পাথরকুচি পাতা কখন খেতে হয় -সঠিক সময় জানুন

পাথরকুচি পাতা আমরা অনেকেই চিনি এবং খেয়ে থাকি। কিন্তু এই পাথরকুচি পাতা কখন খেতে হয় এর সঠিক সময় কি আমাদের জানা আছে? আপনি যদি পাথরকুচি পাতা খাওয়ার সঠিক সময় এবং নিয়ম জানতে চান তবে নিচে বিস্তারিত পড়ুন।   
পাথরকুচি-পাতা-কখন-খেতে-হয়
পাথরকুচি পাতা আমাদের শরীরের সর্দি কাশি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের রোগ সারাতে অধিক কার্যকরী। তবে আপনি যদি সময় এবং নিয়ম মেনে এটি খেতে পারেন তবে এই পাতা আপনার উপকারিতা বয়ে আনবে। পাথরকুচি পাতা কখন খেতে হয় চলুন জেনে নিই।  

পোস্ট সূচিপত্রঃ পাথরকুচি পাতা কখন খেতে হয়

পাথরকুচি পাতা কখন খেতে হয়

আমাদের শরীরের জন্য অত্যাধিক উপকারি পাথরকুচি পাতা খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। আর আপনি যদি সে সব নিয়ম মেনে পাথরকুচি পাতা খেতে পারেন তবে সেটি আপনার শরীরের জন্য অনেক বেশি কাজে দেবে। বিশেষ করে সঠিক নিয়মে এই পাতা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকমের রোগ দূরীভূত হয়। তাহলে চলুন জেনে নেই পাথরকুচি পাতা কখন এবং কিভাবে খেতে হয়। 

পাথরকুচি পাতা খাওয়ার উত্তম সময় হচ্ছে সকালে খালি পেটে খাওয়া। সেক্ষেত্রে ৩-৪ টি পাথরকুচি পাতা কোনভাবে থেতলিয়ে সেটার রস বের করে আপনি প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে খেতে পারেন। এভাবে খাবার ফলে আপনার যদি কিডনিতে পাথরের সমস্যা থাকে তবে সে পাথর ভেঙে দূরীভূত হবে। পাশাপাশি এভাবে খাওয়ার ফলে এটি আপনার শরীরের রক্তচাপ কমাতে অধিক কার্যকারী হবে। ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে পড়ুন। 

আবার আপনি যদি ভরা পেটে অর্থাৎ খাবারের পর পাথরকুচি পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খান তবে এটি আপনার হজমের সমস্যা দূর করতে পারে। শুধু তাই নয় আপনার পেটে যদি কোন রকমের সমস্যা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে এই পাথরকুচি পাতা অধিক কার্যকারী। কারণ এটি আমাদের পেটের বিভিন্ন রকমের সমস্যা ও অম্বল দূর করে থাকে। 

পাথরকুচি পাতা খাওয়ার আরেকটি উপযুক্ত সময় হচ্ছে রাতে ঘুমানোর পূর্বে এটি খাওয়া। সেটা আপনি চিবিয়ে অথবা চায়ের সাথে দিয়ে খেতে পারেন। তবে আপনার এই সময় চায়ের সাথে দিয়ে খাওয়াটাই উত্তম হবে বলে মনে করি। কেননা আপনি যদি ৩-৪ টি পাথরকুচি পাতা গরম চায়ের সাথে মিশিয়ে খান সেক্ষেত্রে এটি আপনার গলাবেথা ও কাশির সমস্যা দূর করবে। এছাড়াও এটি রাতে খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দ্রবীভূত হবে। 

খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খেলে কি হয়

পাথরকুচি পাতা কখন খেতে হয় এবং কিভাবে এটি খাওয়া উচিত আমরা জানলাম। কিন্তু এখন আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খেলে কি হয়? আমরা এটা জানি খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের জন্য এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। তবে আমরা যদি খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খাওয়ার আরো বিশেষ কিছু ভূমিকা জানি তবে এটি আমাদের বুঝতে সহজ হবে।  

  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩-৪ টি পাথরকুচি পাতা ব্লেন্ড করে খাওয়ার ফলে এটি আমাদের কিডনির পাথরের সমস্যা থাকলে সেটি ভেঙ্গে দূরীভূত করতে সহায়তা করে।  
  • নিয়মিত খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খাওয়ার ফলে এটি আমাদের রক্তের শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।যার ফলে আমাদের শরীর যদি ডায়াবেটিক্স থাকে তবে এতে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। 
  • সকালে খালি পেটে পাথরকুচি পাতা রস করে খাওয়ার ফলে এটি আমাদের পেটে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, এসিডিটি ও বদহজম দূর করে থাকে। 
  • সকালে খালি পেটে পাথরকুচি পাতা সেবনে এটি আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে। যার ফলে আমাদের লিভার ও কিডনি সুরক্ষিত থাকে। 
  • এছাড়াও খালি পেটে পাথরকুচি পাতা থেতলিয়ে খাবার ফলে এটি আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দূর করে। যার ফলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যায়। 

পাথরকুচি পাতা খাওয়ার বিশেষ উপকারিতা

পাথরকুচি পাতা খাওয়ার বিশেষ কিছু উপকার রয়েছে। এটি যে শুধুমাত্র আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর করবে এমনটিই নয়, বরং নিয়মিত যদি আপনি সঠিক সময়ে পাথরকুচি পাতা খেতে পারেন তবে এতে আপনার শরীরের অন্যান্য উপকার সাধন করে থাকে। তবে চলুন জেনে নিই পাথরকুচি পাতা আমাদের শরীরে কি কি অনন্য উপকার সাধন করে। 
পাথরকুচি-পাতা-কখন-খেতে-হয়
আমরা শুরুতেই জেনেছি নিয়মিত পাথরকুচি পাতা খাবার ফলে এটি আমাদের কিডনির পাথর গলাতে সাহায্য করে। তবে এর পাশাপাশি পাথরকুচি রস আরেকটি উপকার সাধন করে থাকে। আর এটি হচ্ছে আমাদের মূত্রনালীর সংক্রামক দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও নিয়মিত পাথরকুচি পাতা সেবনের ফলে এটি আমাদের ত্বকের কোষগুলো পুনর্গঠন করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। 

নিয়মিত এবং পরিমিত পাথরকুচি পাতা চিবিয়ে খাওয়ার ফলে এটি আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে থাকে। যা আমাদের দীর্ঘ সময়ের মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমাদের যাদের বাত ব্যথা রয়েছে তাদের জন্য পাথরকুচি পাতা এই ব্যথা নিরামক হিসেবে কাজ করে। তাই বলা যায়, পাথরকুচি পাতা বিভিন্নভাবে আমাদের শরীরের জন্য এক মহাঔষধ হিসেবে কাজ করে। 

চুলের যত্নে পাথরকুচি পাতার ভূমিকা

পাথরকুচি পাতা আমাদের যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ঠিক তেমনি এটা আমাদের চুলের যত্নে অধিক কার্যকরী একটি পাতা। এটি আমাদের চুল পড়া বন্ধ করে, চুলের খুশকি দূর করে, চুলের রুক্ষতা দূর করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।শুধু তাই নয় বরং এটি চুলে ব্যবহারের ফলে মাথার চুল পাকা কমে যায়। চলুন এবার বিস্তারিতভাবে জেনে নেই চলে যত্নের পাথরকুচি পাতার ভূমিকা। 

নিয়মিত ৪-৫ টি পাথরকুচি পাতা ব্লেন্ড করে সেখান থেকে রস নিয়ে চুলে লাগালে এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া কমায়। তার জন্য আপনি সপ্তাহে ২-৩ বার এটি মাথায় লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট রাখুন। এতে করে যে শুধু আপনার চুল পড়া কম হবে সেটাই নয়। এর ফলে আপনার মাথায় নতুন চুল গজাবে, পাশাপাশি মাথার খুশকি দূর করবে। 

আবার আপনি যদি আপনার চুলের রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করতে চান তবে পাথরকুচি পাতা পাতা সুন্দর করে বেটে নারিকেল তেলের সাথে মিশ্রণ করুন। এরপরে সেটা মাথায় লাগিয়ে এক ঘণ্টার মতো রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে এটি আপনার চুলকে নরম ও মসৃণ করবে এবং আপনার চুলের রুক্ষতা ও সুস্থতা দূর করবে। এছাড়াও পাথরকুচি পাতার রস চুলে লাগানোর ফলে চুলের অতিরিক্ত তেল ও ময়লা দূর হয়। 

পাথরকুচি পাতা খেলে কি কি রোগ সারে 

পাথরকুচি পাতা খাওয়ার ফলে কি কি রোগ সারে? এমন প্রশ্ন হয়তো আমাদের অনেকের মনে থাকতে পারে। পাথরকুচি পাতা খেলে বিভিন্ন রকমের উপকার সাধিত হয় তা আমরা ইতোমধ্যে জেনে গেছি।পাশাপাশি পাথরকুচি পাতা কখন খেতে হয় এর সঠিক নিয়ম টাও আমরা জেনেছি। কিন্তু পাথরকুচি পাতায় এমন কিছু ঔষধি গুন রয়েছে যেটা আমাদের শরীরের বিশেষ কিছু রোগ সারাতে সক্ষম। চলুন বিস্তারিতভাবে বিষয়টি ক্লিয়ার করা যাক।  

  • পাথরকুচি পাতা থেকে রস করে এটি নিয়মিত সেবন করার ফলে মূত্রনালির বিভিন্ন রকমের সংক্রামক ও প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। 
  • আমাদের শরীরে যদি উচ্চ রক্তচাপ হয় তবে নিয়মিত পাথরকুচি পাতা খাওয়ার ফলে সে রক্তচাপ কমে যায় এবং নিয়ন্ত্রণ থাকে। পাশাপাশি এটি হৃদযন্ত্রকে উন্নত করে।  
  • শরীরে ঠান্ডা লাগা, জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা দূর করতে পাথরকুচি পাতা গরম পানিতে মিশিয়ে ছেলে খুব দ্রুত এগুলো ভালো হয়ে যায়। 
  • বিভিন্ন রকমের চর্মরোগ যেমন ঘা, ফোড়া ইত্যাদির জন্য পাথরকুচি পাতা বেটে সেই জায়গায় লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।  
  • বাত ব্যথার জন্য পাথরকুচি পাতা নিয়মিত খাওয়ার ফলে এটি দ্রুত হয় এবং সুস্থতা আসে। 
  • স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে পাথরকুচি পাতা অধিক ভূমিকা রাখে। 
  • আমাদের পেটে যদি বদহজমের মত সমস্যা হয় তবে পাথরকুচি জুস করে খেলে সেটি দূর হয়। 
  • কারো কিডনিতে যদি পাথর হয় তবে পাথরকুচি পাতা বেটে খাওয়ার ফলে সে পাথর ধীরে ধীরে গলে গিয়ে সুস্থতা নিশ্চিত করে। 
  • পাথরকুচি পাতা খাবার ফলে এটি আমাদের লিভার পরিষ্কার রাখে এবং হেপাটাইটিস প্রতিরোধ করে। 

গর্ভাবস্থায় পাথরকুচি পাতা খাওয়ার নিয়ম 

বিশেষ ঔষধিগুন সমূহ পাথরকুচি পাতা খাওয়ায় যেমন বিশেষ উপকার রয়েছে। ঠিক তেমনি একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য পাথরকুচি পাতা খাওয়ার বিশেষ কিছু নিয়মও রয়েছে। নিয়মের বাহিরে যদি কোনো গর্ভবতী মহিলা পাথরকুচি পাতা খায় তবে এক্ষেত্রে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 
পাথরকুচি-পাতা-কখন-খেতে-হয়
তাই গর্ভাবস্থায় পাথরকুচি পাতা খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই কিছু নিয়ম জানা এবং মানা উচিত। চলুন জেনে নিই গর্ভাবস্থায় পাথরকুচি পাতা কিভাবে এবং কতটুকু খেতে হবে। 

গর্ভাবস্থায় পাথরকুচি পাতার রস খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে ২-১ টি পাতা নিতে ব্লেন্ড করে সেটা সামান্য পরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। আর এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন খাওয়া যাবে।এছাড়াও অন্যভাবে খাওয়ার জন্য আপনি ২-১ টি পাথরকুচি পাতা সামান্য গরম পানি এতে ফুটিয়ে মধু দিয়ে মিশ্রণ করে খেতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে আপনাকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। 

গর্ভাবস্থায় যদি রক্তচাপ কম থাকে তবে পাথরকুচি পাতা খাওয়া থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত।কেননা এটি খাওয়ার ফলে আরও রক্তচাপ কমে যেতে পারে। এছাড়াও গর্ভের প্রথম তিন মাস এটি এড়িয়ে চলুন।গর্ভাবস্থায় যদি আপনার এলার্জির সমস্যা থাকে তবে পাথরকুচি পাতা না খাওয়াই ভালো।তবে গর্ভাবস্থায় পাথরকুচি পাতা খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পাথরকুচি পাতা

আমরা জানি পাথরকুচি পাতা আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকমের রোগ দূর করে থাকে। তবে এসবের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পাথরকুচি পাতার ভূমিকা অন্যতম। কেননা আমরা যদি নিয়মিত এবং পরিমাণমতো পাথরকুচি পাতার ব্লেন্ড করে খেতে পারে তবে এতে বিদ্যমান বিভিন্ন রকমের পুষ্টি উপাদান আমাদের অতিরিক্ত রক্তচাপ কমিয়ে থাকে। পাশাপাশি এটি আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত রাখে। 

এছাড়াও পাথরকুচি পাতা নিয়মিত সেবন করার ফলে আমাদের শরীরের রক্তনালী গুলো ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়। যার ফলে রক্ত স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে এবং রক্তচাপ কম হয়। পাথরকুচি পাতায় কিছু প্রাকৃতিক গুণ রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে। যেটা আমাদের লিভার পরিষ্কার রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অধিক সহায় ভূমিকা পালন করে। 
অতিরিক্ত রক্তচাপ কমাতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রথমে আমাদের ৪-৫ টা পাথরকুচি পাতা সংগ্রহ করতে হবে।এরপরে সেই পাতাগুলো ভালোভাবে ব্লেন্ড করে সেখান থেকে রস বের করে নিতে হবে এবং এক চা চামচ পান করতে হবে।আমরা যদি নিয়মিত এইভাবে পাথরকুচি পাতা সেবন করতে পারে তবে আমাদের শরীরের উক্ত রক্তচাপ কমাতে আমরা সফল হবো বলে মনে করি। 

পাথরকুচি পাতা খাওয়ার অপকারিতা

আমরা ইতোমধ্যে পাথরকুচি পাতা খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। তবে পাথরকুচি পাতা খাওয়ার বিশেষ কিছু উপকারের পাশাপাশি এর কিছু অপকারী দিক রয়েছে। আমরা যদি নিয়মিত পাথরকুচি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করি তবে এর উপকারী দিক জানার পাশাপাশি আমাদের অবকারে দিকগুলো জানা প্রয়োজন। নিচে পাথরকুচি পাতা খাওয়ার কিছু অপকারিতা সম্পর্কে পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করা হলো।  
পাথরকুচি-পাতা-কখন-খেতে-হয়
  • পাথরকুচি পাতা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আমাদের পেটে গ্যাস্ট্রিক, বদহজমের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • আমাদের শরীরে যদি কম রক্তচাপ থাকে তবে এটি সেবনের ফলে রক্তচাপ আরও বেশি কমে যেতে পারে। যার ফলে শরীর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 
  • বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পাথরকুচি পাতা অন্যরকম সমস্যা সৃষ্টি করে। এই অবস্থায় পাথরকুচি পাতা খাওয়ার ফলে জরায়ুর সংকোচন দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকা উচিত। 
  • পাথরকুচি পাতা খাওয়ার ফলে আমাদের যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের শরীরে চুলকানি বা শ্বাসকষ্ট ভাব দেখা যেতে পারে। তাই এ অবস্থায় পাথরকুচি পাতা নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত। 
  • পাথরকুচি পাতা পরিমাপের বেশি খাওয়া করলে এটি আমাদের কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে। 
  • প্রতিনিয়ত পাথরকুচি পাতা নিয়মের অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে এটি আমাদের যকৃতের ওপর চাপ ফেলতে পারে। 
  • পাথরকুচি পাতা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আমাদের প্রস্রাবের পরিমাণ বেশি হয়। যার কারণে আমাদের শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। 
  • বিশেষ করে আমাদের বাচ্চাদের জন্য পাথরকুচি পাতা খুবই সতর্কতার সাথে খেতে হবে। কেননা এটি বাচ্চাদের পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। 
  • যেহেতু পাথরকুচি পাতা ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করে, সেহেতু এসব অসুখের জন্য ওষুধ সেবন করলে সেই ওষুধের প্রভাব পরিবর্তন করে দিতে পারে পাথরকুচি পাতা।

আমাদের শেষ কথা 

আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জানতে পারলাম পাথরকুচি পাতা কখন খেতে হয় এবং কিভাবে এটি খাওয়া উচিত এ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে। পাশাপাশি এটা জানলাম পাথরকুচি পাতা আমাদের শরীরের জন্য কি কি রকমের উপকার ও অপকার সাধন করে। আমরা যদি সকলেই নিয়ম মেনে প্রতিনিয়ত পাথরকুচি পাতা খেতে পারে তবে এটি আমাদের শরীরের জন্য বিশেষভাবে ভূমিকা রাখবে। 

আপনি যদি নিয়মিত পাথরকুচি পাতা খেতে চান তবে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত বিষয়সমূহ ভালোভাবে জেনে এবং বুঝে খাবেন।প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। আপনি যদি নিয়মিত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে চান তবে অবশ্যই এই ওয়েবসাইট ফলো করুন। আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

হ্যাপিনেস ভ্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url