কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন $100 আয় করা যায়

কিভাবে ফেসবুক থেকে প্রতিদিন $100 আয় করা যায় সেটা কি আপনি জানতে চান? আপনার যদি ইচ্ছা থাকে যে আপনি ফেসবুক থেকে প্রতিদিন $100 আয় করবেন তবে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন $100 আয় করা যায়
আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে ফেসবুক থেকে প্রতিদিন $100 আয় করা যায়। ফেসবুক আমরা প্রতিনিয়তই ব্যবহার করে থাকি। সেই ক্ষেত্রে কিভাবে ফেসবুক থেকে প্রতিদিন $100 আয় করা যায় সেটা আমাদের অবশ্যই জানা উচিৎ এবং আমরা এখন সেটা জানতে চলেছি।  

পোস্ট সূচিপত্রঃ কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন $100 আয় করা যায়

কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন $100 আয় করা যায় 

বর্তমানে এই আধুনিকতার যুগে ফেসবুক এমন এক ধরনের প্লাটফর্ম যেটার সাহায্যে মানুষ সামাজিক যোগাযোগ সহ বিভিন্নভাবে আয় করতে সক্ষম হচ্ছে। কেননা বর্তমান সময়ে কিছু কিছু মানুষ সঠিক বুদ্ধিমত্তা এবং কৌশলকে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন ফেসবুক থেকে $100 বা এর বেশি পরিমাণ ডলার ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। আপনি যদি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চান তবে আপনার দ্বারাও এটি সম্ভব। তাহলে চলেন আগে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন $100 আয় করা যায়। 

প্রফেশনাল পেজ বা গ্রুপ তৈরিঃ আপনার যদি লক্ষ্য থাকে ফেসবুক থেকে আপনি ইনকাম করবেন তবে আপনি আপনার লক্ষ্যকে কাজে লাগানোর জন্য সর্ব প্রথমে যেটা করবেন সেটা হচ্ছে একটি প্রফেশনাল পেজ অথবা গ্রুপ তৈরি। তবে সেটা কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর হতে হবে। যেমন ধরুন আপনি ট্রাভেলিং করতে পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার প্রফেশনাল পেইজে নিয়মিত ট্রাভেল সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের মানসম্মত কন্টেন্ট পোষ্ট করুন। যেন তা ধীরে ধীরে আপনার পাঠককে আকর্ষিত করে। 

ভিডিও কনটেন্ট তৈরিঃ বর্তমান সময়ে ফেসবুক থেকে ইনকামের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি। কেননা ফেসবুকে এখন প্রাই বেশিরভাগ মানুষই ভিডিও কনটেন্ট দেখতে পছন্দ করে। আর তার জন্য আপনার পছন্দের একটি টপিক কে কেন্দ্র করে ভিডিও ক্রিয়েট করুন। যদি আপনার ভিডিওতে অধিক পরিমাণে ভিউজ এবং লাইক কমেন্ট আসে তবে আপনি আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন যুক্ত করার মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারবেন। 

স্পন্সরশিপের জন্য কন্টাক্টঃ আপনার পেইজ অথবা গ্রুপ যদি অধিক জনপ্রিয় হয়ে যায় তবে সেই ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন স্পন্সরশিপের জন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে চুক্তি করতে পারেন। এতে করে সেই সব ব্র্যান্ডগুলো আপনার পেজ অথবা গ্রুপের মধ্যে তাদের পণ্য প্রচারের মাধ্যমে আপনাকে টাকা দিয়ে থাকবে। যেটা ফেসবুকে আপনার আয়ের একটা অন্যতম উৎস হবে।

ডিজিটাল পণ্য বিক্রয়ঃ ফেসবুক থেকে আই করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে ডিজিটাল পণ্য বিক্রয়। আপনার ফেসবুক পেইজের যদি অধিক জনপ্রিয়তা থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল টেমপ্লেট, ই-বুক ইত্যাদি বিক্রয় করে আয় করতে পারবেন। কেননা প্রায় অধিকাংশ মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস ফেসবুক থেকেই ক্রয় করে থাকে। যার জন্য আপনি খুব সহজেই এগুলো ফেসবুকের মাধ্যমে প্রমোট করতে পারবেন। 

ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আয়ের টেকনিক

আমরা এতক্ষণ জানলাম কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন $100 আয় করা যায়। পাশাপাশি আমরা এটা ধারণা পেয়ে গেছি যে ফেসবুক শুধুমাত্র একটি সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম হিসেবেই পরিচিত নয়, বরং এটি এক ধরনের ব্যবসায়িক মাধ্যম হিসেবেও পরিচিত। এখন আমরা খুব ভালোভাবে জানবো কোন সব টেকনিক ফলো করে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। তো চলুন বিষয়গুলো খুব সুন্দর ভাবে জেনে নেওয়া যাক। 

স্পন্সরড কনটেন্ট লিখাঃ ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে আয় করার একটি সহজ উপায় হলো স্পন্সরড পোস্ট লেখা। আপনার পেইজের যদি জনপ্রিয়তা থাকে এবং বিভিন্ন পোস্টে অধিক সংখ্যক লাইক এবং কমেন্ট থাকে তবে সেই ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন রকম কোম্পানির সাথে ডিল করতে পারেন। যার ফলে আপনি আপনার কনটেন্ট এর মাধ্যমে সেই সব কোম্পানির বিভিন্ন পণ্যের প্রমোট করে তাদের কাছ থেকে অর্থ পেয়ে থাকবেন। 

নিজস্ব পণ্য বিক্রিঃ আপনি যদি মনে করেন আপনার বিভিন্ন পণ্য আপনি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিক্রি করবেন তবে সেটা সম্ভব। আর আপনার এই উদ্যোগটি আপনার ক্ষেত্রে অধিক কার্যকরী হবে।কেননা আপনার পেইজ যদি অধিক ফলোয়ার বিশিষ্ট হয় তবে আপনার ফলোয়ার আপনার বিভিন্ন পণ্য দেখে পছন্দ করবে এবং পরক্ষণে সেগুলো ক্রয় করবে। পাশাপাশি আপনি যদি কোচিং সেবা এবং ই-বুক কোর্স বিক্রি করতে চান তবে সেটাও সম্ভব হবে। 

পেইড গ্রুপ চালুঃ বিভিন্ন রকমের স্পেশাল কনটেন্ট যেমন স্বাস্থ্য টিপস সম্পর্কিত এবং শিক্ষনীয় কনটেন্ট যদি আপনি তৈরি করে থাকেন আর সেই গুলো যদি প্রাইভেট করে দর্শকদের কাছে সরবরাহ করতে চান তবে সেই ক্ষেত্রে আপনি পেইড গ্রুপ চালু করতে পারেন। এতে করে আপনার সেই এক্সক্লুসিভ কন্টেন্টগুলো মেম্বাররা একটি নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে সেগুলো উপভোগ করতে পারবে। যার ফলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। 


ফ্রিল্যান্স সেবা দেওয়াঃ আপনি যদি একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তবে ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনি আপনার দক্ষতা দেখিয়ে সেখান থেকে উপার্জন করতে পারেন। আর তার জন্য আপনাকে যা করতে হবে, আপনার সেই প্রফেশনাল পেইজে আপনার দক্ষতা থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি যাবতীয় ফ্রিল্যান্সিং সেবা সমূহ প্রমোট করুন।পাশাপাশি সেইসবের ক্লায়েন্ট খুঁজুন যাদের মাধ্যমে আপনার ইনকামের রাস্তা সহজ হবে। 

ফেসবুক অ্যাড ব্যবহার করাঃ অধিকাংশ মানুষ ফেসবুকে ভিডিও দেখার মাধ্যমে সময় পার করে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আপনি যদি একজন ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে পারেন তবে আপনার ক্ষেত্রে এটা অধিক কার্যকরী হবে। যার মাধ্যমে আপনি ফেসবুকের নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করে দেওয়ার সাথে ডলার ইনকাম করতে পারবে। শুধু তাই নয়, আপনার ভিডিও কনটেন্ট এর মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখিয়ে সেখান থেকে উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। 

ফেসবুকে সাধারণ পোস্ট ভাইরাল করে আয় 

ফেসবুকে সাধারণভাবে পোস্ট করে সেটার মাধ্যমে কি আয় করা সম্ভব? হ্যাঁ আপনি চাইলে অবশ্যই সম্ভব। ফেসবুকে সাধারণভাবে পোস্ট করে সেটা যদি ভাইরাল করতে পারেন তবে আপনি উপার্জন করতে পারবেন কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করলে। আপনি হয়তো এই বিষয়টি বুঝে গেছেন যে কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন $100 আয় করা যায়। আর তার মধ্যে ফেসবুকে সাধারণ পোস্ট ভাইরাল করে আয় করার উপায়ও রয়েছে। 

যেটা আমি এখন আপনাকে খুব সুন্দর করে জানিয়ে দেবো। তো চলুন বিষয়টি ক্লিয়ার করা যাক। ফেসবুক এমন এক ধরনের প্লাটফর্ম যেখানে আপনি যদি সঠিক বুদ্ধি এবং কৌশল কাজে লাগাতে পারেন তবে বিভিন্নভাবে আয় করতে সক্ষম হবে। শুধু ১০০ ডলারই নয়, প্রতিদিন এর থেকে বেশি পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। তাই বলা যায় ফেসবুক এমন এক ধরনের শক্তিশালী মাধ্যম যেখানে সাধারণ পোস্ট ভাইরাল করার মাধ্যমে অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারবেন।

পাশাপাশি সেখান থেকে উপার্জন করতে পারবেন। তার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার কনটেন্ট এর মান এবং দর্শকদের আগ্রহের বিষয়গুলো মাথায় নিতে হবে। এরপরে আপনার আসল কাজ শুরু। বিভিন্ন রকমের আকর্ষণীয় পোস্ট যেমন হাস্যকর মিমস, অনুপ্রেরণার গল্প অথবা বিভিন্ন ধরনের আবেগপ্রবণ পোষ্ট করতে পারেন যেগুলো মানুষের মনে লেগে যায়। 

তবে এসব পোস্টগুলো এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যেটা দেখে পাঠকগণ পড়তে খুবই আগ্রহী হয়ে ওঠে। এছাড়াও আপনার জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন রকমের ট্রেন্ডিং বিষয়ক পোস্ট করুন। যার ফলে আপনার পোস্ট খুব শীঘ্রই ভাইরাল হয়ে যাবে। তবে আপনার পোস্ট ভাইরাল করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে পোস্টে একদম স্পষ্ট এবং মানসম্মত ছবি অথবা ভিডিও আপলোড করুন। 

এতে করে দর্শকদের নজর কাড়ে এবং আপনার পোস্ট পড়তে আগ্রহী হয়ে ওঠে। অতঃপর এমন কোন বিষয়ের ওপর পোস্ট লেখার চেষ্টা করুন যেটা মানুষের আবেগকে নাড়া ওঠে। এর ফলে আপনার পোস্টে শেয়ারের সংখ্যা বেশি থাকবে এবং খুব সহজেই পোস্ট ভাইরাল হবে। আপনি যদি এসব বিষয়গুলো মেনে আপনার পোস্ট ভাইরাল করতে পারেন তবে সেখান থেকে খুব সহজেই স্পন্সরড এর মাধ্যমে উপার্জন করতে পারবেন।

ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার প্রক্রিয়া

ফেসবুকে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা সম্ভব? আপনার মনে যদি এরকম প্রশ্ন থেকে থাকে তবে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ফেসবুক এমন এক ধরনের প্ল্যাটফর্ম যেখানে খুব সহজেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব। তবে তার জন্য কিছু কৌশল এবং আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে। কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন $100 আয় করা যায়? এই প্রশ্নের জন্য আমি বলবো অন্যান্য ইনকামের পাশাপাশি ফেসবুক থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করা সম্ভব। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় এটা জানার আগে আমাদের জানতে হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং টা আসলে কি।এটি এমন এক ধরনের মার্কেটিং পদ্ধতি যেখানে আপনি ফেসবুক থেকে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যগুলোর প্রমোট করার মাধ্যমে সেগুলো যে পরিমাণ বিক্রয় হবে তার থেকে আপনি কমিশন পাবেন। সেই ক্ষেত্রে আপনার নির্দিষ্ট একটি প্রফেশনাল এবং আকর্ষণীয় পেইজ থাকতে হবে।তাহলে চলুন এবার জেনে নেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার প্রক্রিয়াসমূহ। 

  • মানুষের আগ্রহ এবং চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে আপনার পছন্দমত একটি বিষয় বেছে নিন এবং তার ওপরে কন্টেন্ট লেখা শুরু করুন। 
  • এরপরে বিভিন্ন রকমের অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক থেকে প্রয়োজনীয় লিংকগুলো সংগ্রহ করুন। যেমন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট, ক্লিক ব্যাংক ইত্যাদি। 
  • একটি নির্দিষ্ট এবং প্রফেশনাল ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেখানে নিয়মিত আকর্ষণীয় মূলক কনটেন্ট শেয়ার করুন। 
  • বিভিন্ন রকমের পণ্যের প্রচারের জন্য এমন ধরনের এমন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করুন যেটা দেখে মানুষ সেগুলো কিনতে আগ্রহী হবে। পাশাপাশি তাদের জন্য অনেক কার্যকরী হবে। 
  • আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকগুলো প্রতিটা পোস্টে খুব সুন্দরভাবে দিন এবং আপনার পাঠককে সেই লিংকে প্রবেশ করার জন্য উৎসাহিত করুন। 
  • কোন পণ্যের প্রমোট করার ক্ষেত্রে বিশেষ অফার এবং ছাড়ের সুযোগ গুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরুন। এতে করে পাঠকগণ অনেক বেশি আগ্রহী হবে। 
  • এমন কিছু ব্যক্তিকে টার্গেট করে ফেসবুক অ্যাডস এর মাধ্যমে আপনার কন্টেন্ট পৌঁছে দিন যারা আসলেই পণ্যটি কিনতে চাই। 
  • দর্শকদের সাথে এমন সম্পর্ক তৈরি করুন যেন তারা আপনার প্রতি বিশ্বাস রেখেই আপনার কথা অনুযায়ী লিংকে ক্লিক করে। 
  • কনটেন্ট এর মধ্যে এমন কিছু বাক্য ব্যবহার করুন যেগুলো দর্শকদের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। 

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে যেভাবে আয় করা যায়  

বর্তমান সময়ে ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম প্রায় প্রতিটি মানুষকেই বিভিন্ন রকমের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে।শুধু তাই নয়, পাশাপাশি এতে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্যও উপার্জনের পথ দীর্ঘ পরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু সেটা কিভাবে? 
কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন $100 আয় করা যায়
যারা কনটেন্ট ক্রিয়েটর তারা তাদের দক্ষতা এবং সৃজনশীলতা কে কাজে লাগিয়ে প্রতিনিয়ত মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করে যাচ্ছে এবং সেটা সরাসরি ভাবে তাদের উপার্জনের একটি সুযোগ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।আপনি হয়তো বিষয়টি তেমন ভাবে বুঝতে পারেননি। চলেন বিষয়টি ক্লিয়ার করা যাক। 

ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম থেকে বিভিন্ন রকমের লেখনী, ভিডিও, ছবি ইত্যাদি যাই হোক না কেন আপনি আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এসবের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। তবে আপনি যদি এটিকে শুধুমাত্র একটি আয়ের মাধ্যম ভাবেন তবে বিষয়টি ভুল। বরং এই ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম আপনাকে এক সময় ব্র্যান্ডে পরিণত করবে। তাহলে এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম আপনাকে কতটা ঊর্ধ্বে পৌঁছে দিতে পারে। 


বিশেষ করে যারা কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাদের জন্য ফেসবুক থেকে উপার্জনের অন্যতম একটি পথ হচ্ছে ফেসবুক অ্যাড।আপনি যদি ফেসবুকে একটি প্রফেশনাল পেজ তৈরি করে সেখানে দর্শকদের আকর্ষণ করার মতো একটি নির্দিষ্ট বিষয় বেছে নিয়ে তার ওপরে মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি দর্শকদের রেসপন্স পাবেন। আর আপনি যত বেশি দর্শকদের রেসপন্স পাবেন আপনার তত বেশি লাভ। 

কেননা এর ফলে আপনি আপনার ভিডিওতে বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখিয়ে সেইখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।এছাড়াও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ফেসবুক থেকে ইনকামের আরেকটি উত্তম পথ হচ্ছে ডিজিটাল পণ্য বিক্রয় অথবা সাবস্ক্রিপশন। ডিজিটাল পণ্য বলতে বোঝায় আপনি যখন ফেসবুকে আপনার নিজস্ব কোন পণ্য পাঠক কিংবা ভিউয়ার্সদের কাছে বিক্রয় করবেন সেই প্রক্রিয়াকে বোঝায়। 

একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ডিজিটাল পণ্য বিক্রয় করার মাধ্যমে অধিক পারমাণে উপার্জন করা সম্ভব। পাশাপাশি আপনি যদি কোন প্রাইভেট গ্রুপ খুলে সেখানে আপনার দর্শকদের এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট উপহার দিতে চান তার ক্ষেত্রে আপনি আপনার দর্শকদের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট ফি নিতে পারবেন। 

ভাইরাল পোস্ট তৈরি করে টাকা আয় করার পদ্ধতি

এই আধুনিকতার যুগে ফেসবুকে সাধারণত কোন পোস্ট ভাইরাল করে সেখান থেকে উপার্জন করা সম্ভব। কেননা আপনি যদি আপনার দক্ষতা এবং সৃজনশীলতা ঠিক রেখে ফেসবুকে কাজ করতে পারেন তবে আপনার দ্বারা এটি সম্ভব। কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন $100 আয় করা যায় আমরা হয়তো সে সম্পর্কে স্পষ্ট একটা ধারণা পেয়ে গেছি। তবে আমরা এখন জানবো ফেসবুক থেকে সাধারণভাবে পোস্ট করার পরে সেটা ভাইরাল করে কিভাবে টাকা উপার্জন করা যায়। 

তবে আপনাকে শুরুতে একটা কথা জানিয়ে রাখি, আপনি যদি ফেসবুকে সাধারণত কোন পোস্ট ভাইরাল করতে পারেন তবে তার মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ব্র্যান্ড প্রমোশন অথবা স্পন্সরডশিপ এর মাধ্যমে সরাসরি আয় করতে পারবেন।তাহলে চলুন আর বেশি দেরি না করে জেনে ফেলি সাধারণ পোস্ট কিভাবে ফেসবুকে ভাইরাল করে আয় করা সম্ভব। 

  1. দর্শকদের পজিশন বুঝে বিভিন্ন রকমের আবেগময় কন্টেন্ট তৈরি করতে করুন। যেমন ধরুন মানুষকে হাসানো, শিক্ষণীয় অথবা আবেগে আনন্দিত হয় এমন সব কন্টেন্ট ক্রিয়েট করুন। 
  2. ট্রেন্ডিং বুঝে পোস্ট করুন। এর মানে হলো বর্তমানের জনপ্রিয় পোস্ট অথবা ঘটনাগুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করুন। যার ফলে আপনার পোস্ট শেয়ার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 
  3. কোন কন্টেন্টে অবশ্যই আকর্ষণীয় ছবি এবং ভিডিও ব্যবহার করুন। এতে করে দর্শক আকর্ষিত হয়ে আপনার সেই কন্টেন্ট মনোযোগ সহকারে পড়বে এবং দেখবে। 
  4. কন্টেন্ট এমন কিছু ক্যাপশন ব্যবহার করুন যেগুলো পড়লে দর্শক খুব সহজে আপনার কন্টেন্ট উপভোগ করবে এবং কন্টেন্ট শেয়ার করবে। 
  5. আপনার ভাইরাল কন্টেন্ট বিভিন্ন কোম্পানির স্পনসর্ড এবং অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করুন। এতে করে আপনি ঐসব কোম্পানি থেকে উপার্জন করতে পারবেন। 
  6. ফেসবুকে আপনার কন্টেন্ট এ ভিউ বাড়ানোর জন্য ফেসবুকের আকর্ষণীয় টার্গেট মূলক অ্যাড ব্যবহার করুন। যার ফলে আপনার কন্টেন্ট  ভিউ বেশি হবে। 
  7. কোন মূল্যবান কন্টেন্ট বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ অথবা প্রোফাইলে শেয়ার করার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিন। যার ফলে আপনার দর্শক বাড়বে। 

ফেসবুকে ডিজিটাল পণ্য বিক্রির মাধ্যমে আয়

বর্তমান সময়ে অধিক আয়ের উৎস হচ্ছে ডিজিটাল পণ্য বিক্রয়। আর এই ডিজিটাল পণ্য বিক্রয়ের সবচেয়ে উত্তম জায়গা হচ্ছে ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম। কেননা আপনার যদি একটি উপযুক্ত প্রফেশনাল পেজ থাকে তবে এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন রকমের ডিজিটাল পণ্য খুব সহজেই বিক্রয় করতে সক্ষম হবেন। যার মাধ্যমে আপনি অধিক পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন। তবে ডিজিটাল পণ্য বলতে আসলে কি বোঝায় এটা কি আমরা সঠিকভাবে জানি? 

হয়তো অনেকেই জানেন না।তাহলে চলুন বিষয়টি খুব সুন্দর ভাবে স্পষ্ট করি এবং এগুলো কিভাবে বিক্রয় করে উপার্জন করা সম্ভব সেটাও জানবো।ডিজিটাল পণ্য বলতে সাধারণত ই-বুক, বিভিন্ন রকমের অনলাইন কোর্স, বিভিন্ন রকমের টেমপ্লেট, সফটওয়্যার এবং কোন ভার্চুয়াল পণ্য বোঝায় যেগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেল দেওয়া সম্ভব। 

আপনি যদি আপনার মেধা খাটিয়ে ফেসবুকে এ সকল পণ্য বিক্রয় করতে পারেন তবে সেটা আপনার জন্য অনেক বেশি কার্যকরী হবে। আর এই ডিজিটাল পণ্য বিক্রয় করার জন্য আপনার প্রথম পদক্ষেপ হলো একটি প্রফেশনাল পেজ তৈরি করে পাঠকদের আকর্ষণ করার মতো বিশেষ কন্টেন্ট বানানো। এর ফলে যখন দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার দর্শকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক সেই সময় আপনার ডিজিটাল পণ্যের লিংক গুলো পোস্টে দিয়ে দিন।

যেটা দর্শকদের সেইখানে প্রবেশ করার জন্য উৎসাহিত করুন। যখন দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার ক্রেতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক সেই সময় আরো অধিক পরিমাণে লিংক প্রতিটি পোস্টে শেয়ার করুন। যার ফলে আপনার ডিজিটাল পণ্য অধিক পরিমাণে বিক্রয় হবে এবং সেখান থেকে আপনি প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।  

ফেসবুকে উপার্জন বাড়ানোর গোপন টিপস

প্রায় প্রতিটি মানুষ বর্তমান সময়ে ফেসবুক থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে উপার্জন করছে। তবে কেউ কম উপার্জন করছে আবার কেউ বেশি উপার্জন করছে। তবে এই ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে সফল হয়ে অধিক পরিমাণে উপার্জন করার জন্য সঠিক কৌশল এবং ক্রিয়েটিভিটি থাকতে হবে। যার মাধ্যমে খুব সহজে অধিক পরিমাণে উপার্জন করা সম্ভব হবে। আপনি যদি ফেসবুক থেকে উপার্জন বাড়ানোর গোপন টিপস জানতে চান তবে বিষয়গুলো মন দিয়ে পড়ে নিন। কেননা বিষয়গুলো আপনার উপার্জন বাড়াতে অনেক বেশি কার্যকরী হতে পারে। 

  • ফেসবুকে উপার্জন বাড়ানোর ক্ষেত্রে এমন একটি বিষয় সিলেক্ট করুন যেটা প্রায় প্রতিটি মানুষ দেখতে আগ্রহী হয়। সাথে সেই বিষয়ের প্রতি অধিক মনোযোগী হন এবং প্রতিদিন কনটেন্ট আপলোড করুন।
  • কোন নির্দিষ্ট টপিকের ওপর অধিক বিশেষজ্ঞ হন এবং সেই কনটেন্টটি বিনোদনমূলক এবং আকর্ষণীয় মূলক ভাবে তৈরি করুন। 
  • অধিক পরিমাণে ভিউ পাওয়ার জন্য আপনি খেয়াল রাখুন যে কখন আপনার অডিয়েন্স বেশি একটিভ থাকে। সেই সময়টি নির্ধারণ করে তখনই কনটেন্ট আপলোড করুন। 
  • ফেসবুকে বেশি পরিচিতি পাওয়ার জন্য দর্শকদের সাথে কমেন্ট এর মাধ্যমে অথবা লাইভ সেশন ব্যবহার করুন এবং যোগাযোগ রাখুন। 
  • আপনার সেই আকর্ষণীয় মূলক কনটেন্ট শেয়ার করার জন্য ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহার করুন। সময়মত আপনার কনটেন্টটি শেয়ার করে দিন। 
  • আপনার কনটেন্ট যদি অধিক জনপ্রিয় হয় তবে সেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে যোগাযোগ করুন এবং স্পন্সরডশিপের মাধ্যমে আয় করুন। 
  • আপনার টার্গেটকৃত কিছু অডিয়েন্স বের করুন এবং তাদের জন্য পেইড অ্যাড ব্যবহার করুন। 
  • আপনার ডিজিটাল পণ্য বিক্রয়ের জন্য দর্শকদের বিশেষ ছাড় দিন। যেন তারা আগ্রহী হয়ে সে পণ্যটি কিনে। 

ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে যেভাবে আয় করা সম্ভব 

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং অধিক জনপ্রিয় একটি পেশা। যার মাধ্যমে বহু সংখ্যক মানুষ অধিক পরিমাণে উপার্জন করে থাকছে। ফাইবার এবং আপওয়ার্ক ব্যবহার করে অনেকে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। 
কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন $100 আয় করা যায়
তবে আপনি কি জানেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্যও ফেসবুক একটি কার্যকারী প্ল্যাটফর্ম? হ্যাঁ। ফেসবুক এমন এক ধরনের প্লাটফর্ম যেখানে ফ্রিল্যান্সিং খুব সহজে এবং সুন্দরভাবে করা সম্ভব। কেননা ফেসবুকের প্রফেশনাল পেইজ এবং গ্রুপ ব্যবহার করে অধিক পরিমাণে ফ্রিল্যান্সিং কাজের সুযোগ রয়েছে। চলুন বিষয়টি স্পষ্ট করা যাক। 

ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে প্রায় কয়েক রকমের ভাগ রয়েছে। বিশেষ করে আমরা যারা বিভিন্ন ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অনলাইন মার্কেটিং ইত্যাদিতে অধিক পরিমাণে দক্ষ তারা খুব সহজেই ফেসবুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ক্লায়েন্টের সাথে যুক্ত হতে পারি। কারণ ফেসবুকে এরকম অধিক সংখ্যক ক্লায়েন্ট দক্ষ ফ্রিল্যান্সার খুজে থাকেন। ফেসবুক প্লাটফর্মে আপনি আপনার সঠিক দক্ষতা গুলো উপস্থাপন করার মাধ্যমে খুব সহজেই স্থায়ীভাবে একজন ক্লায়েন্ট পেয়ে উপার্জন করতে পারবেন। 


তাহলে এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ফেসবুক কতটা কার্যকারী প্ল্যাটফর্ম। তবে আপনি যদি ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করতে চান তবে শুরুতেই আপনার একটা প্রফেশনাল এবং পেশাদারী পেইজ থাকতে হবে। যেখানে আপনি আপনার যোগ্যতা এবং দক্ষতা উপস্থাপন করবেন পাশাপাশি আপনার বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ দক্ষতা দেখাবেন। যদি পারেন তবে নিজে এমনভাবে কিছু পোস্ট করুন যেগুলা দেখে মনে হয় আপনি সে কাজের জন্য অধিক দক্ষ এবং খুবই আগ্রহী। 

আপনি যদি নিয়মিত আপনার সে প্রফেশনাল পেইজ অথবা বিভিন্ন রকমের গ্রুপে আপনার কাজের নমুনা শেয়ার করেন তবে এর ফলে বিভিন্ন ক্লাইন্ট আপনার সম্পর্কে একটি সুন্দর ধারণা পেয়ে যাবে।যার ফলে আপনি বিভিন্ন রকমের কাজ পেয়ে যাবেন। তবে আপনাকে প্রতিনিয়তই ক্লাইন্টদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। কেননা পরবর্তী কাজ পেতে আপনার এই যোগাযোগ রাখাটা অধিক জরুরী।সবকিছু বুঝে বুদ্ধি খাটিয়ে যদি আপনি ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন তবে সেখান থেকে আপনি অধিক পরিমাণে উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। 

আমার বিশেষ মন্তব্য

কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন $100 আয় করা যায় আপনি হয়তো সে সম্পর্কে খুব সুন্দরভাবে এতক্ষণে জেনে গেছেন। তবে এর সাথেও আরো এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর্টিকেল থেকে জানতে পেরেছেন যেটা আপনার ফেসবুক থেকে অধিক পরিমাণে উপার্জন করার জন্য কার্যকরী হবে। বিশেষ করে, ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল করে আয় করার উপায়, ফেসবুকে কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবেন এর প্রক্রিয়া এবং ফেসবুকে বিভিন্ন রকমের ডিজিটাল পণ্য বিক্রির মাধ্যমে অধিক পরিমাণে আয় করার সমস্ত টিপস আমি এই আর্টিকেলের মধ্যে তুলে ধরেছি। 

যেসব বিষয়গুলো যদি আপনি অনুসরণ করে চলতে পারেন তবে ফেসবুক থেকে প্রতিদিন $100 এর বেশি উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। আপনি যদি নিয়মিত এই ধরনের ফেসবুক সম্পর্কিত অথবা অনলাইন ইনকাম রিলেটেড কার্যকরী আর্টিকেল পড়তে চান তবে নিয়মিত এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। কেননা প্রতিনিয়ত এইখানে এই ধরনের আর্টিকেল পাবলিস্ট করা হয়। এতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 


  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

হ্যাপিনেস ভ্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url