ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি প্রয়োজন জানুন
আমরা অনেকেই রয়েছে যারা গাড়ি চালাই কিন্তু কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স
নেই। হয়তো তার মধ্যে আপনিও একজন। আপনি যদি জানতে চান ড্রাইভিং
লাইসেন্স করতে কি কি প্রয়োজন তবে এই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
বর্তমান সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো একপ্রকার অপরাধমূলক
কাজ। তাই এই অপরাধ থেকে বাঁচতে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স
প্রয়োজন। আজকে আমি আপনাকে জানাবো কিভাবে এবং কি কি প্রয়োজনীয় জিনিস
ব্যবহার করে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি প্রয়োজন
- ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি প্রয়োজন
- কেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে
- ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা ফি দিতে হবে
- মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত
- কার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে
- ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইন আবেদন ফরম
- ড্রাইভিং পরীক্ষাতে কেমন প্রশ্ন আসতে পারে
- ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর...
- আমাদের শেষ কিছু কথা
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি প্রয়োজন
বর্তমান এই সময়ে আমাদের নিজেদের গাড়ি নিজেরাই চালাতে পছন্দ করি। তবে
বিশেষ করে মোটরসাইকেল আমাদের নিজেদেরই চালানো লাগে। কিন্তু তার জন্য আমাদের
ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। নাইতো আইনগতভাবে আমরা বিভিন্ন সমস্যার
সম্মুখীন হয়ে থাকি। আর সেই জন্য এখন আমরা আলোচনা করব এই ড্রাইভিং লাইসেন্স
করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে। চলুন নিচে জেনে নেওয়া
যাক।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ এনআইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
- আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের নিচে হয় তাহলে জন্ম নিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি হলেই হবে।
- আপনার স্কুল বা কলেজের সার্টিফিকেট লাগতে পারে। তাই সেটিও সাথে রাখুন।
- আপনার পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি ছবি লাগবে।
- আপনার মেডিকেল সার্টিফিকেট অর্থাৎ চিকিৎসা সনদপত্র লাগবে এবং সেটা যেন সরকারি ডাক্তার দ্বারা স্বাক্ষরিত হয়।
- আপনার লাইসেন্সের জন্য বিআরটিএ অনুমোদিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ট্রেনিং সার্টিফিকেট লাগতে পারে।
- ফরম পূরণ করার জন্য একটি নির্ধারিত ফি রয়েছে যেটি দেওয়া লাগবে। (নিচে আলোচনা করা হয়েছে)
- এরপরে আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য নির্দিষ্ট একটি দিনে পরীক্ষা দিতে হবে এবং সেখানে পাস করতে হবে।
- আপনি যদি মূল পরীক্ষায় পাস করতে পারে তবে এর পরে ড্রাইভিং লাইসেন্স আপনাকে দেওয়া হবে।
কেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে
আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্ন জাগে যে, সঠিকভাবে গাড়ি চালাতে পারলেই তো
হলো, কষ্ট করে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার কি দরকার? এর উত্তর হিসেবে
আমরা বলতে পারি, ভবিষ্যতে রাস্তাঘাটে আমাদের নিরাপদে চলাচলের জন্য শুধুমাত্র
গাড়িই নয় বরং এই ড্রাইভিং লাইসেন্স আমাদের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। কিন্তু সেটা কিভাবে?
প্রথমত, বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স এটা প্রমাণ করে যে আপনি ট্রাফিক আইন সম্পর্কে
জানেন এবং সঠিকভাবে গাড়ি চালাতে পারেন। আর আপনার যদি এই বৈধ লাইসেন্স না
থাকে তবে আপনি আইনগতভাবে ফেঁসে যাবেন এবং যদি কোন দুর্ঘটনার সম্মুখীন
হন তবে পরবর্তীতে এর ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, ড্রাইভিং লাইসেন্স আপনার পরিচয় পত্র হিসেবে ব্যবহৃত
হয়। বিশেষ করে ব্যাংকিং, চাকরি বা পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে ড্রাইভিং
লাইসেন্স প্রয়োজন হয়ে থাকে। শুধু তাই নয় আপনার ইনস্যুরেন্স ক্লেইম বা
জরিমানার ক্ষেত্রেও এটি প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই এক কথায় বলা যায় আপনার
নিরাপদ চলাচলের এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে পরিচয় বহন করে একটি বৈধ
ড্রাইভিং লাইসেন্স।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা ফি দিতে হবে
আপনি যদি বাংলাদেশে গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে বিআরটিএ এর
নির্ধারিত ফি। আপনাকে দিতে হবে। যেটা আপনার গাড়ির ধরনের ওপর নির্ভর
করে। এখন আমরা আলোচনা করব লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি এবং স্মার্ট কার্ড
লাইসেন্স ফি কোন গাড়ির জন্য কত হতে পারে। চলুন নিচে বিস্তারিত জেনে নিই।
শুধুমাত্র মোটরসাইকেল কিংবা কারের জন্য লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি হিসেবে
৫১৮ টাকার মত লাগতে পারে। আবার আপনি যদি মোটরসাইকেল এবং তার উভয়ের
জন্যই লাইসেন্স করেন তাহলে এর জন্য আপনার ৭৪৮ টাকার মতো লাগবে। যেটা
আপনি অনলাইনে বিআরটিএ সার্ভিস এর মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন। আবার
আপনি যদি স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে এর ৫ বছর মেয়াদে
পেশাদার লাইসেন্স এর জন্য ২,৭৭২ টাকা বা এর কম/বেশি পরিমান টাকা
লাগবে। অপরদিকে আপনি যদি ১০ বছর মেয়াদী অপেশাদার লাইসেন্স করতে চান
তাহলে এর ফি বাবদ খরচ পড়বে মোট ৪,৪৯৭ টাকা বা এর কম/বেশি।
মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত
আমরা বাংলাদেশের মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মোটরসাইকেলের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স
করে থাকি।কিন্তু মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত এ সম্পর্কে আমাদের তেমন
সঠিক ধারণা নেই। সেই জন্য এখন আমরা খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করব কোন
কোন ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত হতে পারে।
শুধুমাত্র মোটরসাইকেলের জন্য লার্নার লাইসেন্স ফি বাবদ ৫১৮ টাকা লাগে যেটা আমরা
কিছুক্ষণ আগে জেনেছি। এর পাশাপাশি নন প্রফেশনাল স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স
পেতে এর ফি দিতে হয় ৪,৪৯৭ টাকা এবং প্রফেশনাল লাইসেন্সের জন্য ২,৭৭২ টাকা
দিতে হয়। আবার আপনি যদি ডুপ্লিকেট লাইসেন্স নিতে চান তাহলে এর ফি বাবদ ৬৩৩
টাকার মতো লাগতে পারে।
কার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে
আমাদের মধ্যে অনেকেই পেশাদার কার ড্রাইভিং করে থাকি। আবার অনেকেই
ব্যক্তিগত কার ড্রাইভিং করি। তবে উভয় ক্ষেত্রে আমাদের কার ড্রাইভিং
লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। কিন্তু এর খরচ সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা
নেই। চলুন জেনে নেই ব্যক্তিগত ও পেশাদার কার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত
টাকা খরচ হতে পারে?
শুধুমাত্র লার্নার কার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে ৫১৮
টাকার মতো। কিন্তু আপনি যদি আপনার ব্যক্তিগত ১০ বছর মেয়াদি ড্রাইভিং
লাইসেন্স এর স্মার্ট কার্ড পেতে চান তাহলে এর মোট ফি বাবদ আপনাকে ৪,৫৫৭ টাকা
দিতে হতে পারে। আবার আপনি যদি
পাঁচ বছর মেয়াদী প্রফেশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর স্মার্ট কার্ড পেতে চান
সেক্ষেত্রে এর মোট ফি বাবদ ২,৮৩২ টাকার মতো খরচ হতে পারে। আর দশ বছর
মেয়াদী ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে ৪,২১২ টাকা এবং পাঁচ বছর মেয়াদে
প্রফেশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে ২,৪৮৭ টাকা লাগতে পারে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইন আবেদন ফরম
আমরা যখন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করব তখন আমাদের নির্দিষ্ট
একটি ফর্ম পূরণ করা লাগবে। যেটা সম্পর্কে আমাদের অনেকেই অজানা বা তেমন
ধারণা নেই। কিভাবে আপনি মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে এই ফর্ম পূরণ করবেন
সেটা এখন আমরা ধাপে ধাপে খুব সহজ ভাবে জানবো।
- প্রথমে আপনাকে বিআরটিএ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। bsp.brta..gov.bd এটা লিখলেই আপনি সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন।
- এরপরে সেখানে আপনাকে নতুন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। তার জন্য উপরে থাকা "Sign up" অথবা "নিবন্ধন করুন" এই বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপরে আপনার একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে সেটা লগইন করে নিন এবং "লাইসেন্সের জন্য আবেদন করুন" এখানে ক্লিক করতে হবে।
- এখন আপনার কিছু তথ্য সেখানে দিতে হবে। যেমন, আপনার নাম, আপনার বাবার/মায়ের নাম, আপনার জন্ম তারিখ ও জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার, আপনার ঠিকানা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা, রক্তের গ্রুপ ও আপনি কোন গাড়ির জন্য লাইসেন্স করছেন সেটা।
- এরপরে আপনাকে পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও আপনার ডিজিটাল স্বাক্ষর (স্ক্যান করা ছবি) সেখানে আপলোড করে দিন। খেয়াল রাখবেন আপনার ছবি যেন স্পষ্ট থাকে।
- এরপরে আপনি কোথায় লার্নার লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা দিতে চান সেটা নির্বাচন করুন এবং বিআরটিএ নির্ধারিত অফিস নির্বাচন করুন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করার সঠিক নিয়ম
- সবশেষে আপনার আবেদন সাবমিট করার পরে ফি পরিশোধ করার জন্য একটি রেফারেন্স নাম্বার পাবেন যেটা দিয়ে আপনি বিকাশ বা নগদ ইত্যাদির মাধ্যমে ফি দিতে পারবেন।
- আপনার আবেদন যদি সফলভাবে সাবমিট করা হয়ে যায় তাহলে আপনি একটি ফরম পাবেন। আপনি চাইলে সেটা প্রিন্ট করে রাখতে পারেন কেননা পরে যে কোন মুহূর্তে প্রয়োজন হতে পারে।
ড্রাইভিং পরীক্ষাতে কেমন প্রশ্ন আসতে পারে
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি প্রয়োজন এটা তো আমরা জেনেছি। কিন্তু
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য এর পরীক্ষা দিতে হয় এবং পরীক্ষায় কেমন প্রশ্ন
আসতে পারে এটা আমরা কয়জন জানি? ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় সাধারণত তিন
ধরনের প্রশ্ন থাকে। প্রথমত লিখিত পরীক্ষা, দ্বিতীয়ত রোড সাইন
সম্পর্কে, তৃতীয়ত প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা। চলুন নিচে বিস্তারিত জেনে
নিই।
লিখিত পরীক্ষার জন্য আপনার ট্রাফিক আইন বা সিগন্যাল ইত্যাদি সম্পর্কে জানা অধিক
প্রয়োজন।কেননা লিখিত পরীক্ষার জন্য যেসব প্রশ্ন আসতে পারে...(উদাহরণ
স্বরূপ)
১। লাল ট্রাফিক সিগন্যালের অর্থ কি?
২। ওভারটেক করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে লিখ।
৩। যদি রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স চলে আসে তাহলে আপনি কি করবেন?
৪। রাস্তায় মোড় নেওয়ার সময় কোন দিকের সিগন্যাল দিতে হয়?
দ্বিতীয়তঃ আপনাকে বিভিন্ন রকমের রোড সাইন চিনতে
হবে। উদাহরণস্বরূপ, প্রবেশ নিষেধ, স্কুল এলাকা, সাবধান সামনে
বিপদ, ইউ টার্ন, ডানে মোড়-বামে মোড়, ধীরে চলুন, থামুন
ইত্যাদি রোড চিহ্নগুলো ভালোভাবে চিনে রাখতে হবে কেননা সেগুলো আপনাকে জিজ্ঞাসা করা
হতে পারে।
এরপরে আপনার প্র্যাকটিক্যাল টেস্ট নেওয়া হবে। যেখানে তারা এটাই পরীক্ষা করে
দেখবে যে, আপনার গাড়ির ক্লাস, গিয়ার এবং ব্রেক সঠিকভাবে ধরতে পারছেন
কিনা। পাশাপাশি কার গাড়ির স্টিয়ারিং, ট্রাফিক সিগনাল আইন মানছেন
কিনা, পার্কিং ঠিক ভাবে করা ও গাড়ি চালানোর সমস্ত নিয়ম ঠিকভাবে মানছেন
কিনা এ সমস্ত বিষয় খেয়াল করবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কিত আমাদের অনেকের মধ্যেই বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন থেকে
থাকে। যেটা আমরা গুগলে এসে সার্চ করলেও সঠিক ভাবে পায় না। তাই আপনার
বোঝার সুবিধার্থে এখন আমরা ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি প্রয়োজন বা ড্রাইভিং
লাইসেন্স সম্পর্কিত যাবতীয় প্রশ্ন উত্তর খুব সুন্দরভাবে এক কথায় আলোচনা
করবো। চলুন নিচে সেসব জেনে নিই।
প্রশ্নঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সময় যদি এনআইডি কার্ড না থাকে তাহলে কি
করব?
উত্তরঃ লাইসেন্স করার সময় যদি আপনার এনআইডি কার্ড না থাকে তাহলে জন্ম
নিবন্ধন কার্ডের নাম্বার দিয়ে আপনি লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করে নিতে
পারেন।
প্রশ্নঃ আমার যদি শুধু মোটরসাইকেলের লাইসেন্স থাকে তাহলে কি আমি কার
চালাতে পারবো?
উত্তরঃ না, আপনি কখনোই মোটরসাইকেলের লাইসেন্স ব্যবহার করে কার চালাতে
পারবেন না। এটা শুধুমাত্র মোটরসাইকেলের জন্য যেটা দিয়ে কার চালানো অবৈধ
হবে।
প্রশ্নঃ একসাথে কি মোটরসাইকেল ও কারের লাইসেন্স করা যাবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ আপনি চাইলে একসাথে মোটরসাইকেল এবং কারের লাইসেন্স আবেদন করতে
পারবেন।এতে করে ফি একটু বেশি লাগবে তবে আপনি একটি লাইসেন্সে দুইটাই চালাতে
পারবেন।
প্রশ্নঃ লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে কি হতে পারে?
উত্তরঃ আপনি যদি লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালান তাহলে আপনার শাস্তি হতে
পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আপনার ৬ মাস জেল অথবা ২৫,০০০
টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
প্রশ্নঃ অন্য কারো লাইসেন্স দিয়ে কি আমি গাড়ি চালাতে পারবো?
উত্তরঃ না। যার লাইসেন্স শুধু সেই গাড়ি চালাতে পারবে। অন্য কারো
লাইসেন্স ব্যবহার করে আপনি গাড়ি চালাতে পারবেন না এটা সম্পূর্ণ অবৈধ।
প্রশ্নঃ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে কতদিন লাগতে পারে?
উত্তরঃ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে আসতে সাধারণত ৪০-৬০ কর্ম
দিবসের মধ্যে সময় লাগতে পারে। তবে জেলা ভেদে এর কিছুটা কম বা বেশি সময়
লাগতে পারে।
প্রশ্নঃ যদি ড্রাইভিং টেস্টে ফেল করে তাহলে আবার কবে পরীক্ষা দিতে
পারব?
উত্তরঃ আপনি যদি ড্রাইভিং টেস্টে ফেল করেন তাহলে পরবর্তী সাত মাস পরে আবার
পরীক্ষা দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে নতুন করে আবার আবেদন করতে হয় না।
প্রশ্নঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে কি করব?
উত্তরঃ আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স যদি হারিয়ে যায় তাহলে নিকটস্থ থানায় জিডি
করুন এবং বিআরটিএ অফিসে গিয়ে ডুপ্লিকেট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করুন। সে
ক্ষেত্রে ফি হিসেবে কিছু টাকা খরচ হতে পারে।
প্রশ্নঃ ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ যদি শেষ হয়ে যায় তাহলে কি আবার নতুন
করে পরীক্ষা দিতে হবে?
উত্তরঃ না। নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার দরকার নেই শুধুমাত্র নির্দিষ্ট
সময়ে গিয়ে নবায়ন করে নিলেই হবে।
আমাদের শেষ কিছু কথা
আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা স্পষ্টভাবে জানলাম ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি
প্রয়োজন এবং কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করতে হয়। পাশাপাশি
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা ফি লাগে এবং এ সম্পর্কিত যাবতীয় প্রশ্ন ও
উত্তর সম্পর্কে অনেক ভালো ধারণা পেয়েছি। তাই সবসময়ের জন্য আমাদের মাথায়
রাখতে হবে যে,
আমরা যদি উপরোক্ত নিয়ম অনুসরণ করে সঠিকভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারি তাহলে
এটি আমাদের অতিরিক্ত ঝামেলা কমাবে এবং আমরা সহজে লাইসেন্স করে নিতে
পারব। প্রিয় পাঠক আপনি যদি নিয়মিত এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে
চান তাহলে আমাদের এই
ওয়েবসাইট ফলো করে পাশে
থাকুন। এখানে আপনি নিয়মিত এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল
পাবেন।
হ্যাপিনেস ভ্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url