আজকের সেহরির শেষ সময় ঢাকা -সাথে ইফতারের সময়সূচি জানুন ২০২৫
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো আজকের সেহরির শেষ সময় ঢাকা কখন
এবং ইফতারের সময়সূচি সম্পর্কে। আপনি যদি আজকের সেহরির শেষ সময় জানতে চান এবং
আজকের ইফতারের সময়সূচী জানতে চান তবে এই আর্টিকেল থেকে নিচে বিস্তারিত
জানুন।
রমজান মাস আমাদের মুসলমানদের জন্য আত্মশুদ্ধির একটি মাস সেটা আমরা সকলেই
জানি। আর এই রমজান মাসে রোজা রাখার জন্য ভোররাতে আমাদের সেহরি খেতে
হয়। যেটা নির্দিষ্ট একটি সময় থাকে। চলুন তবে বেশি কথা না বাড়িয়ে আজকের
সেহরির শেষ সময় ঢাকা সম্পর্কে জেনে নিই।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আজকের সেহরির শেষ সময় ঢাকা ও ইফতারের সময়সূচি জানুন
আজকের সেহরির শেষ সময় ঢাকা ও ইফতারের সময়সূচি
রমজান মাসে প্রতিটি রোজা আল্লাহ পাক আমাদের ওপরে ফরজ করেছেন। তাই একজন
মুসলিম হিসেবে রমজানের রোজা আমাদের পালন করতে হবে। রোজা যেমন আমাদেরকে আল্লাহর
তাকওয়ার পথে পরিচালিত করে ঠিক তেমনি শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সুস্থ রাখতে
সাহায্য করে।
তবে এই রোজা রাখার জন্য আমাদের ভোরে সেহরি দিয়ে শুরু এবং সন্ধায় ইফতার করে
রোজার সমাপ্তি করতে হয় একটা নির্দিষ্ট সময়ে। যেই সময়টা আমাদের জানা প্রয়োজন।
তাহলে চলুন আজকের সেহরির শেষ সময়টা এবং ইফতারের সময়সূচি নিচের টেবিল থেকে জেনে নিই।
রমজান | ইংরেজি তারিখ | দিনের নাম | সেহরির শেষ সময় | ফজরের আজান | ইফতারির সময় |
---|---|---|---|---|---|
১ | ২ মার্চ | রবিবার | ৫ঃ০৪ মি. | ৫ঃ০৭ মি. | ৬ঃ০২ মি. |
২ | ৩ মার্চ | সোমবার | ৫ঃ০৩ মি. | ৫ঃ০৬ মি. | ৬ঃ০৩ মি. |
৩ | ৪ মার্চ | মঙ্গলবার | ৫ঃ০২ মি. | ৫ঃ০৫ মি. | ৬ঃ০৩ মি. |
৪ | ৫ মার্চ | বুধবার | ৫ঃ০১ মি. | ৫ঃ০৪ মি. | ৬ঃ০৪ মি. |
৫ | ৬ মার্চ | বৃহস্পতিবার | ৫ঃ০০ মি. | ৫ঃ০৩ মি. | ৬ঃ০৪ মি. |
৬ | ৭ মার্চ | শুক্রবার | ৫ঃ৫৯ মি. | ৫ঃ০২ মি. | ৬ঃ০৫ মি. |
৭ | ৮ মার্চ | শনিবার | ৫ঃ৫৮ মি. | ৫ঃ০১ মি. | ৬ঃ০৫ মি. |
৮ | ৯ মার্চ | রবিবার | ৫ঃ৫৭ মি. | ৫ঃ০০ মি. | ৬ঃ০৬ মি. |
৯ | ১০ মার্চ | সোমবার | ৫ঃ৫৬ মি. | ৫ঃ৫৯ মি. | ৬ঃ০৬ মি. |
১০ | ১১ মার্চ | মঙ্গলবার | ৫ঃ৫৫ মি. | ৫ঃ৫৮ মি. | ৬ঃ০৭ মি. |
১১ | ১২ মার্চ | বুধবার | ৫ঃ৫৪ মি. | ৫ঃ৫৭ মি. | ৬ঃ০৭ মি. |
১২ | ১৩ মার্চ | বৃহস্পতিবার | ৫ঃ৫৩ মি. | ৫ঃ৫৬ মি. | ৬ঃ০৮ মি. |
১৩ | ১৪ মার্চ | শুক্রবার | ৫ঃ৫২ মি. | ৫ঃ৫৫ মি. | ৬ঃ০৮মি. |
১৪ | ১৫ মার্চ | শনিবার | ৫ঃ৫১ মি. | ৫ঃ৫৪ মি. | ৬ঃ০৯ মি. |
১৫ | ১৬ মার্চ | রবিবার | ৫ঃ৫০ মি. | ৫ঃ৫৩ মি. | ৬ঃ০৯ মি. |
১৬ | ১৭ মার্চ | সোমবার | ৫ঃ৪৯ মি. | ৫ঃ৫২ মি. | ৬ঃ১০ মি. |
১৭ | ১৮ মার্চ | মঙ্গলবার | ৫ঃ৪৮ মি. | ৫ঃ৫১ মি. | ৬ঃ১০ মি. |
১৮ | ১৯ মার্চ | বুধবার | ৫ঃ৪৭ মি. | ৫ঃ৫০ মি. | ৬ঃ১১ মি. |
১৯ | ২০ মার্চ | বৃহস্পতিবার | ৫ঃ৪৬ মি. | ৫ঃ৪৯ মি. | ৬ঃ১১ মি. |
২০ | ২১ মার্চ | শুক্রবার | ৫ঃ৪৫ মি. | ৫ঃ৪৮ মি. | ৬ঃ১২ মি. |
২১ | ২২ মার্চ | শনিবার | ৫ঃ৪৪ মি. | ৫ঃ৪৭ মি. | ৬ঃ১২ মি. |
২২ | ২৩ মার্চ | রবিবার | ৫ঃ৪৩ মি. | ৫ঃ৪৬ মি. | ৬ঃ১৩ মি. |
২৩ | ২৪ মার্চ | সোমবার | ৫ঃ৪২ মি. | ৫ঃ৪৫ মি. | ৬ঃ১৩ মি. |
২৪ | ২৫ মার্চ | মঙ্গলবার | ৫ঃ৪১ মি. | ৫ঃ৪৪ মি. | ৬ঃ১৪ মি. |
২৫ | ২৬ মার্চ | বুধবার | ৫ঃ৪০ মি. | ৫ঃ৪৩ মি. | ৬ঃ১৪ মি. |
২৬ | ২৭ মার্চ | বৃহস্পতিবার | ৫ঃ৩৯ মি. | ৫ঃ৪২ মি. | ৬ঃ১৫ মি. |
২৭ | ২৮ মার্চ | শুক্রবার | ৫ঃ৩৮ মি. | ৫ঃ৪১ মি. | ৬ঃ১৫ মি. |
২৮ | ২৯ মার্চ | শনিবার | ৫ঃ৩৭ মি. | ৫ঃ৪০ মি. | ৬ঃ১৬ মি. |
২৯ | ৩০ মার্চ | রবিবার | ৫ঃ৩৬ মি. | ৫ঃ৩৯ মি. | ৬ঃ১৬ মি. |
৩০ | ৩১ মার্চ | সোমবার | ৫ঃ৩৫ মি. | ৫ঃ৩৮ মি. | ৬ঃ১৭ মি. |
ঢাকায় বিভিন্ন মসজিদে আজানের সময়সূচি
আপনি যদি ঢাকার বাসিন্দা হন কিংবা কোনো কারণবশত ঢাকায় অবস্থান করেন তাহলে
মুসলমান হিসেবে ঢাকার মসজিদগুলোর আজানের সময়সূচি আপনার জানা উচিত পাঁচ
ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পড়ার জন্য। যেই সময়সূচী নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করবো। নিচে
ঢাকার পরিচিত কিছু মসজিদের আযানের সময়সূচি টেবিল আকারে দেওয়া
হলো।
মসজিদের নাম | ফজর | জোহর | আসর | মাগরিব | এশা |
---|---|---|---|---|---|
বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ | ভোর ৫ঃ১৫ | দুপুর ১ঃ১৫ | বিকাল ৪ঃ৩০ | সূর্যাস্তের সময় | রাত ৭ঃ০০ |
শোলাকিয়া ঈদ্গাহ মসজিদ | ভোর ৫ঃ২০ | দুপুর ১ঃ২০ | বিকাল ৪ঃ৩৫ | সূর্যাস্তের সময় | রাত ৭ঃ১০ |
লালবাগ শাহী মসজিদ | ভোর ৫ঃ১৮ | দুপুর ১ঃ১৮ | বিকাল ৪ঃ৩২ | সূর্যাস্তের সময় | রাত ৭ঃ০৫ |
সাত মসজিদ (মোহাম্মদপুর) | ভোর ৫ঃ১৭ | দুপুর ১ঃ১৭ | বিকাল ৪ঃ৩৩ | সূর্যাস্তের সময় | রাত ৭ঃ০৭ |
কাকরাইল মসজিদ | ভোর ৫ঃ১৬ | দুপুর ১ঃ১৬ | বিকাল ৪ঃ৩১ | সূর্যাস্তের সময় | রাত ৭ঃ০৬ |
উপরের টেবিলে ঢাকার বিভিন্ন পরিচিত মসজিদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচী
উল্লেখ করা হলো।তবে যে কোন সময় এই সময়সূচি আপডেট হতে পারে। তাই
প্রতিনিয়ত আপডেট তথ্য পেতে ইসলামী ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
ফলো করতে পারেন।
সেহরি ও ইফতারের দোয়া ও এর অর্থ
রোজা রাখার জন্য আমরা ভোর রাতে সেহরি এবং দিন শেষে রোজা সম্পন্ন করে
সন্ধ্যার সময় ইফতারি গ্রহণ করি। তবে সেহেরী খাওয়ার পরে এবং ইফতারি
গ্রহণের পূর্ব মুহূর্তে আমাদের দোয়া পড়তে হয়। যেটা আমরা অনেকেই জানি না। তাহলে
চলুন এখন সেহরি ও ইফতারের দোয়া ও এর অর্থ জেনে নিই।
সেহরি এর দোয়া
আরবিঃ
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيمَا رَزَقْتَنَا وَقِنَا عَذَابَ
النَّارِ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি'মা রঝাকতানা ওয়াকিনা আজাবান্নার।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাদের যে রিজিক দান করেছো, তাতে বরকত
দাও এবং আমাদের জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।
ইফতারের দোয়া
আরবিঃ اللَّهُمَّ إِنِّي لَكَ صُمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ
وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি লাকা সুমতু ওয়া'বিকা আমাংতু ওয়া আলায়কা
তাওাক্কালতু ওয়া আলা রিঝকিকা আফতারতু।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি, তোমার
ওপরে ঈমান এনেছি, তোমার ওপরে ভরসা করেছি এবং তোমার দেওয়া রিজিক দিয়ে
ইফতার করছি।
সেহরির সময় কি খাওয়া উচিত
রমজান মাসে সেহরি আমাদের জন্য এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যেটা আমাদের
সারাদিনের রোজা রাখার জন্য শক্তি ও পুষ্টি জোগাবে। তাই সেহরির সময় আমাদের
এমন কিছু খাদ্য খাওয়া প্রয়োজন যেটা আমাদের শরীরকে শক্তিশালী রাখতে এবং
পানিশূন্যতা দূর করবে। তাহলে চলুন জেনে নেই সেহরির সময় আমাদের কোনসব
খাওয়া উচিত।
সেহরির সময় আমাদের অত্যাধিক প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। বিশেষ করে
গরুর ও মুরগির মাংস, ডিম, দুধ, মাছ, চিয়া সিড
ইত্যাদিতে অধিক পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। যেটা সেহরির সময় খাওয়ার
ফলে পুরোটা দিন আমাদের শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে। এছাড়াও ফাইবার
সমৃদ্ধ খাবার যেমন
আপেল, কলা, খেজুর, শাকসবজি কিংবা ডাল এবং বাদাম আমাদের খাওয়া
উচিত। এছাড়াও এসব খাবারের পাশাপাশি আমাদের প্রচুর পরিমাণে পানীয় জাতীয়
খাবার খাওয়া উচিত। ডাবের পানি, লেবুর শরবত কিংবা চিনি ছাড়া হারবাল
চা যদি আমরা সেহরির সময় গ্রহণ করি তাহলে এটি আমাদের পুরো দিনের
পানিশূন্যতা দূর করবে।
রমজানের ফজিলত ও সেহরির গুরুত্ব
রমজান মাস হলো মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বরকতময় একটি মাস। আর এই বরকতময় মাসের
ফজিলত এবং সেহরির গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
রমজানের ফজিলতঃ রমজান মাস হচ্ছে আমাদের গুনাহ মাপের একটি মাস। দৈনন্দিন জীবনে আমরা
বিভিন্ন রকমের গুনাহ করে থাকি। আর এই রমজান মাসে আমরা যদি রোজা রেখে
আমাদের গুনাহর জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় তাহলে আল্লাহ তা'আলা
আমাদের ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা পালন করবে, আল্লাহপাক
তার জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন। এছাড়াও রমজান মাসে একটি বিশেষ
রাত রয়েছে যেটা লাইলাতুল কদর নামে পরিচিত। আর এই রাতে আমরা যদি বিশেষভাবে
আল্লাহর ইবাদত করতে পারে তাহলে আল্লাহ পাক আমাদের পূর্বের ৮৩ বছরের গুনাহ মাফ
করে দিবেন, সুবহানাল্লাহ।
সেহরির গুরুত্ব ও ফজিলতঃ রমজান মাসে রোজা রাখার জন্য সেহরি করা মানে যে শুধুমাত্র খাওয়া এমনটি
নয়, বড় সেহরির মধ্যে রয়েছে অনেক বরকত এবং কল্যাণ যেটা খাওয়া
আমাদের জন্য সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, তোমরা সেহরি খাও, কেননা সেহরিতে বরকত রয়েছে। অর্থাৎ সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের একপ্রকার সুন্নত পালন হয়।
আবার আমরা যদি সেহেরী খেয়ে রোজা রাখি তাহলে সেটা সারাদিনের জন্য আমাদের শরীরে
শক্তির যোগান দেবে, যেটা রোজা রাখা অবস্থায় আমাদের ইবাদতের জন্য সহায়ক
হবে। আজকের সেহরির শেষ সময় ঢাকা এটা জানার পাশাপাশি আমরা যদি সেহরি
খাওয়া আমাদের জন্য সুন্নত তাই আমরা যদি সেহরি খেয়ে রোজা রাখি তাহলে রোজার
প্রতিদান হিসেবে এটি আমাদের সওয়াব কে দ্বিগুণ করে দেয়।
সেহরি কোন সময় খাওয়া ভালো
আমরা যারা রোজা রাখার জন্য সেহরি খাই তাদের অনেকের মনে এই প্রশ্নটা জাগে
যে, কোন সময় সেহরি খাওয়া ভালো হবে? এর সঠিক উত্তর হিসেবে আমরা বলতে পারি
শেষ রাতে সেহরি খাওয়া আমাদের জন্য উত্তম হবে। কেননা দেরিতে সেহরি খাওয়া
নিয়ে বেশ কয়েকটি সহিহ হাদিস রয়েছে।চলুন সেগুলো জেনে নিই।
সেহরি খাওয়া নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, আমাদের ও আহলে কিতাবের রোজার মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সেহরি খাওয়া
(মুসলিম)
। অন্য এক হাদিসে জৈদ ইবনে সাবেত রাদিআল্লাহু আনহু
বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সেহরি
খেয়েছি, এরপরে নামাজের জন্য দাঁড়িয়েছি। তখন উনাকে জিজ্ঞেস করা
হলো আজান ও সেহেরির মধ্যে
কতটুকু সময় ছিল? জবাবে তিনি বললেন, প্রায় ৫০ আয়াত তেলাওয়াতের
সমান। এই হাদিস থেকে আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি যে, আমাদের জন্য সেহরি
শেষ রাতে খাওয়া উত্তম। কেননা নবীজিও শেষ রাতে সেহরি খেতেন। রোজার
পূর্ণ বরকত লাভ করা যায় পাশাপাশি সুন্নত পালন করা হয়।
সঠিক সময়ে সেহরি ও ইফতার করার উপকারিতা
রমজানের রোজা সঠিকভাবে পালন করার জন্য আমাদের সেহরী ও ইফতার করা প্রয়োজন
হয়। তাই আমাদের জানা উচিত সঠিক সময়ে যদি আমরা সেহরি ও ইফতার করতে পারি
তাহলে আমাদের জন্য তার কি উপকারিতা রয়েছে? তবে এটা সত্য যে সঠিক সময়ে সেহরি ও
ইফতার করার ফলে বিশেষ কিছু উপকারিতা রয়েছে। যেটা আমরা এখন জানবো।
- সঠিক সময়ে অর্থাৎ রাতের শেষ প্রহরে সেহরি করা সুন্নত। আর শেষ রাতে সেহরি করার কারণে এতে থাকা বরকত আমাদের শারীরিক ও আত্মাধিক দিক থেকে শান্তি এনে দেয়।
- এছাড়াও ভোররাতে যদি সেহরি খাওয়া হয় তাহলে এটি আমাদের শরীরে দীর্ঘক্ষণ শক্তি ধরে রাখে।পাশাপাশি কম পিপাসা পায় এবং আমাদের রোজা শান্তিধায়ক করে তোলে।
- আমরা যদি শেষ রাতে সেহরি করি তাহলে বিশেষ ইবাদত যেমন তাহাজ্জুদ, দোয়া কিংবা ইস্তেগফারের একটি ভালো সুযোগ পাওয়া যায়। যার কারণে আমরা আল্লাহর কাছে প্রিয় হতে পারি।
- আবার সেহরি খাওয়া যেমন সুন্নত ঠিক তেমনি সেহরি খাওয়ার ফলে আল্লাহ তাআলা এবং আল্লাহর ফেরেশতারা আমাদের ওপরে রহমত বর্ষণ করেন।
- আবার ইফতার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সময়মতো দ্রুত ইফতারি করবে সে কল্যাণের মধ্যে থাকবে।
- সঠিক সময়ে ইফতারি করার পূর্বে যে দোয়াটি করা হয় সেটি আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। তাই ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে আমাদের দোয়া করা উচিত।
- রোজা অবস্থায় দীর্ঘ সময় অতিক্রম করার পরে সময় মতো ইফতার খেলে দ্রুত আমাদের শরীরে শক্তি ফিরে আসে। সাথে আমাদের হজমে এটি কোন সমস্যা সৃষ্টি করে না।
- আমরা যদি সময় মত ইফতার করি তাহলে আমাদের মস্তিষ্ক ও শরীর সাথে থাকবে। এর ফলে নামাজে আমরা মনোযোগী হতে পারব।
আমাদের মন্তব্য
ইফতারের সঠিক সময়সূচি জানতে চান তবে এই আর্টিকেল আপনার জন্য অনেক কার্যকরী হতে
পারে। আপনি যদি নিয়মিত এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে চায় তাহলে এই
ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আমাদের এই
ওয়েবসাইটে আপনি এই ধরনের
গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল প্রতিনিয়ত পাবেন।
onk sundor kore likhechen vaiya.pore onk upokrito holam
আপনাকে ধন্যবাদ! 🥰