কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড ভালো জেনে নিন সহজে

আপনি যদি জানতে চান কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড ভালো এবং ভিসা কার্ডের বিশেষ কি কি সুবিধা রয়েছে তবে আজকের এই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব ভিসা কার্ডের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য নিয়ে।
কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড ভালো
আমরা প্রায় সকলেই জানি বর্তমান এই সময়ে ইন্টারন্যাশনাল ভিসা কার্ড আমাদের সকলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই আজকে আমরা জানবো কোন ব্যাংকে ভিসা কার্ড করলে আমরা বেশি সুবিধা পাবো এবং ভিসা কার্ড নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। যেটা জানতে নিচে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 

পোষ্ট সূচিপত্রঃ কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড ভালো জানুন 

কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড ভালো

কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড ভালো এটা জানার পূর্বে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনার চাহিদা এবং সুবিধার ওপর। অর্থাৎ আপনার চাহিদা এবং সুবিধার উপর নির্ভর করে যে কোন ব্যাংক আপনার জন্য উত্তম। তবে চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় আসা যাক, যে আমাদের কোন কাজের জন্য কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড ভালো।  

প্রথমত, আপনি যদি আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধা পেতে চান তবে সেই ক্ষেত্রে আপনার ভিসা কার্ড এর জন্য City Bank American Express ভালো হতে পারে। কেননা এই ব্যাংকের ভিসা কার্ডের মাধ্যমে খুব সহজে আপনি এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ সুবিধা, লেনদেনের জন্য কম চার্জ এবং ভ্রমণ ইন্সুরেন্স সুবিধা পেতে পারেন। যেটা আপনার জন্য অত্যন্ত সুবিধা জনক হবে। 

দ্বিতীয়ত, আপনি যদি কোনরকম ব্যবসার কারণে বড় অংকের লেনদেন করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য BRAC Bank Visa Corporate Card ব্যাংকের ভিসা কার্ড কার্যকরী হবে বলে মনে করি। কেননা এখানে যেমন বড় অংকের সুবিধা পাবেন ঠিক তেমনি অফিসিয়াল ভ্রমণ কিংবা ব্যবসায়িক দিক থেকে বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন। পাশাপাশি এই ব্যাংকে একাধিক কার্ড খুব সহজে আপনি পরিচালনা করতে পারবেন। 

তৃতীয়ত, আপনি যদি বিভিন্ন অনলাইন ইনকামের জন্য সহজে পেমেন্ট গ্রহণ কিংবা পাঠাতে চান সেক্ষেত্রে Dutch Bangla Bank ভিসা কার্ড আপনার জন্য পারফেক্ট হতে পারে। এই ব্যাংকের ভিসা কার্ড ব্যবহার করে যেমন আপনি বিভিন্ন সহজ মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে পারবেন ঠিক তেমনি প্রতিমাসে এর জন্য কম ফি প্রযোজ্য। যেটা আপনার অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবে। 

ভিসা কার্ডের কি কি সুবিধা রয়েছে

ভিসা কার্ডের যতগুলো সুবিধা রয়েছে তার মধ্যে সর্বপ্রথম সুবিধা হচ্ছে এটি আমাদের নগদ টাকা বহন করার ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়। কেননা ভিসা কার্ড শুধুমাত্র বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ কিংবা কেনাকাটার জন্যই ব্যবহৃত হয় না, বরং এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যাবতীয় লেনদেনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চলুন ভিসা কার্ডের কিছু চমৎকার সুবিধা জেনে নিই। 

  • পুরো বিশ্ব জুড়ে ভিসা কার্ডের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের দোকানগুলোতে কেনাকাটা করার জন্য কিংবা বিভিন্ন সেবা পাওয়ার জন্য সহজে ভিসা কার্ড ব্যবহার করা যায়। শুধু তাই নয় বিদেশে কোথাও যদি আমরা ভ্রমণ করি তাহলে নগদ টাকার পরিবর্তে ভিসা কার্ড কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 
  • আমরা যদি অনলাইনে বিভিন্ন রকমের পণ্য ক্রয় করি কিংবা ইউটিউব, নেটফ্লিক্স ইত্যাদির সাবস্ক্রিবশন কিনতে চাই তবে ভিসা কার্ডের মাধ্যমে খুব সহজেই কেনা সম্ভব। পাশাপাশি অনলাইনে ডিজিটাল সার্ভিস কেনার জন্য ভিসা কার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 
  • আমরা যদি বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্ট কিংবা সুপারশপে ভিসা কার্ড ব্যবহার করে তবে কিছু আকর্ষণীয় অফার পাওয়া যায়। আবার কোথাও গিয়ে যদি ভিসার মাধ্যমে ফ্লাইট কিংবা হোটেল রুমের বুকিং করা হয় তবে সেই ক্ষেত্রে ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়।
  • আমরা যারা ফ্রিল্যান্সার রয়েছি তারা ভিসা কার্ড ব্যবহার করে খুব সহজে অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা ইনকাম করে সেটি লেনদেন করতে পারব। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ভিসা কার্ডে বিশেষ ক্যাশব্যাক এর সুবিধা রয়েছে। 

ভিসা কার্ড দিয়ে ব্যাংকে টাকা তোলার নিয়ম

ভিসা কার্ড দিয়ে টাকা তোলার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে এটিএম এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা। আর এটিএম থেকে টাকা তোলার নিয়মটি আমরা প্রায় অনেকেই জানি। তাই আজকে আমরা জানবো ব্যাংক থেকে কিভাবে সহজ উপায়ে ভিসা কার্ডের মাধ্যমে টাকা তুলতে হয়। চলুন বিষয়টি ক্লিয়ার করা যাক। 
কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড ভালো
  • এমন কিছু ব্যাংক রয়েছে যে সকল ব্যাংকের ক্ষেত্রে ক্যাশ অ্যাডভান্স সুবিধা রয়েছে। যেখানে আমরা ক্রেডিট কার্ড থেকে বাংলা ব্রাঞ্চে টাকা তুলতে পারে খুব সহজে। 
  • তার জন্য শুরুতে আপনাকে সেই ব্যাংকের নিকটস্থ কোন শাখায় যেতে হবে।
  • এরপর আপনাকে ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস কেয়ারে গিয়ে বলতে হবে যে, আপনি ভিসা কার্ডের মাধ্যমে ক্যাশ অ্যাডভান্স নিতে চান।
  • তার জন্য ব্যাংক থেকে আপনাকে একটি ফরম দেবে যেটা পূরণ করতে হবে খুব সুন্দর ভাবে। 
  • সেই ফরমটি পূরণ করা হয়ে গেলে আপনার ভিসা কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র দেখাতে হবে। 
  • এরপরে আপনি যতটুকু টাকা নিতে চান সেই পরিমাণ টাকা ব্যাংক থেকে কাউন্টারের মাধ্যমে নিতে পারবেন। 

ভিসা কার্ডের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা

কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড ভালো এ বিষয়টি সম্পর্কে হয়তো এতক্ষণে আমরা ক্লিয়ার হয়ে গেছি। আর এর মধ্যে আমরা এটাও বুঝেছি ভিসা কার্ড এমন এক ধরনের পেমেন্ট পদ্ধতি যেটি সারা বিশ্বজুড়ে ১৯০+ দেশের সাথে খুব ভালোভাবে পরিচিত। যার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই বিভিন্ন রকমের কেনাকাটা থেকে শুরু করে যাবতীয় লেনদেনের চাহিদা পূরণ করতে পারি খুব সহজে। আমরা যদি 

ভিসা কার্ডের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানিক দিক থেকে গ্রহণযোগ্যতা দেখতে চাই তবে এটি বিশ্বের মোট ৪০+ মিলিয়ন ব্যবসায়ীক প্রতিস্থানে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। যেখানে বিভিন্ন রকমের দামি দামি হোটেল রেস্তোরা থেকে শুরু করে শপিং মল, রিসোর্ট, সুপার শপ, স্টোর, ফ্লাইট টিকিট সব জায়গায় এটি ব্যবহৃত হয়। আবার আমরা যদি ভিসা কার্ডের মাধ্যমে 

বিভিন্ন দেশের টাকা যেমন ডলার, ইউরো, রিয়াল, দিরহাম ইত্যাদি লেনদেন করতে চাই তবে এর মাধ্যমে খুব সহজে এটি করা সম্ভব। যার কারণে এটি আমাদের মত বাংলাদেশীদের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের জন্য একটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে যেখানে নগদ টাকা বহন করার কোন রকমের ঝামেলা নেই। প্রিয় পাঠক, তাহলে আপনি এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ভিসা কার্ডের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা কত ব্যাপক। 

ভিসা কার্ড নির্বাচনের সময় কি করনীয় 

ভিসা কার্ডের ব্যবহার এবং এর কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই সুস্পষ্টভাবে জানতে পেরেছি। ভিসা কার্ড আমাদের ব্যক্তিজীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত হয়েছি। তাই আমাদের ভিসা কার্ড নির্বাচন করার সময় সঠিক কার্ড বেছে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নিই সঠিক ভিসা কার্ড নির্বাচনের সময় আমাদের করণীয় কি। 
কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড ভালো
শুরুতে আপনাকে ভিসা কার্ডের ধরন বুঝতে হবে যে আপনি কোন ভিসা কার্ড নিতে চান। আপনি যদি আপনার নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের টাকা ব্যবহার করতে চান তবে আপনাকে ডেবিট কার্ড নিতে হবে। আবার আপনি যদি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সে টাকা ব্যবহার করতেছে তাহলে আপনাকে ক্রেডিট কার্ড নিতে হবে। মাল্টা কাজের ভিসা ও বেতন কত জানুন। 

অপরদিকে আপনি যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা লোড দিয়ে ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার প্রিপেইড কার্ড নেওয়ায় উত্তম হবে বলে মনে করি। এরপরে আপনাকে যা করতে হবে...

  • নির্দিষ্ট ব্যাংকের শর্তাবলী সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে। 
  • আপনার নেওয়া ভিসা কার্ডের বার্ষিক ফি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। 
  • এটিএম ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে কি পরিমান চার্জ কাটবে এটার ধারণা নিতে হবে। 
  • ভিসা কার্ডে বিদেশে টাকা তুলতে কি পরিমাণ অতিরিক্ত চার্জ নেই সেটা জেনে নিতে হবে। 
  • আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড নিতে চান সেক্ষেত্রে সময়মতো বিল না দিলে কি পরিমান সুদ কাটবে এটা চেক করে নিতে হবে। 
  • সবসময় আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যেই ব্যাংকে কম চার্জ নেই এবং বেশি সুবিধা দেয় এমন ব্যাংক থেকে কার্ড নেওয়ার। 
  • এছাড়াও আপনার ভিসা কার্ডে যাবতীয় নিরাপত্তা, বিশেষ করে পিন নিরাপত্তা আছে কিনা সেটা যাচাই করে নিন।
  • ভিসা কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা লেনদেনের সময় সিকিউরিটি সিস্টেম আছে কিনা সেটা যাচাই করে নিন। 

ভিসা কার্ডের অফার ও ক্যাশব্যাক সুবিধা

বাংলাদেশে এমন কিছু ব্যাংক রয়েছে যে ব্যাংকগুলোতে ভিসা কার্ডের বিভিন্ন অফার এবং ক্যাশব্যাক সুবিধা থাকে। তাই আমাদের জানা উচিত কোন সকল ব্যাংক এসব সুবিধা দেই এবং কি রকম সুবিধা দেয়। আমরা যদি এটা জানি তাহলে আমাদের জন্য ভিসা কার্ডের অফার এবং ক্যাশব্যাক সুবিধা পাওয়া সহজ হবে। 

বাংলাদেশে ভিসা কার্ডের অফারের জন্য জনপ্রিয় একটি ব্যাংক হচ্ছে সিটি ব্যাংক। এই ব্যাংকে আমাদের মধ্যে কেউ যদি নতুন গ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে ১০,০০০ টাকার মতো এয়ার টিকেট ওয়েলকাম ভাউচার পেতে পারেন। আবার আমরা যদি এই ব্যাংকের ভিসা কার্ড ব্যবহার করি তবে প্রতিবছর এখান থেকে ১২,০০০ টাকার মতো ক্যাশব্যাক পেতে পারি। 

ভিসা কার্ড পাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া

আমরা যদি ভিসা কার্ড বানাতে চাই তবে এর জন্য শুরুতে আমাদেরকে আবেদন করতে হবে। তবে এর পূর্বে আমাদের জানতে হবে কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড ভালো। যেটা আমরা শুরুতেই জানতে পেরেছি। তাই এখন আমরা জানবো সেইসকল ব্যাংকের ভিসা কার্ড পাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয়।  

  • কোন ব্যাংকে আপনি ভিসা কার্ড আবেদন করবেন সে ব্যাংক প্রথমে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে। 
  • এরপরে সেই ব্যাংকের ভিসা কার্ডের অফার, ক্যাশব্যাক, লেনদেন সুবিধা ও আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় সম্পর্কে আপনাকে সঠিকভাবে জানতে হবে।  
  • তিনটি ভিসা কার্ড যেমন ডেভিড, ক্রেডিট ও প্রিপেইড ভিসা কার্ডের মধ্যে আপনি কোনটি নিতে চান সেটি সিলেক্ট করুন। 
  • বিশেষ করে আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড নিতে চান তাহলে ব্যাংকের শর্তগুলো ভালোভাবে জেনে নিন। 
  • এরপরে ভিসা কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন জাতীয় পরিচয় বা পাসপোর্ট এর ফটোকপি,আপনার পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি, ক্রেডিট কার্ডের জন্য টিন সার্টিফিকেট, আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এ সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিন। 
  • আপনি যেই ব্যাংকের ভিসা কার্ড নিতে চান সেই ব্যাংকে যদি অনলাইনে আবেদন করার সিস্টেম থাকে তাহলে অনলাইন আবেদন করুন। 
  • যদি অনলাইনে আবেদন করা না যায় তাহলে সরাসরি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে ফরম পূরণ করুন। 
  • আপনার সমস্ত কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়ে গেলে ব্যাংক আপনার এ সকল তথ্য যাচাই করে দেখবে। ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকুন। 
  • যাচাই করার পরে সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে ব্যাংক অনুমোদন দিলে আপনার ভিসা কার্ড ইস্যু করা হবে। এটি করার জন্য কিছু সময় লাগতে পারে। 
  • সবশেষে কমপক্ষে ১৫ দিনের মধ্যে আপনাকে আপনার ভিসা কার্ড দিতে পারে। 
  • অতঃপর কার্ড হাতে পাওয়ার পরে সেটি এক্টিভেশন করুন। গ্রাহক সেবা কেন্দ্র থেকে কিংবা অনলাইনে সেটি করতে পারবেন। 
  • ভিসা কার্ড ব্যবহার করার পূর্বে এর লেনদেন সম্পর্কে, বিল পরিশোধ, চার্জ বা ফি পরিশোধ এ সমস্ত বিষয় খুব সুন্দর ভাবে জেনে নিন। 

ভিসা কার্ড হারিয়ে গেলে কি করনীয় 

আমাদের মধ্যে কারো যদি কোন রকম ভাবে ভিসা কার্ড হারিয়ে যাই কিংবা চুরি হয়ে যায় তবে অর্থনৈতিক ক্ষতি এড়াতে আমাদের জরুরি কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যেটা আমাদের ভিসা কার্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তো চলুন সে পদক্ষেপ গুলো জেনে নিই। 
কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড ভালো
  • আপনার ভিসা কার্ড যদি কোন রকম ভাবে হারিয়ে যায় বা চুরি হয় তবে দ্রুত সেই কার্ড ব্লক করুন।প্রয়োজনে ব্যাংকের হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন দিয়ে সাথে সাথে ব্লক করে দিন। 
  • কোনরকম ভাবে যদি ভিসা কার্ড চুরি অথবা হারিয়ে যায় তাহলে ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় যে লিখিতভাবে অভিযোগ লিখুন। 
  • বিশেষ করে আপনি পুলিশ রিপোর্ট লিখাতে পারেন। 
  • আপনি ব্যাংকের মোবাইল অ্যাপ কিংবা ইন্টারনেট ব্যাংকিং এ প্রবেশ করে প্রতিনিয়ত ভিসা কার্ডের সন্দেহজনক লেনদেন চেক করতে পারেন। কোন কিছু সন্দেহজনক মনে হলে ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট কে জানাতে পারেন। 
  • যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন ভিসা কার্ডের জন্য আবেদন করুন। নতুন কার্ড পাওয়ার পরে সেটি নিরাপদে রাখার চেষ্টা করুন। 
  • এরকম দুর্ঘটনা এড়াতে আপনার ভিসা কার্ডের পিন নাম্বার কারো সাথে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে মাঝে মাঝে পিন নাম্বার চেঞ্জ করুন। 
  • যদি অনলাইনে লেনদেন করতে চান তাহলে ২ ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু রাখুন। 
  • কোন সন্দেহজনক মেসেজ পাওয়ার জন্য আপনার ফোনের নোটিফিকেশন অন রাখুন। 
  • কোন রকমের অপরিচিত লিংক কেউ যদি শেয়ার করে তাহলে সেই লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে সমস্যা হতে পারে। 

আমাদের শেষ কথা

কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড ভালো এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আপনি বিস্তারিত তথ্য জানলেন। পাশাপাশি ভিসা কার্ডের সমস্ত সুবিধা সমূহ এবং এর আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে খুব সুন্দরভাবে জানতে পারলেন। আপনি যদি উপরোক্ত এ সমস্ত বিষয়গুলো খুব সুন্দরভাবে বুঝে ভিসা আবেদন করেন তাহলে আপনাকে কখনো কোন রকমের সমস্যায় পড়তে হবেনা বলে মনে করি। 

তবে আপনিযদি এ সমস্ত নিয়ম অনুসরণ করে ভিসা কার্ড পেয়ে যান এবং এর পরেও কোন রকমের সমস্যা যদি দেখা দেয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব আপনার ভিসা ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করবেন। আপনি যদি নিয়মিত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইট ফলো করুন। এখানে আপনি নিয়মিত এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পাবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

হ্যাপিনেস ভ্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url