সোনা পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম -৪ টি কার্যকারী নিয়ম জানুন
আপনি কি সোনা পাতার গুড়া খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান? তবে আজকের
এই নিয়মগুলো ভালোভাবে জেনে নিন। সোনা পাতার গুড়া খাওয়ার এমন ৪ টি
কার্যকারী নিয়ম আজকে আপনাকে জানাতে চলেছি যার ফলে আপনার শরীরে এটি আয়ুর্বেদিক
হিসেবে কাজ করবে।
সোনা পাতা সাধারণত খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় না এটি আমরা সকলেই জানি। তবুও এর
কিছু বিশেষ আয়ুর্বেদিক গুণ রয়েছে।যেটা আমাদের শরীরের বিভিন্ন
শারীরিক সমস্যা দূর করতে অধিক কার্যকরী। তবে চলুন বেশি দেরি না করে সোনা
পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম জেনে নিই।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সোনা পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম
সোনা পাতার গুড়া খাওয়ার ৪ টি কার্যকরী নিয়ম
সোনা পাতার গাছ আমরা কমবেশি প্রায় সকলেই চিনি। কিন্তু এই সোনা পাতা
খাওয়ার ফলে মিলবে অসাধারণ
কিছু উপকার।যেটা সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারনা নেই। তবে এ সকল উপকার
পাওয়ার জন্য সোনা পাতার গুড়া খাওয়ার সঠিক এবং কার্যকারী নিয়ম সম্পর্কে
আমাদের জানতে হবে। চলুন তাহলে বেশি দেরি না করে জেনে নেই সোনা পাতার গুড়া
খাওয়ার নিয়ম।
- মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়াঃ সোনা পাতার গুড়া মধুর সাথে মিশিয়ে খাবার ফলে এটি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হতে পারে। তার জন্য সোনা পাতার সংগ্রহ করে সেটি পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপরে সেই পাতা শুকিয়ে গুড়া তৈরি করে নিতে হবে। অতঃপর প্রতিদিন সকালে সামান্য পরিমাণে সোনা পাতার গুড়া মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে হবে।
- হারবাল পানীয়র সাথে মিশিয়েঃ এখানে হারবাল পানীয় বলতে সাধারণত তুলসী পাতা, আদা অথবা গোল মরিচের সংমিশ্রণে তৈরিকৃত চা বোঝানো হয়েছে। মূলত এই হারবাল পানির সাথে যদি সামান্য পরিমাণে সোনাপাতার গুড়া মিশিয়ে খেতে পারেন তবে এর ফলে এটি আপনার শরীর থেকে বিভিন্ন রকমের ক্ষতিকর জীবাণু দূর করতে সহায়ক হতে পারে।
- দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়াঃ আমরা সকলেই জানি দুধ খেলে আমাদের শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায়।তবে আপনি যদি সেই দুধের সাথে হালকা পরিমাণে সোনা পাতার গুড়া মিশ্রণ করে খান তবে এটি আপনার শরীরকে আরো বেশি শক্তিশালী করে তুলবে এবং শরীরকে সব সময়ের জন্য চাঙ্গা রাখতে অধিক সহায়ক হতে পারে। তাহলে নিশ্চয় বুঝতেই পারছেন দুধের সাথে সোনাপাতার গুড়া মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা।
- ট্যাবলেট বানিয়ে খাওয়াঃ আপনার শরীরের বিভিন্ন রকমের উপকার সাধনের জন্য সোনা পাতার গুড়া ট্যাবলেট বানিয়ে খেতে পারেন। আবার আপনি চাইলে বাজার থেকেও কিনে এই ট্যাবলেট খেতে পারেন। কেননা বাজারে কিছু আয়ুর্বেদিক ওষুধের মধ্যে সোনা পাতার গুড়া দিয়ে বানানো ট্যাবলেট বিক্রয় হয়। তবে বাজার থেকে সেই ট্যাবলেট কিনে খাওয়ার আগে ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া উত্তম হবে বলে মনে করি।
সোনা পাতা খেলে কি ওজন কমে
আমাদের প্রায় অনেকের মনে এই প্রশ্ন জাগে যে সোনা পাতা খেলে কি ওজন
কমে? যার জন্য আমরা গুগল এসে সার্চ করে থাকি। তবে এর সঠিক দিক
বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সোনা পাতা খেলে সরাসরি ভাবে আমাদের শরীরের ওজন
কমার কোন সম্ভাবনা নেই। কেননা এটি যেমন বৈজ্ঞানিক দিক থেকে প্রমাণিত নয় ঠিক
তেমনি শুধুমাত্র সোনা পাতা খেলে ওজন কমার সম্ভাবনা খুবই কম। চলুন
বিষয়টা
সুন্দরভাবে ক্লিয়ার করা যাক। সোনা পাতায় এমন এক ধরনের আয়ুর্বেদিক সেটা
যদি আপনি গরম পানি অথবা হারবাল চায়ের সাথে মিশিয়ে খান তবে এটি আপনার হজমে
সহায়তা করবে। যার ফলে কিছুটা ওজন কমলেও কমতে পারে। আবার আপনি যদি
সঠিক খাদ্যাভ্যাসের সাথে সোনাপাতার গুড়া খান তবে সেক্ষেত্রে কিছুটা উপকার পেতে
পারেন।
রক্তে হিমোগ্লোবিন
বাড়াতে জানুন।
কিন্তু এটাই আপনার জন্য যথেষ্ট নয়। আপনার শরীরের ওজন কমানোর জন্য সোনা
পাতার গুড়া খাওয়ার পাশাপাশি আপনাকে সঠিকভাবে ব্যায়াম ও ডায়েট
কন্ট্রোল করতে হবে। যার উছিলায় আপনার শরীরের ওজন কমানোর জন্য এটা কিছুটা
হলেও কাজে দিবে। তবে সব সময়ের জন্য সোনা পাতার গুড়া অতিরিক্ত সেবন করা
থেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা এর ফলে আমাদের পেটে হজমের সমস্যা দেখা দিতে
পারে।
সোনা পাতা খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন
সোনা পাতা এটি এমন এক ধরনের আয়ুর্বেদিক পাতা যেটা খাওয়ার ফলে আমাদের
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।তবে এটি শুধু খেলেই নয় বরং
নিয়ম মেনে খেতে হবে। তবেই এর কার্যকারিতা আমাদের শরীরে দেখা দেবে। তাই এটি
খাবার পূর্বে অবশ্যয় আমাদের জানা উচিত সোনা পাতা খাওয়ার সঠিক সময়
কখন। চলুন জেনে নিই সোনা পাতা খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন।
প্রতিদিন সকালে আমরা যদি খালি পেটে সোনা পাতা খায় তবে এটি আমাদের পেটে খুব
সহজেই শোষিত হয়ে যাবে। যার ফলে এটি আমাদের দেহের বিপাক হার বাড়াতে
কার্যকারী ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি সকালে খালি পেটে সোনা পাতা দুধের সাথে
মিশ্রণ করে খাবার ফলে আমাদের শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পাবে। যেটা আমরা পূর্বে
জেনেছি। এছাড়াও
আমরা যদি সকাল, দুপুর কিংবা রাতের খাওয়া শেষে হালকা গরম পানি কিংবা চা এর
সাথে সোনা পাতার গুঁড়া মিশিয়ে খায় তবে এটি আমাদের হজম শক্তি উন্নত
করবে। যার ফলে আমাদের পেটের ওপরে চাপ কম পড়বে এবং আমরা শান্তি অনুভব
করবো। তার জন্য অতিরিক্ত খাবার পরে এটি খেলে বিশেষ করে একটু ভালো কাজ
করবে। আবার আপনি যদি
আরো পড়ুনঃ ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করার সহজ কিছু টিপস
রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ অথবা মধুর সাথে সোনা পাতার গুড়া মিশিয়ে খান
সেক্ষেত্রে এটি আপনার ঘুম উন্নত করবে।অর্থাৎ সে সময় এটি খেলে আপনার
মানুষের চাপ এবং বিভিন্ন রকমের অশান্তি দূরীভূত হয়ে আপনি শান্তিতে ঘুমাতে
পারবেন।তাহলে এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন সোনা পাতা কোন সময় খাওয়া
আমাদের জন্য উত্তম হবে।
সোনা পাতার গাছ কোথায় পাওয়া যায়
সোনা পাতা গাছ যে একটি ঔষধি গুণ সম্পন্ন গাছ এটা আমরা প্রায় সকলেই জেনে
গেছি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই সোনা পাতার গাছ কোথায় পাওয়া যায়? আপনি
একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন আপনার বাড়ির আশেপাশে কোথাও না কোথাও এই গাছ
রয়েছে।কেননা এই গাছ বাংলাদেশ, ভারত, সৌদি আরব সহ আরো কিছু দেশে
অধিক সংখ্যক রয়েছে। বিষয়টি আরো সুন্দরভাবে ক্লিয়ার করা যাক।
সোনা পাতার গাছ আমরা কমবেশি সবাই চিনি। আপনি যদি বাংলাদেশী হন তবে খেয়াল করবেন
এই গাছ আমাদের বাড়ির আশেপাশেই রয়েছে। তবে এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য
কার্যকারী না। তাই আপনি এর আসল গাছ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকমের ভেষজ
নার্সারি কিংবা গবেষণা খামার খোঁজ করে দেখতে পারেন। এছাড়াও আপনি বাজারে
এই গাছের গুড়া পেয়ে যাবেন যেটা খাওয়ার উপযোগী।
কিভাবে বিশুদ্ধ সোনা পাতা চিনবেন
বিশুদ্ধ সোনা পাতা চেনার কয়েকটি উপায় আছে। যে উপায়গুলো ফলো করলে আপনি
খুব সহজেই শুদ্ধ এবং খাঁটি সোনা পাতা পেয়ে যাবেন। সোনা পাতা যে আমাদের
শরীরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা যেমন
শারীরিক দুর্বলতা দূর
করে এটা আমরা অনেকেই জানি। পাশাপাশি সোনা পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়মও আমরা
জেনেছি। চলুন এখন জেনে নিই বিশুদ্ধ সোনা পাতা কিভাবে চেনা যাবে।
- আপনি যখন বাজার থেকে সোনা পাতার গুড়া কিনবেন তখন শুরুতে সেই গুড়ার রং পরিক্ষা করবেন।গুড়ার রং যদি হালকা সবুজ কিংবা হলুদাভ সবুজ হয়ে থাকে এবং গুড়া যদি মসৃণ থাকে তবে সেটা আসল সোনা পাতার গুড়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু পাতার রং যদি গাঁড় বাদামি কালার হয় কিংবা গুড়ার মধ্যে এক ধরনের ভঙ্গুর ভাব থাকে তবে সেগুলো কিনা থেকে বিরত থাকুন।
- এছাড়াও আপনি বিশুদ্ধ সোনা পাতা চেনার জন্য এর গুড়া পানিতে ফেলে পরিক্ষা করতে পারেন। কেননা আসল সোনা পাতার গুড়া পানিতে ভেসে থাকবে নয়তো পুরোপুরি ডুবে যাবে। কিন্তু সেই গুড়া যদি নকল হয় সেক্ষেত্রে রং পরিবর্তন হয়ে যাবে। আবার আপনি চাইলে আগুনেও পুড়িয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। যখন সোনা পাতা আগুনে দিবেন তখন
- সেই পাতা যদি আসল হয় তবে সেটি গলে যাবে। কিন্তু নকল সোনা পাতা আগুনে পোড়ানোর সাথে সাথে পড়ে একদম ছাই হয়ে যাবে। যা থেকে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন কোনটি আসল সোনা পাতা এবং কোনটি নকল সোনা পাতা। আশা করি আপনি এভাবে পরীক্ষা করলে আসল সোনা পাতা চিনতে পারবেন।
সোনা পাতার বৈজ্ঞানিক নাম কি
সোনা পাতা একেক জায়গায় একেক নামে পরিচিত। যার কারণে কেও যদি অন্য নাম
বলে তবে এই পাতা চিনা আমাদের জন্য কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। তাই এখন আমরা
জানবো সোনা পাতার সব রকমের নাম সম্পর্কে। পাশাপাশি জানবো এর বৈজ্ঞানিক নাম
কি। সোনা পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম প্রায় আমাদের সকলেরই জানা হয়ে
গেছে। তবে চলুন সোনা পাতার নাম গুলো জেনে নিই।
সোনা পাতার বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে
'Cassia angustifolia Vahl'. সেক্ষেত্রে সোনা পাতার ইংরেজি নাম
হচ্ছে 'Senna leaf'. এছাড়াও সোনা পাতা বাংলাদেশে এবং ভারতে বিশেষ
কয়েকটি নামে পরিচিত। সেগুলো হচ্ছে সেনা পাতা, সোনামুখি পাতা, আমলতাস
পাতা, স্বর্ণ পাতা, নীলা ভারায়, অলসেন্দা ইত্যাদি। আবার
আরবিতে সোনা পাতা কে 'সানামাকি' বলা হয়। অ্যালোভেরা খেলে
মিলবে যে ১০ টি উপকার জানুন।
সোনা পাতার দাম কেমন
সোনা পাতার দাম বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের হতে পারে। সেক্ষেত্রে
আপনার উচিত হবে সোনা পাতা কেনার পূর্বে এর দাম সম্পর্কে জানা। সোনা পাতা
আপনি বিভিন্ন অনলাইন বিক্রেতাদের কাছ থেকে কিনতে পারবেন। তবে বিভিন্ন
ব্র্যান্ড এবং প্যাকেটে কত গ্রাম আছে এর ওপর নির্ধারণ করে এর দাম
হয়। চলুন জেনে নিই কোন ব্র্যান্ডের এবং কতটুকু পাতার দাম কেমন।
আপনি যদি My organic bd থেকে ১০০ গ্রাম সোনা পাতা কিনেন তবে তারা এর মূল্য ধরবে ৮৯-৯০
টাকার মতো। আবার আপনি যদি Daraz
থেকে ২৫০ গ্রাম সোনা পাতার গুড়া কিনেন সেই ক্ষেত্রে দাম পড়বে ৩৫০ টাকার
মতো। এছাড়াও আপনি আরো অন্যান্য অনলাইন স্টোর যেমন
Panash Food থেকে ১০০ গ্রাম সোনা
পাতার গুড়া কিনেন সেই ক্ষেত্রে দাম আসবে ৯০ টাকার মতো।
সোনা পাতায় সতর্কতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
আমরা যদি প্রতিনিয়ত সোনা পাতার গুড়া খেতে চাই তবে অবশ্যই আমাদের
রুটিন মেনে খাওয়া উচিত। আপনি হয়তো জেনেছেন সোনা পাতার গুড়া খাওয়ার
নিয়ম সম্পর্কে। সেই নিয়মের বাইরে যদি অতিরিক্ত সোনা পাতা সেবন করেন তবে
আমাদের শরীরের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সোনা পাতা খাওয়ার পূর্বে
কিছু সতর্কতা এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আমাদের জানা প্রয়োজন।
সোনা পাতার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- সোনা পাতা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আমাদের পেট ব্যথা ও ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- এটি অতিরিক্ত খাবার ফলে আমাদের অন্ত্রের সংকোচন দুর্বল করে দেয়। যার ফলে অন্ত্রে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- আমাদের মধ্যে কারো যদি এলার্জির সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে সোনা পাতা অতিরিক্ত সেবনে শরীরে চুলকানি দেখা দিতে পারে।
- গর্ভধারী মায়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সোনা পাতা খাওয়ার ফলে জরায়ুর সংকোচন দেখা দিতে পারে। যেটা গর্ভাবস্থায় গর্ভপাতের ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
- অতিরিক্ত সোনা পাতা খেলে এটি আমাদের লিভার ও কিডনির ওপরে চাপ ফেলে। যার ফলে এটি আমাদের লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা দুর্বল করে ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- এছাড়াও অতিরিক্ত সোনা পাতা খাবার ফলে এটি আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের করে দেয়। যেটা আমাদের শরীরে পানি শূন্যতার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
সোনা পাতা খাওয়ার পূর্বে সতর্কতা
- সোনা পাতা খেলে যেমন আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয় ঠিক তেমনি এটি প্রতিনিয়ত খাওয়ার ফলে আমাদের অন্ত্রের কার্যক্ষমতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই এটি নিয়মিত ব্যবহার করা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত।
- সোনা পাতা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে যেহেতু ডায়রিয়া, পেটব্যথা ইত্যাদির মত সমস্যা হতে পারে সে ক্ষেত্রে এটি স্বাভাবিক মাত্রায় মাঝেমাঝে খাওয়া উচিত।
- গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য যেহেতু এই সোনা পাতা ঝুঁকি সৃষ্টি করে তাই সেই সময় এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা এটি সন্তানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- আমাদের বাসায় যদি ১০ বছরের নিচে কোন শিশু থাকে তবে তাদের সোনা পাতা খাওয়া থেকে বিরত রাখা উচিত। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
- প্রতিদিন যদি সোনা পাতা অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করা হয় তবে এটি আমাদের কিডনি ও লিভারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। তাই আমাদের উচিত হবে মাঝে মাঝে এবং সঠিক নিয়মে সোনা পাতা গ্রহণ করা।
- সোনা পাতা একটানা খাওয়ার পূর্বে অথবা ব্যবহারের পূর্বে ডাক্তারের অথবা হারবাল বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উত্তম হবে বলে মনে করি।
সবশেষে আমাদের মন্তব্য
আমরা ইতোমধ্যে এই আর্টিকেল থেকে জানলাম সোনা পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম
ছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। বিশেষ করে সোনা পাতা কোন সময়
খাওয়া আমাদের জন্য উত্তম, কিভাবে বিশুদ্ধ সোনা পাতা চেনা যায় পাশাপাশি সোনা
পাতার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও সতর্কতা সম্পর্কে। আমি মনে
করি এ সকল তথ্য আমাদের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী হবে।
তাই আপনার উচিত হবে উপরোক্ত সোনা পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম জেনে অবশ্যই সকল
নিয়ম সঠিকভাবে মেনে খাওয়া।আপনি যদি নিয়মিত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
পেতে চান তবে এই
ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট
করুন। আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল প্রকাশ
করা হয়।
হ্যাপিনেস ভ্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url