ফাইবার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কিত নতুনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
আপনি যদি ফাইবার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কিত এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে চান যা
আপনার জন্য অধিক কার্যকারী হবে, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজকের এই
আর্টিকেলে আমরা ফাইবার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কিত নতুনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
নিয়ে আলোচনা করবো।
আমরা অনেকেই হয়তো ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ করার পরেও তেমনভাবে কাজ পায়
না।তাই আপনি যদি ফাইবারে প্রতিনিয়ত কাজ পেতে এবং ফাইবার মার্কেটপ্লেস
সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যদি জানতে চান তবে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে
পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ফাইবার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কিত নতুনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- ফাইবার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কিত নতুনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- ফাইবার মার্কেটপ্লেস অধিক জনপ্রিয় হওয়ার কারণ
- ফাইবারে কিভাবে কাজ করলে বেশি কাজ পাওয়া যায়
- ফাইবারে নতুন থেকে কাজ শুরু করার টিপস
- ফাইবারে কিভাবে প্রথম অর্ডার পাবো
- ফাইবারে কাস্টমার সার্ভিস দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি
- ভিডিও কলে ফাইবার বায়ারের সাথে যেটা করণীয়
- ফাইবারে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কাজ করা
- ফাইবারে ক্যারিয়ার গড়ার সেরা কিছু টিপস
- সবশেষে লেখকের কিছু কথা
ফাইবার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কিত নতুনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
ফাইবার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে আমাদের প্রায় অনেকেরই কিছুটা হলেও ধারণা
রয়েছে। ফাইবার মার্কেটপ্লেস এমন এক ধরনের প্ল্যাটফর্ম যেটা ব্যবহার করে
প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করা সম্ভব। বিশেষ করে যারা ফাইবার মার্কেটপ্লেসে
নতুন তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার আয়ের উৎস। এখন আমরা জানবো ফাইবার
মার্কেটপ্লেস সম্পর্কিত নতুনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।যেটা জানা আমাদের
সকলের জন্যই অধিক কার্যকরী হবে।
আসলে ফাইবার মার্কেটপ্লেস কী? ফাইবার হচ্ছে এক ধরনের অনলাইন
প্লাটফর্ম। যেটা ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের দক্ষ ফ্রিল্যান্সাররা
তাদের সেবা প্রদান করে থাকে। বিভিন্ন রকমের ছোট বড় কোম্পানির রয়েছে
যারা তাদের কোম্পানির কাজের জন্য বিভিন্ন রকমের দক্ষ ফ্রিল্যান্সার খুঁজে
থাকেন।আর ফাইবার মার্কেটপ্লেস হচ্ছে সে মাধ্যম যা বিভিন্ন কোম্পানির
ছোট বড় চাহিদা সাথে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
আমরা যারা নতুন তাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে ফাইবারে কাজ করার সুবিধা
কী? আসলে ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ করার বিশেষ কিছু সুবিধা
রয়েছে। আর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো নিজের সময় মতো আপনি যেকোনো
সময় ফাইবারে কাজ করতে পারবেন। কারণ এর পূর্ণ স্বাধীনতা
রয়েছে। এছাড়াও আপনি খুব দক্ষ ভাবে কাজ করে বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের
সঙ্গে একটি সুন্দর সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন।
যেটা আপনার পরবর্তী ধাপে অনেক
কার্যকরী হবে। তবে ফাইবারে কাজ করার আরো একটি সুবিধা হচ্ছে আপনি ঘরে বসে
থেকে এখান থেকে উপার্জন করতে পারবেন। আপনি যদি ফাইবারে নতুন হয়ে থাকেন তবে আপনাকে ফাইবারের বিভিন্ন কাঠামো সম্পর্কে
আগে খুব ভালোভাবে জানতে হবে। বিশেষ করে ফাইবারে গিগ, সেলার এবং
বায়ার সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পেতে হবে।
যেটা আমি এখন আপনাকে দেবো।
গিগ হচ্ছে তারা, যারা ফাইবারে বিভিন্ন রকমের কাজের প্রস্তাব দেয়। আর
যেসব ফ্রিল্যান্সাররা কাজের সেবা দিয়ে থাকে তাদের সেলার বলে। অতঃপর
ফ্রিল্যান্সারদের সেবা যেসব ক্লায়েন্ট কিনে তাদেরকেই বায়ার বলে।তাহলে
আপনি এবার নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন গিগ, সেলার এবং বায়ার কি।
ফাইবার মার্কেটপ্লেস অধিক জনপ্রিয় হওয়ার কারণ
আচ্ছা আপনি কি জানেন সাইবার মার্কেটপ্লেস কেন অধিক জনপ্রিয়? ফাইবার
মার্কেটপ্লেস অধিক জনপ্রিয় হওয়ার প্রধান কারণ হলো এটি খুব সহজেই নতুন
এবং পুরাতন অভিজ্ঞ প্রায় সকলেই এটি ব্যবহার করতে পারে। শুধু তাই
নয়, আপনি এখানে প্রতিটি কাজের প্রস্তাব খুব সুন্দরভাবে তৈরি করতে পারবেন
এর সাথে ক্লায়েন্টের সাথে খুব সহজে বিভিন্ন কাজ নিয়ে যোগাযোগ করতে
পারবেন।
যেটা আপনার ইনকামের পথকে অনেকটা সহজ করে থাকে।এছাড়াও ফাইবার মার্কেটপ্লেসে আরেকটি বিশেষ সুবিধা হচ্ছে এখানে আপনি
বিভিন্ন রকমের কাজের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।শুধু আপনাকে আপনার কাজের প্রতি
একটু দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হওয়া লাগবে।তবে ফাইবারের অধিক সংখ্যক কাজের মধ্যে
জনপ্রিয় ক্যাটাগরির কাজ হলো ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব
ডেভেলপমেন্ট, আর্টিকেল রাইটিং,
ভিডিও এডিটিং ও ডিজাইন ইত্যাদি কাজ
রয়েছে যা আপনাকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে সাহায্য করবে। ফাইবার এমন এক ধরনের প্লাটফর্ম যেখানে ছোট এবং বড় উভয় ধরনের দক্ষ
ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্ট পাওয়া সম্ভব। যার ফলে আপনি কখনোই হতাশ হবেন
না। এছাড়াও ফাইবারের সেলারদের স্বাধীনতা এবং সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার
জন্য তারা নিজের কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে গিগ তৈরি করে থাকে।
পাশাপাশি
এর সঠিক মূল্য নির্ধারণ করে যা একজন ক্লায়েন্ট এবং সেলারদের
জন্য অত্যন্ত সাহায্যকারী।মূলত এসব কিছু সুযোগ-সুবিধার
কারণেই ফাইবার অনেক জনপ্রিয়।
ফাইবারে কিভাবে কাজ করলে বেশি কাজ পাওয়া যায়
ফাইবার অত্যাধিক সুবিধা জনক এবং জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। যেখানে অধিক
সংখ্যক কাজ খুব সুন্দরভাবে এবং নিজের সুবিধা মতো করা সম্ভব। এখানে কাজ
করার জন্য আপনি যদি আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারেন
তবে প্রতিনিয়তই এখান থেকে একটি ভালো প্রফিট পাবেন।তবে আমরা এখন খুব
ভালোভাবে জানবো যে ফাইবারে কিভাবে কাজ করলে বেশি পরিমাণে কাজ পাওয়া
সম্ভব। কেননা ফাইবারে কাজ করার জন্য এ বিষয়গুলো আমাদের জানা অত্যন্ত
জরুরী।
আরো পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লিখার বেস্ট নিয়মসমূহ
- শুরুতে একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করুন। তার জন্য আপনার প্রোফাইলকে আপনি এমন ভাবে সাজান যেটা দেখে আপনাকে পেশাদার মনে হয় এবং কোন বায়ার আপনার প্রোফাইল দেখে বিশ্বাসযোগ্য মনে করতে পারে।
- আপনার প্রোফাইলের জন্য একটি উচ্চ মানের এবং স্পষ্ট আকর্ষণীয় ছবি সিলেক্ট করুন। পাশাপাশি আপনার দক্ষতা সম্পর্কে খুব সুন্দর করে সেখানে বর্ণনা করুন। যা বায়ারকে আকর্ষিত করবে।
- কোন ক্লায়েন্টকে আপনার কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার জন্য আপনার প্রোফাইলে পোর্টফলিও যুক্ত করুন। এতে করে বায়ার আপনাকে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার বলে মনে করবে।
- ফাইবার মার্কেটপ্লেসে আপনি যখন আপনার কাজের জন্য প্রস্তাব করবেন তখন সেই প্রস্তাবের শিরোনাম সহ বিবরণ শুদ্ধ এবং পরিষ্কার রাখুন। পাশাপাশি সে প্রস্তাব পত্র যেন আকর্ষণীয় লাগে এমন করে সাজান।
- আপনার প্রস্তাব পত্র অর্থাৎ গিগের সৌন্দর্য আরো বেশি ফুটে তোলার জন্য সেখানে সুন্দর স্পষ্ট একটা ছবি কিংবা ভিডিও যুক্ত করুন। এতে করে আপনার গিগ অনেক বেশি আকর্ষণীয় দেখাবে। আপনার গিগের কিওয়ার্ড এমন ভাবে নির্বাচন করুন যেন সার্চ করলে খুব সহজেই পাওয়া যায়।
- আপনার কাজের একটি নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করুন। যেটা খুব কম কিংবা খুব বেশি জেনো না হয়।কেননা এর ফলে বায়ারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
- ক্লায়েন্টদের সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন। ক্লায়েন্টরা যদি কোন প্রশ্ন করে তবে ভদ্রতার সাথে খুব সুন্দর করে দ্রুত তাদের প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন। তাদেরকে সব সময় সন্তুষ্ট রাখুন। এতে করে আপনি পরবর্তীতে তাদের মাধ্যমে অধিক সংখ্যক কাজ পেতে পারেন।
- আপনি যদি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে নতুন হয়ে থাকেন তবে ছোট কাজ থেকে শুরু করুন। কেননা এতে করে আপনি খুব সহজে সময়ের মধ্যে কাজ কমপ্লিট করে দিতে পারবেন যার ফলে খুব ভালো একটা রিভিউ পাবেন। ভবিষ্যতে এটি আপনাকে বড় কোন কাজ পাওয়াতে সাহায্য করবে।
ফাইবারে নতুন থেকে কাজ শুরু করার টিপস
আপনি যদি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে নতুন হয়ে থাকেন তবে সেখানে কাজ শুরু করার জন্য
কিছু নীতিমালা আপনাকে মানতে হবে। ফাইবার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কিত নতুনদের
জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার ফলে আপনি উন্নতির দিকে পৌঁছাতে পারবেন।আপনি
যদি সেই সকল নীতিমালা বা কৌশল না মেনে কাজ করেন তবে হয়তো আপনার ফাইবার
মার্কেটপ্লেসে যাত্রা কিছুটা কঠিন হবে। তাই ফাইবারে নতুন থেকে কাজ শুরু
করার যে সকল টিপস রয়েছে সেগুলো জানা অবশ্যক।
সঠিক প্রোফাইল তৈরিঃ আপনি যদি আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফাইবারে
ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তবে সেই ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে আপনার প্রোফাইল এমনভাবে
সাজাতে হবে যেন সেটা দেখে পেশাদার মনে হয়। যখন আপনি আপনার প্রোফাইলে একটি
পেশাদার ফটো, আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সঠিক বিবরণ দিবেন তখন এর
ফলে বায়াররা আপনার প্রতি আস্থা রাখতে পারবে। এবং এর জন্য আপনাকে কাজ দিতে
পারে।
আকর্ষণীয় প্রস্তাবপত্রঃ আপনি যখন আপনার প্রস্তাব পত্র কে
আকর্ষণীয় করবেন তখন এর ফলে অনেক বায়ার আপনার প্রতি আকর্ষিত হয়ে আপনাকে
কাজ দেবে। আপনার প্রস্তাব পত্র অর্থাৎ গিগ আকর্ষণীয় করার জন্য এস
শিরোনাম এবং বিবরণ খুব সুন্দর এবং সহজ ভাষায় লিখুন। পাশাপাশি দিকে এমন
কিছু ইমেজ বা ভিডিও যুক্ত করুন যার ফলে একজন বায়ার খুব সহজেই আকর্ষিত হতে
পারে।
ছোট কাজ দিয়ে শুরুঃ আপনি আপনার কাজের প্রতি অত্যন্ত দক্ষ কিন্তু
সাইবার মার্কেটপ্লেসে আপনি নতুন সেই ক্ষেত্রে আপনার যা করণীয় তা হলো ছোট
কাজ দিয়ে আপনি আপনার ফাইবার মার্কেটপ্লেতে কাজ শুরু করুন। কেননা আপনি যখন
বিভিন্ন রকমের ছোট কাজ অত্যন্ত দক্ষতার সহিত সঠিক সময়ে করে আপনার বায়ারকে
সন্তুষ্ট করবেন এর ফলে আপনি অনেক ভালো রিভিউ পাবেন। যা ভবিষ্যতে আপনাকে আরো বড়
কাজ পেতে সাহায্য করবে।
সময় মতো কাজ ডেলিভারঃ ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ করার সময় যখন কোন
কাজ পাবেন তখন বায়ারকে একটি নির্দিষ্ট সময় দিন। আর সে সময়ের মধ্যে সে
কাজটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করে বায়ারকে কাজটি জমা দিন। আপনার মান
বজায় রাখুন এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন। এতে করে বায়ার আপনার প্রতি
সন্তুষ্ট হবে এবং ভালো রেটিং দিবে। পরবর্তীতে হয়তো এর মাধ্যমে আরো কাজ
পেতে পারেন। এসব নিয়ম মেনে ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ করলে আপনি সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবেন।
ক্লায়েন্টদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখাঃ ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ করার
জন্য এবং পরবর্তীতে একটি ভালো গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য আপনার ক্ষেত্রে যেটা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে প্রতিটি বায়ারের সাথে খুব সুন্দর সম্পর্ক
রাখা। তার জন্য আপনি যেটা করবেন বায়ারকে খুব সুন্দর ভাবে বুঝে তার কাজ
সময়ের মধ্যে কমপ্লিট করে দিবেন। এর ফলে আপনাদের মাঝে একটা সুন্দর সম্পর্ক
তৈরি হবে। যেটা আপনাকে অধিক রেটিং এবং পরবর্তীতে কাজ পেতে সাহায্যকারী
হবে।
ফাইবারে কিভাবে প্রথম অর্ডার পাবো
আমরা অনেকেই আছি যারা ফাইবারে নতুন কিন্তু অনেকদিন হওয়ার পরেও ঠিকমতো কাজের অর্ডার পাই না। আবার আমরা অনেকেই আছি যারা ফাইবারে এ পর্যন্ত কোন কাজ পাইনি। কেন এমন হয়?
মূলত আপনি যদি ফাইভারে কৌশল অথবা টেকনিক
মেনে চলতে না পারেন তবে আপনার কাজ পাওয়া একটু কষ্টকরই হবে।তবে চলুন
জেনে নিই কিভাবে এ কষ্ট দূর করা যায়। ফাইবার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কিত
নতুনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এর মধ্যে এটাও রয়েছে যে ফাইবারে
আপনি কিভাবে প্রথম অর্ডার পাবেন। তাহলে চলুন বিষয়টি ক্লিয়ার করা
যাক।
ফাইবার মার্কেটপ্লেসে প্রথম অর্ডার পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যে বিষয়ের ওপর
অধিক গুরুত্ব দিতে হবে সেটি হচ্ছে বায়ারের রিকোয়েস্ট। প্রতিদিনের জন্য
আপনি বায়ার রিকোয়েস্ট সেকশনটি চেক করুন এবং বায়ারের চাহিদা অনুযায়ী যে
কাজ আপনি দক্ষতা সমেত করতে পারবেন সেই কাজের জন্য খুব সুন্দর করে প্রাসঙ্গিক
প্রস্তাব পাঠান।
তবে অবশ্যই এটি খেয়াল রাখবেন যে, সেই প্রস্তাব পত্র
এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেখানে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার বর্ণনা খুব সুন্দর
ভাবে থাকবে সাথে বায়ারের সমস্যা যে আপনি সমাধান করতে প্রস্তুত সেটাও উল্লেখ
করতে হবে। আপনি যখন এ সমস্ত বিষয়গুলো একজন ক্লায়েন্টের সামনে তুলে ধরবেন তখন সে ক্লায়েন্টটি আপনার প্রতি আস্থা রাখতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন $100 আয় করা যায়
তবে প্রথম দিকে ভালো রিভিউ
পাওয়ার জন্য এবং আপনার কাজ যে ঝুঁকিমুক্ত এটি বায়ারকে নিশ্চিত করার
জন্য আপনার গিগের মূল্য কম রাখুন। আপনার ভাইয়ার যদি একবার আপনার
প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যায় তবে এর জন্য অনেক ভালো রিভিউ পাবেন। যেটা আপনাকে
ভবিষ্যতে আরও বড় অর্ডার পেতে সাহায্য করবে। তবে শুরুতে যে আপনার প্রোফাইল
পারফেক্ট হতে হবে এটা হয়তো আপনি ইতোমধ্যে উপরের সমস্ত আর্টিকেল থেকে জেনে
গেছেন।
এছাড়াও ফাইবারে প্রথম অর্ডার পাওয়া কিংবা নিজেকে আরও বেশি উর্ধ্বে পৌঁছানোর
জন্য আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে ফেসবুক,
টুইটার ইত্যাদির মতো সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে আপনার গিগের প্রচার
করুন। এর ফলে আপনার যে লাভটা হবে তা হলো, আপনার পরিচিতদের মধ্য থেকে
ক্লাইন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আর তাদের কাজ খুব অল্প সময়ে কমপ্লিট করার মধ্য দিয়ে আপনি ক্লায়েন্টের সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হবেন।
ফাইবারে কাস্টমার সার্ভিস দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি
আপনি যদি একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হয়ে ফাইবারে সঠিক নিয়মে কাস্টমার
সার্ভিস দিতে চান তবে আপনাকে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। কেননা ফাইবারে
বায়ার পেতে এবং ফাইবার থেকে অধিক পরিমাণে ইনকাম করার জন্য আপনাকে সঠিকভাবে
কাস্টমার সার্ভিস দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাই আমি এখন আপনাকে জানাবো ফাইবারে
কিভাবে কোন পদ্ধতিতে কাস্টমার সার্ভিস দিতে হয়।বিষয়টি জানার জন্য
এই পয়েন্টগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
- যখন কোন ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজের জন্য মেসেজ করবে তখন খুব দ্রুত এবং সুন্দরভাবে তার মেসেজের রিপ্লে করুন। ক্লায়েন্ট যে বিষয়ে আপনার কাছে জানতে চায় তাকে সেই বিষয়টি খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বলুন।
- ক্লায়েন্ট আপনার মাধ্যমে কি কাজ করে নিতে চায় সেটা আগে তার কাছ থেকে ভালোভাবে বুঝে নিন।ক্লায়েন্টের প্রয়োজন খুব সুন্দর ভাবে বুঝুন এবং আপনার কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে প্রশ্ন করুন।অতঃপর কাজের সঠিক নির্দেশনা বুঝে খুব সুন্দর করে কাজটি সম্পন্ন করুন।
- ক্লায়েন্টকে এমন একটি নির্দিষ্ট সময় দিন যার ভেতরে আপনি কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন। এরপরে কাজটি সম্পন্ন হয়ে গেলে ক্লায়েন্টকে খুব সুন্দর ভাবে সেটি বুঝিয়ে দিন এবং তার সন্তুষ্টি অর্জন করুন।
- ক্লায়েন্ট এর প্রতিটি কাজ অত্যন্ত দক্ষতার সহিত করুন। পাশাপাশি ক্লায়েন্ট যেইভাবে করতে নির্দেশনা দিয়েছে ঠিক সেই ভাবে করুন। এতে করে আপনি অনেক ভালো রেটিং পেতে পারেন।
- যদি পারেন ক্লায়েন্টদের বড় কোন কাজের সাথে ছোটখাটো কাজ ফ্রিতে করে দিন। পাশাপাশি ক্লায়েন্টদের সাথে খুব নম্র এবং ভদ্র ভাষায় কথা বলুন। এভাবে আপনি ক্লায়েন্টের সন্তুষ্টি অর্জন করুন।
ভিডিও কলে ফাইবার বায়ারের সাথে যেটা করণীয়
ভিডিও কলে ফাইবার বাইরের সাথে কিভাবে কথা বলবো? আপনি যদি জানতে চান
ফাইবার বায়ারের সাথে ভিডিও কলে কি করনীয় তবে আর্টিকেলটি
পড়ুন। ফাইবার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কিত নতুনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য যদি আপনি জানতে চান তাহলে একজন বায়ারের সাথে ভিডিও কলে কিভাবে কথা
বলতে হবে সেটাও আপনারা জানা উচিত। আর তার জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন
দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে হবে।
- ফাইবার এমন এক ধরনের মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি সঠিকভাবে কাজ করতে চাইলে বায়ারদের সাথেও খুব সুন্দরভাবে ভিডিও কলে কথা বলতে হবে। এতে করে আপনি অধিক পরিমাণে কাজ পেতে পারেন।
- একজন ফাইবার বায়ারের সাথে যখন আপনি ভিডিও কলে কথা বলবেন তার আগে দিয়ে বায়ারের কাছে থেকে তার সমস্ত ইচ্ছা এবং চাহিদা সম্পর্কে জেনে এবং সেইগুলো নোট করে নিন যেগুলো কথা বলার সময় কাজে লাগবে।
- বায়ারের সাথে কথা বলার আগে খুবই পরিষ্কার এবং পরিপাটি হয়ে নিন। পাশাপাশি ভিডিও কলে বায়ারের সাথে কথা বলার পূর্বে খুব সুন্দর এবং পরিষ্কার পোশাক পরুন। জেনো বায়ার আপনাকে দেখে ভরসা পাই এবং আকর্ষিত হয়। সাথে আপনার পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড টাও যেন সুন্দর থাকে। এতে করে বায়ার আপনাকে দক্ষ প্রফেশনাল মনে করবে।
- যেহেতু এটি একটি অনলাইনে কাজ, সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই কোনো বায়ারের সাথে কথা বলার পূর্বে আপনার ইন্টারনেট সংযোগ চেক করে নিন। যেন কোন রকমের সমস্যা না হয়। কেননা বায়ারের সাথে কথা বলার সময় যদি ইন্টারনেটের সমস্যা হয় তবে আপনার বায়ার বিরক্ত বোধ করতে পারে।
- ভিডিও কলে ফাইবার বায়ার এর সাথে কথা বলার সময় একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন। এতে করে যেমন আপনার এবং বায়ারের উপকার হবে পাশাপাশি আপনার সময়ানুবর্তিতা পেশাদারিত্ব বজায় থাকবে।
- এছাড়াও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনি যখন বায়ারের সাথে কথা বলবেন তখন আপনাকে সম্পূর্ণরূপে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ধৈর্য ধরে বায়ারের সমস্ত রকমের সমস্যা দূর করার চেষ্টা করুন।এতে করে বায়ার আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে।
ফাইবারে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কাজ করা
আমরা অনেকেই মনে করি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ফাইবারে কাজ করা সম্ভব
নয়। কিন্তু বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য
ফাইবারের মোবাইল অ্যাপ এক ধরনের গুরুত্বপূর্ণ টুল হিসেবে কাজ
করে। কেননা আপনি যদি মোবাইল ফাইবার টুল ব্যবহার করে থাকেন তবে আপনি
যে কোন স্থান থেকে খুব সহজেই আপনার অ্যাকাউন্টটিকে কন্ট্রোল করতে
পারবেন।
বিষয়টি হয়তো আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারেননি। চলুন তাহলে
বিষয়টি স্পষ্ট করা যাক। ফাইবারের মোবাইল অ্যাপ আপনি বিভিন্ন জায়গা বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবহার করতে
পারেন। এতে করে আপনার ডেস্কটপের ঝামেলা কম হয়। ফাইবারের মোবাইল
অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি আপনার ক্লায়েন্টদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া এবং এর
পাশাপাশি নতুন প্রজেক্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন খুব সহজে।
শুধু তাই
নয়, এই সকল কাজগুলো আপনি যেকোনো স্থান থেকে করতে পারবেন। ফাইবারের মোবাইল
অ্যাপটি এমনভাবে সাজানো আছে যে আপনি খুব সহজেই এর প্রোফাইল এবং গিগ পরিচালনা
করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার কাজের গতিশীলতা বাড়াতে ফাইবারের মোবাইল অ্যাপটি
গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার কাজের সময় এবং আপনার কাজের ডেলিভারির সময় মনে
করিয়ে দেওয়ার জন্য এই অ্যাপের নোটিফিকেশন ফিচারটি অধিক কার্যকরী।
তাহলে
এবার হয়তো বিষয়টি আপনার কাছে ক্লিয়ার হয়েছে যে ফাইবারের মোবাইল অ্যাপ আপনার
জন্য কতটা সহায়ক। তাই সব মিলিয়ে বলা যায় যে, আপনি যদি আপনার
ফ্রিল্যান্সিং কাজে এই মোবাইলে ফাইবারের অ্যাপটি ব্যবহার করেন তবে এর ক্ষেত্রে
আপনার সফলতা আরো সহজ হবে।
ফাইবারে ক্যারিয়ার গড়ার সেরা কিছু টিপস
ফাইবার মার্কেটপ্লেস যে শুধুমাত্র আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় কাজ দিবে ঠিক এমনটি নয়, বরং এটি আপনার ক্যারিয়ার গড়ার একটি মাধ্যম। আপনি যদি আপনার দক্ষতা এবং সঠিক কৌশলকে কাজে লাগাতে পারেন তবে পরিশ্রম দিয়ে আপনি ফাইবারে আপনার ক্যারিয়ার গড়ে নিতে সক্ষম হবেন।
বিশেষ করে আপনার পেশাদার
প্রোফাইল, আপনার কাজের ধরন দেখে এই সাইট আপনাকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে
পরিচিতি দিবে। তাহলে চলুন এবার জেনে নিই ফাইবারে আপনার ক্যারিয়ার গড়ার
জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস।
- দক্ষতার বৃদ্ধিঃ আপনি যদি ফাইবারে আপনার ক্যারিয়ার করতে চান তবে অবশ্যই আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে। আর সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন রকমের নতুন নতুন স্কিল শিখুন। যেটা আপনাকে আপডেট করবে।
- প্রোফাইল আকর্ষণীয়ঃ আপনি হয়তো এতক্ষণে জেনে গেছেন যে ফাইবারে ভালো বায়ার পেতে প্রোফাইল আকর্ষণীয় হতে হবে। তবে শুধু বায়ার পাওয়ার জন্যই নয়, বরং প্রোফাইল আকর্ষণীয় হওয়ার মাধ্যমেও আপনার সুন্দর ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। কেননা ফাইবার মার্কেটপ্লেস এর প্রোফাইল বায়ারদের কাছে জানান দেবে যে আপনি আপনার কাজের জন্য কতটা দক্ষ।
- গুণ ও মান বজায়ঃ ফাইবার মার্কেটপ্লেসে আপনাকে সফল হতে হলে অবশ্যই আপনার কাজের গুণ ও মান ঠিক থাকা লাগবে। সেজন্য আপনাকে প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করতে হবে। সাথে বায়ারের নির্দিষ্ট সময়ের কাজ সঠিক সময় ডেলিভারি করতে হবে যেন তারা আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হতে পারে।
- ভালো সম্পর্কঃ যখন আপনি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন তখন আপনাকে বিভিন্ন রকমের ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলা লাগবে। তবে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই তাদের সাথে খুব নম্র এবং ভদ্র ভাষায় কথা বলতে হবে। পাশাপাশি তাদের প্রশ্নের সঠিক এবং দ্রুত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
- রিভিউ এবং রেটিংঃ ফাইবার মার্কেটপ্লেসে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো ভালো রেটিং। এই মার্কেটপ্লেসে আপনি যত ভালো রেটিং পাবেন এবং যত বেশি রেটিং পাবেন আপনার তত কাজ হবে। যেটা আপনার ক্যারিয়ার গড়ার জন্য অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। তাই আপনার উচিত হবে ভালো রিভিউ পাওয়ার জন্য ক্লায়েন্টের প্রতিটি কথা খুব সুন্দর করে বোঝায় এবং দক্ষতার সহিত তাদের কাজ করা।
- ফাইবারের নিয়মঃ ফাইবারের জন্য সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনাকে ফাইবারের যাবতীয় নিয়ম এবং গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। যখন আপনি ফাইবারের সকল নিয়ম মেনে কাজ করবেন তখন আপনার অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে এবং আপনি অনেক বেশি উন্নতি করতে পারবেন।
সবশেষে লেখকের কিছু কথা
আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি ফাইবার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কিত নতুনদের
জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুব সহজেই জানতে পারলেন। পাশাপাশি ফাইবারে
কিভাবে কাজ করতে হবে, কিভাবে বায়ারের সাথে কথা বলতে হবে, যেভাবে কাজ
করলে প্রথম অর্ডার পাবেন এ সমস্ত বিষয় নিয়ে আমি খুব সুন্দর ভাবে এই
আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করেছি। যা ফাইবার মার্কেটপ্লেসে আপনার
ফ্রিল্যান্সার যাত্রাকে উন্নত করবে। আপনি যদি উপরোক্ত সমস্ত নিয়ম গুলো
মেনে কাজ করতে পারেন তবে এটা আপনার জন্য অধিক কার্যকরী হবে।
আমি আশা করছি ফাইবার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কিত আপনার মনে যত প্রশ্ন ছিল আপনি সব
প্রশ্নের উত্তর এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। এরপরেও যদি আপনার
মনে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।আপনি যদি
নিয়মিত এই ধরনের ফ্রিল্যান্সিং টিপস পেতে চান তবে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত
ভিজিট করুন। এখানে প্রতিনিয়ত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা
হয়। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাপিনেস ভ্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url