সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা জানুন



খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি? সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খেলে কি হয়? সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও কিছু অপকারিতা রয়েছে যেইটা জানলে আপনি অনেক বেশি উপকৃত হবেন। 
সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা
চিয়া সিড এমন একটি পুষ্টিকর খাবার যেটাকে সুপারফুড হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তাহলে চলুন আগে জেনে নিই সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কার্যকারী কিছু তথ্য। 

পেজ সূচিপত্রঃ চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা

চিয়া সিড এমন একটা খাবার যেইটা আপনার সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে সুপারফুড হিসেবে কাজ করবে। এ জন্য এটাকে সুপারফুড হিসেবেও ধরা হয়। কিভাবে এই ছোট্ট খাদ্যটি আপনার জীবনযাত্রা, শরীর ও মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে তা আজকের এই ব্লগ থেকে জানতে পারবেন। তো চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল টপিক গুলো দেখে নিই।

শক্তি বাড়ায়ঃ সকালে খালি পেটে যদি ২-৩ চামচ চিয়া সিড খাওয়া হয় তবে সারাদিন সেটা আপনার শরীরে শক্তি যোগাবে। কারণ এতে থাকা প্রচুর পরিমান পুষ্টি উপাদান গুলো আপনার শরীরে দীর্ঘমেয়াদী শক্তি প্রদান করে থাকে। চিয়া সিডে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকার কারণে সারাদিনে আপনি যা যা খেয়ে থাকেন সেই সব খাবার হজম হয় ধীরে ধীরে।যেইটার কারণে আপনার শরীরে শক্তি বেশি সময় ধরে স্থায়ী থাকে।

আরো পড়ুনঃ শীতে নিজেকে যেভাবে ফিট রাখবেন

ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করেঃ নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার ফলে আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। যার ফলে আপনার যদি ডায়াবেটিকস থাকে তবে সেটা খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে। এছাড়াও চিয়া সিড ধীরে হজম হয় বলে রক্তে শর্করার মাত্রা খুব সহজে বাড়তে পারে না। যার ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক ভাবে থাকে।

ফাইবারে শ্রেষ্ঠ উৎসঃ চিয়া সিডে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে যা আপনার পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষ সহায়ক। চিয়া সিডে প্রতি ২ চা চামসে প্রায় ১১ গ্রাম ফাইবার থাকে। যা আপনার খাবার হজমেও সাহায্য করে থাকে আবার দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা থাকার অনুভূতি পাওয়া যায়। তাহলে এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছেন যে চিয়া সিড আপনার জন্য কতটা উপকারি।

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

চিয়া সিড খাওয়ার প্রায় কয়েক রকমের নিয়ম রয়েছে। আর আমরা যদি সেই নিয়ম মেনে চিয়া সিড খেতে পারি তবে সেটা আমাদের শরীরে বিশেষ ভাবে কাজে দিবে।চিয়া সিড প্রতিদিন ১-২ টেবিল চামচ খাওয়া উচিত। কারণ চিয়া সিড নিয়মের চেয়ে অতিরিক্ত খেলে আমাদের শরীরে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তো চলুন চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক নিয়মটা ঝটফট জেনে নিই।


পানিতে ভিজিয়ে খাওয়াঃ প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ১-২ টেবিল চামচ চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর খেয়াল করে দেখবেন যে এটা জেলির আকার ধারণ করেছে। এরপর এটা পানিয়তে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন।


সালাদ বা দইয়ের সাথে খাওয়াঃ চিয়া সিড আপনি চায়লে সালাদ বা দইয়ের সাথেও খেতে পারেন। সেটা কিভাবে? সালাদ বা দই খাওয়ার সময় চিয়া সিড ওটার উপরে সুন্দর ভাবে সিটিয়ে দিন। এর কিছুক্ষণ পর খেতে শুরু করুন। এইভাবে খেলে সেটা খাবারের পুষ্টি বাড়ায়।


রুটি বা প্যানকেকে মিশিয়ে খাওয়াঃ আপনি চাইলে চিয়া সিড বাটার অথবা আটার মিশ্রণে মিশিয়ে সেটা প্যানকেক, রুটি অথবা বিভিন্ন পিঠা বানিয়ে খেতে পারেন। এভাবে খাওয়ার ফলেও আপনার শরীরে বিভিন্ন উপকার সাধিত হবে। তবে সব ক্ষেত্রে একটু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সেই ক্ষেত্রে চিয়া সিড সর্বদা তরল পদার্থের সাথে মিসিয়ে খাওয়া উত্তম।

হার্টের সুস্থতায় চিয়া সিড এর ভূমিকা

হার্টের সুস্থতায় চিয়া সিড মহাঔষুধ হিসেবে কাজ করে। এইজন্য চিয়া সিডকে হার্ড- ফ্রেন্ডলী সুপারফুডবলা হয়। চিয়া সিড শরীরে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমিয়ে দিয়ে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। যা আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও চিয়া সিড হার্ট এর আরো অনেক উপকার সাধন করে থাকে। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো_

চিয়া সিড এ বিদ্যমান ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যেমন খারাপ কোলেস্টেরল কমায় ঠিক তেমনি ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। এমনকি এটা আমাদের রক্তনালিগুলার প্রদাহ কমায় সাথে রক্তের প্রবাহ উন্নত করে। চিয়া সিড আমাদের হৃদপিণ্ডের অস্বাভাবিকতা দূর করে। তাহলে এবার নিশ্চয় আপনি বুঝতে পারছেন যে আমাদের হার্টের সুস্থতার জন্য চিয়া সিড কতোটা গুরুত্বপূর্ণ।

ওজন কমাতে চিয়া সিড যেভাবে সাহায্য করে

নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত তৃপ্তিতে থাকে। যার ফলে আমাদের ক্ষুধা কম লাগে। আবার এটি আমাদের অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা থেকে আমাদের বিরত রাখতে সাহায্য করে।চিয়া সিড এ বিদ্যমান ফাইবার এবং প্রোটিন আমাদের ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। যার ফলে আমাদের শরীরে ওজনের হ্রাস পায়। আপনি হয়তো এটা জানেন যে অতিরিক্ত ওজন আমাদের হার্টের উপর চাপ সৃষ্টি করে। সেই ক্ষেত্রে একবার ভেবে দেখুন তো, চিয়া সিড আমাদের জন্য কতটা উপকারি।

আপনি যখন চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে রেখে খাবেন তখন খেয়াল করবেন যে সেটা জেলির মতো আকার ধারণ করে আছে। এরপরে সেটা খাওয়ার পরে কিন্তু আপনার পেট ভরা থাকে যা আপনার অতিরিক্ত খাওয়া গ্রহন করা থেকে বিরত রাখে। এর ফলে আপনার শরীরের ওজন কমতে থাকে এবং আপনাকে অনেক স্মার্টদেখায়। এমনকি চিয়া সিড ওজন কমানোর সাথে সাথে আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড করে রাখে। যা আপনার শরীরকে পারফেক্ট রাখতে খুবই প্রয়োজন।

ত্বক ও চুলের যত্নে উপকারি

নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার ফলে ত্বক মসৃণ হয়ে উঠে এবং আমাদের চুলের স্বাস্থ্য অনেক বেশিভালো হয়। কেননা চিয়া সিড এ থাকা ওমেগা-৩ জিঙ্ক আমাদের ত্বককে অনেক মসৃণ রাখে সাথে চুলকে ঘনও শক্তিশালী তৈরি করে। চিয়া সিডে থাকা পুষ্টিগুণ আমাদের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে আপনি চিয়া সিড এর জেল আপনার ত্বকে ফেস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। যার ফলে আপনার ত্বকে তাৎক্ষনিক সতেজতা ফিরে আসে।

চিয়া সিডে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান আমাদের ত্বককে ফ্রী রেডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করে থাকে।ফলে আমাদের শরীরে পড়া দাগ বা বয়সের ছাপ শরীর থেকে কমে যায়। এছাড়াও ত্বককে মসৃণ রাখার জন্য চিয়া সিডের তেল বা পাওডার ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে। আমাদের চুলের জন্য যদি চিয়া সিডের তেল ব্যবহার করা হয় তবে সেটা আমাদের চুলের জন্য অনেক বেশি পুষ্টির জোগান দেয়। এমনকি আমরা চুলের ভালো স্বাস্থ্যের জন্য চিয়া সিডের পেস্ট ও ব্যবহার করতে পারি। যা আমাদের চুল অধিক ঘন করে তুলবে।

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় যেভাবে

সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা
চিয়া সিড এমন একটি খাবার যার পুষ্টিগুণ আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং আমাদের মানসিক চাপ কমাতে এটা অনেক সাহায্য করে। বরাবরের মতো এতে বিদ্যমান ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডই আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে থাকে। আমরা সবাই জানি যে, কাজে মনোযোগ দেওয়া, পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখা, আত্মতৃপ্তি অর্জন করা এ সবই মানসিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে। কিন্তু আপনি আপনার প্রতিদিনের মনোযোগ বা উদ্বেগ এর ঘাটতি কিভাবে সামলাবেন?


এখানেই চিয়া সিড হতে পারে আপনার আস্থাশীল সঙ্গী। কারণ ওই যে বললাম এতে থাকা অ্যাসিড, পুষ্টিগুণ আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের ও উন্নতি ঘটিয়ে থাকে। আসুন এখন জেনে নিই যে এটি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কি রকম ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

  • চিয়া সিড নিউরোট্রান্সমিটার উৎপাদন বাড়িয়ে আমাদের সৃতিশক্তি ও মনোযোগ শক্তি বাড়িয়ে থাকে।
  • চিয়া সিডে থাকা ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরে সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন নামক হরমোন উৎপন্ন করে।
  • চিয়া সিড আমাদের শরীরকে শিথিল করে। যার ফলে এটি আমাদের ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।
  • চিয়া সিডে থাকা পুষ্টি মস্তিষ্কের সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়িয়ে আমাদের হতাশা থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে।

চিয়া সিড এর অপকারিতা

আমরা এতক্ষণ জানলাম যে চিয়া সিড আমাদের শরীরের কি কি উপকার সাধন করে থাকে। কিন্তু চিয়া সিড কি শুধু আমাদের শরীরে উপকার সাধন করে? না। এটি যেমন আমাদের শরীরে বিভিন্নভাবে উপকার সাধনকরে থাকে ঠিক তেমনি আমাদের শরীরের কিছু ক্ষতিও সাধন করে থাকে যদি সেটা মাত্রা তিরিক্ত হয়ে যায়।তো চলুন এখন জেনে নিই কোন কোন ক্ষেত্রে এটি আমাদের শরীরে ক্ষতি সাধন করে থাকে।

অতিরিক্ত ফাইবার এর কারণে হজমের সমস্যাঃ আমরা শুরুতেই জেনেছি যে চিয়া সিডে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। যেইটা আমাদের হজমে সাহায্য করে। কিন্তু এই খানে একটা লক্ষণীয় বিষয় আছে। আপনার শরীরে যদিসেই ফাইবার এর পরিমান বেশি হয়ে যায় তবে আপনার গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য সহ ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। যারা আগে থেকে ফাইবার যুক্ত খাবার খান না তারা হঠাৎ করে চিয়া সিড খাওয়ার ফলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই ক্ষেত্রে আমি পরামর্শ দিতে পারি যে, ধীরে ধীরে আপনার ডায়েটে চিয়া সিড যোগ করা উচিত। 

শ্বাস রোধের ঝুঁকি

চিয়া সিড এমন একটা খাবার এতা যদি আপনি শুকনা খেতে যান তবে সেটা আপনার গলায় আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই জন্য এটিকে সবসময় ভিজিয়ে রেখে খাওয়া উচিত। কেননা চিয়া সিড পানি শোষণকরে আকারে অনেক বড়ো হয়ে যায়। সাথে তার মাঝে একটা পিচ্ছিল ভাব আসলে তখন সেটা খেতে কোনো সমস্যা হয় না। আর আপনি যখনি এটা শুকনা অবস্থায় খেতে যাবেন তখনি একটা বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি হবে।

আপনি খেয়াল করে দেখবেন ডাক্তাররা যখন আপনাকে চিয়া সিড খাওয়ার পরামর্শ দেই তখন কিন্তু পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেতে বলে। কেনো বলে সেটা আপনি কি বুঝতে পারেন? হ্যাঁ, এই কারণে বলে যাতে আপনার কোনো বিপদ না হয়। আবার চিয়া সিড শুকনা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের তেমন কোনো উপকার সাধন হয় না । কেননা তখন এটার পুষ্টিগুণ খুব বেশি কাজ করে না। তাই সব দিক বিবেচনা করে আপনার উচিত চিয়াসিড নিয়ম মতো খাওয়া। যেনো আপনার শ্বাসে কোনো রকমের সমস্যা না হয়।

কিডনির সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা সাথে প্রতিকার

আমরা প্রায় সকলেই জেনে গেছি যে চিয়া সিড একটি দারুন পুষ্টিকর খাবার। কিন্তু এই চিয়া সিড যদি আমরা সঠিকভাবে পরিমান মতো না খেতে পারি তবে সেটা আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। অতিরিক্ত চিয়া সিড খাওয়ার ফলে সেটার পুষ্টি উপাদান আমাদের কিডনির উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই যাদের কিডনির সমস্যা আছে, বিশেষ করে তাদের কিছু সতর্কতা মেনে এটা খাওয়া উচিত। তবে চিয়া সিড খাওয়ার ক্ষেত্রে সবাইকেই সতর্কতা গ্রহণ করা দরকার।

আরো পড়ুনঃ অতিরিক্র রাত জাগার কারণ, ক্ষতিকর দিক ও এর থেকে পরিত্রাণের উপায়

চিয়া সিডে প্রচুর পরিমানে ফসফরাস থেকে থাকে। যেটা ক্যালসিয়াম এর সাথে মিশে আমাদের শরীরে শক্তির জোগান দিয়ে থাকে। কিন্তু যখন আমাদের শরীরে বেশি ফসফরাস প্রবেশ করবে তখন এটি কিডনির মাধ্যমে ফিল্টার হতে গিয়ে আমাদের কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করবে। সেই ক্ষেত্রে আমাদের অতিরিক্ত চিয়া সিড গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যাদের কিডনি ফাংশন দুর্বল রয়েছে তাদের জন্য এটা একটু বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বিশেষ করে তাদের একটু সতর্ক থাকা উচিৎ।

যদি আপনার কিডনির সমস্যা থেকে থাকে তবে আপনার মনের মধ্যে এতক্ষণে এই ভাবনা আসতে পারে যে ,তাহলে আমার কি চিয়া সিড খাওয়া হবে না ? হুম অবশ্যয় হবে। আপনি অবশ্যই চিয়া সিড খেতে পারবেন যদি আপনি কিছু নিয়ম মেনে চলেন। তো চলুন নিয়ম গুলা জেনে নিই।

  • প্রতিদিন আপনি ১-২ টেবিল চামচ চিয়া সিড খেতে পারেন। তবে এর বেশি নয়।
  • চিয়া সিড ভিজিয়ে খাওয়ার সময় কমপক্ষে ১-২ গ্লাস পানি পান করুন।
  • কিডনির সমস্যা যদি থাকে, তবে ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে খাওয়া আপনার জন্য সর্বউত্তম।

হরমোনের ভারসাম্যের সমস্যায় পড়া

সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা
চিয়া সিড একটি প্রাকিতিক খাবার। অসংখ্য পরিমান পুষ্টিগুণ এতে বিদ্যমান। সেই ক্ষেত্রে এতে এমন কিছু প্রাকিতিক উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরে হরমোনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত সেবন এবং সঠিকভাবে গ্রহণ না করলে শরীরের হরমোনাল কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সাধারণত হরমোন-সংবেদনশীল অবস্থায় এই প্রভাবগুলা বেশি দেখা দেয়। চিয়া সিডে উদ্ভিদ উৎস থেকে প্রাপ্ত এস্টোজেন রয়েছে। যেইটা অতিরিক্ত চিয়া সিড গ্রহণ করার ফলে বাড়তে পারে এবং আমাদের শরীরে হরমোনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

এছাড়াও আমরা জানি যে চিয়া সিডে প্রচুর পরিমানে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। আর চিয়া সিড অতিরিক্ত গ্রহন করার ফলে এই ফ্যাটি এসিড আমাদের থাইরয়েড গ্রন্থির উপর প্রভাব ফেলতে পারে। যার ফলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার এই থাইরয়েড গ্রন্থির উপর প্রভাব পড়লে আমাদের ক্লান্তি, ওজনবৃদ্ধি সহ মাথার চুল পড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমরা এখন খুব সুন্দর করে বুঝতে পারছি যে এই চিয়া সিড অতিরিক্ত গ্রহণ করার ফলে আমাদের কতো রকমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমাদের উচিত এটি পরিমাণ মতো ব্যবহার করা।

সবশেষে আমাদের কিছু কথা

আমরা ইতোমধ্যে চিয়া সিড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। চিয়া সিডের ভালোদিক এবং খারাপ দিক উভয়ই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আমার উপরে লিখা ব্লগ পোস্টে লিখা নিয়ম মতো আপনি চিয়া সিড সেবন করলে সার্বিক দিক থেকে আপনি উপকৃত হবেন বলে আশা করছি। তবে এটা আবারো বলে দিচ্ছি যে, চিয়া সিড খাওয়ার সময় অবশ্যই উপরে লিখা সমস্ত নিয়ম মেনে খাবেন। আপনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর হ্যাঁ, আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এইরকম স্বাস্থ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়। সেই জন্য এইরকম গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আশা করছি সেটা আপনার জন্য অনেক বেশি উপকারী হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

হ্যাপিনেস ভ্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url