্যমে কথা বলতে পারি। এছাড়াও বিভিন্ন তথ্য ইমেইল ব্যবহারের মাধ্যমে খুব দ্রুত আদব প্রদান করা সম্ভব হয়। 

আমাদের শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানলেন শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় সম্পর্কে। বিশেষ করে ডিজিটাল লাইব্রেরি ফ্রিতে কিভাবে ব্যবহার করবেন, শিক্ষাক্ষেত্রে এআই এর ব্যবহার সম্পর্কে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কি কি অসুবিধা রয়েছে এ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানলেন। 

আপনি যদি উপরোক্ত ব্যবহার অর্থাৎ শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার গুলো আপনার জীবনের সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে আপনি সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে পারেন। আপনি যদি নিয়মিত এই ধরনের প্রযুক্তি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করুন। এখানে আপনি নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল পাবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

হ্যাপিনেস ভ্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url