আপনি কি ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তবে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। কেননা বর্তমান সময়ে প্রায় প্রতিটি মানুষ ফেসবুক নির্ভর হয়ে পড়েছে।আর তার মধ্যে আপনিও একজন। কি, ঠিক বললাম তো?
তবে আপনি কি জানেন, ফেসবুকে বিভিন্ন রকমের লেখালেখি করে টাকা আয় করা সম্ভব? আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনার সাথে আলোচনা করবো কিভাবে আপনি ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করতে পারবেন। তো চলুন তাহলে জেনে নিই ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করার উপায় গুলো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করার উপায়
বর্তমান এই সময়ে আমরা প্রায় সকলেই ফেসবুকের সাথে জড়িত। কেননা ভিডিও দেখা থেকে
শুরু করে সময় কাটানো, বিভিন্ন রকমের তথ্য সংগ্রহ করা, আবার অনেকে ইনকামের আশায়
ও ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। তবে আপনি যদি চান আপনার লেখালেখির দক্ষতাকে কাজে
লাগিয়ে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। তো চলুন এবার আমরা জেনে নিই ফেসবুকে
লেখালেখি করে আয় করার উপায় সম্পর্কে কিছু তথ্য।
ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করার প্রথম ধাপ হিসেবেই আমি আপনাকে বলবো ব্লগিং বা
কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন। সেটা কিভাবে করা যায় ? সে ক্ষেত্রে আপনাকে নিজের
আইডি থেকে একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে। এরপর আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন
রকমের মানসম্মত পোস্ট করতে পারেন। তবে সেটা নিয়মিত করতে হবে। যেমন ধরেন বিভিন্ন
রকমের গল্প, কৌতুক, শিক্ষামূলক লেখা ইত্যাদি।
এছাড়াও আপনি নিজের লেখা উদাহরণ হিসেবে আপনার পেইজে কিংবা বিভিন্ন রকমের গ্রুপে
পোস্ট করতে পারেন। সাথে কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিস অফার করুন। কেননা বিভিন্ন রকমের
ছোট ব্যবসায়ী অথবা উদ্যোক্তা তাদের ওয়েবসাইট অথবা পেইজের জন্য লেখক খুঁজে
থাকেন। এতে করে আপনি খুব ভালো আয় করতে পারবেন।
ফেসবুকে গল্প লিখে যেভাবে আয় করা যায়
ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করার উপায় কি? এমন প্রশ্ন যদি আপনার মধ্যে থেকে
থাকে তবে আমি আপনাকে প্রথমে বলবো ফেসবুকে আপনি গল্প লেখার মাধ্যমে আয় করতে
পারবেন। আপনার যদি লেখালেখির ওপরে আগ্রহ অথবা ইচ্ছা থেকে থাকে তবে
সেটাও হবে আপনার উপার্জনের একটি মাধ্যম এবং সেটা ফেসবুক থেকেই। ফেসবুকে গল্প
লিখে আপনি তিনটি উপায়ে আয় করতে পারবেন।মনিটাইজেশন প্লাটফর্ম
ব্যবহার, পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং সরাসরি ভাবে আয় করা।
আপনার লেখনি এমন হতে হবে যেইটা আপনার পাঠকদের আকৃষ্ট করবে এবং পাঠকদের সাথে
সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। যখন আপনি গল্প লিখবেন তখন অবশ্যই খেয়াল
রাখবেন যেন গল্পটি প্রাসঙ্গিক হয়। শুরুর লাইনটি এমন ভাবে লিখবেন যেন সেটা
পাঠকদের মনোযোগ ধরে নিতে সক্ষম হয়। রোমান্টিক, হরর অথবা মোটিভেশনাল গল্পের
মত যেকোনো নির্দিষ্ট একটি ধারণ বেছে নিন। গল্পের সাথে মিলিয়ে একটি ছবি এড
করুন।
এছাড়াও ফেসবুকে গল্প লিখে মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে যেভাবে আয় করতে পারবেন সেটা
হলো আপনাকে এমন সুন্দর করে গল্পের ভিডিও তৈরি করতে হবে যেটাতে আপনার পাঠকরা
আপনাকে খুশি হয়ে স্টার সেন্ড করে। এছাড়াও in-stram অ্যাড এর
সাহায্যে আপনি আপনার গল্পের সেই ভিডিওতে বিভিন্ন রকমের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে উপার্জন
করতে পারবেন।
ফেসবুকে গল্প লিখে সরাসরি ভাবে আয় করার জন্য আপনি অনলাইনে গল্প লেখার
কোর্স তৈরি করতে পারেন। এতে করে যেমন আপনার নিজের অভিজ্ঞতা আরও বৃদ্ধি
পাবে অপর দিক থেকেও আপনি উপার্জন করতেও সক্ষম হবেন। কেননা এটি গল্প
প্রেমীদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হবে। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে
ফেসবুকে গল্প লিখে আয় করার জন্য আপনাকে কৌশলগতভাবে গল্প তৈরি এবং প্রচার করতে
হবে।
ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয় করার উপায়
আমরা বর্তমান সময়ে ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহার করে বন্ধু-বান্ধব অথবা আত্মীয়-স্বজনদের
সাথে যোগাযোগ করে থাকি। আবার আমরা অনেকেও আছি যারা ফেসবুক গ্রুপকে আয়
এর একটি মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করি। কিন্তু সেটা কিভাবে? বিশেষ করে
যারা ডিজিটাল মার্কেটে অথবা অনলাইন ব্যবসায়ী তাদের জন্য ফেসবুক গ্রুপ অনেক বেশি
কার্যকরী। চলুন বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যাক।
কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর গ্রুপ তৈরি করাঃ ফেসবুকে গ্রুপ তৈরি
করার জন্য এমন একটি নির্দিষ্ট নিস অথবা বিষয় বেছে নিন যেটা মানুষজনদের মধ্যে
একপ্রকার আগ্রহ তৈরি করবে। উদাহরণ হিসেবে
ধরুন শিক্ষামূলক, ভ্রমণ, প্রযুক্তি অথবা ফিটনেস সম্পর্কে লিখালিখি
করতে পারেন। আপনি খেয়াল করে দেখবেন যখন আপনার গ্রুপে নির্দিষ্ট বিষয়ের
ওপরে সক্রিয় সদস্য থাকবে এবং নিয়মিত আপনার পোস্ট রিভিউ করবে তখন আপনি খুব সহজেই
বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারবেন।
ডিজিটাল পণ্য বিক্রয়ের সুবিধাঃ যখন আপনার গ্রুপে সদস্য সংখ্যা বেশি
হবে তখন আপনি বিভিন্ন রকমের পণ্য যেমন ই-বুক থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের
কোর্স, সফটওয়্যার ইত্যাদি এ সকল যাবতীয় ডিজিটাল পণ্য বিক্রয় করতে
পারেন। যদি আপনার নিজের কোন পণ্য না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি অন্য কোন
কোম্পানির পণ্য প্রমোট করে সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষণ
কোর্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং বিভিন্ন রকমের ইভেন্ট এর আয়োজন করতে
পারেন। এতে করে আপনি একটা ফেসবুক গ্রুপ থেকে খুব সুন্দরভাবে বিভিন্ন উপায়ে আয়
করতে পারবেন। শুধু আপনার লিখার উপর আগ্রহ থাকতে হবে যেইটার দ্বারা আপনার ইনকামের
পথ সহজ হবে। আশা করি আপনি এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে ফেসবুক গ্রুপ থেকে কিভাবে
ইনকাম করা সম্ভব।
ফেসবুক মার্কেট প্লেসে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা
আমরা অনেকেই জানি ফেসবুক মার্কেটপ্লেস বলতে কী বোঝায়। ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এমন এক ধরনের ডিজিটাল প্লাটফর্ম যেখানে ক্রেতা এবং বিক্রেতারা সরাসরি একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। সেক্ষেত্রে এখন আমি বলতে পারি আপনার যে কোন ব্যবসা শুরু করার একটি আদর্শ প্লাটফর্ম হল ফেসবুক মার্কেটপ্লেস। বিশেষ করে যারা অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে চায় তাদের জন্য ফেসবুক অত্যন্ত কার্যকরী।
ফেসবুক মার্কেট প্লেসে কাজ করার জন্য আপনার প্রথমেই ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। যেখানে আপনার প্রোফাইল আপডেট থাকবে এবং আপনাকে একটি বিশ্বাসযোগ্য পরিচিতি গড়ে তুলতে হবে। আপনি ফেসবুকে যে পণ্যের উপরে কাজ করবেন সেই পণ্যের ছবি আপলোড দিতে হবে।পাশাপাশি পণ্যের নাম সহ এর অবস্থান এবং মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া উত্তম। তবে চেষ্টা করবেন পরিষ্কার এবং আকর্ষণীয় ছবি ব্যবহার করতে। এতে করে পণ্যের গুণগত মান প্রদর্শিত হবে।
সাধারণভাবে পোস্ট করে আয় করার উপায়
আমরা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ফেসবুকে বিভিন্ন রকমের পোস্ট আপলোড দিয়ে
থাকি। সেটা আমাদের ফটো কিংবা বিভিন্ন রকমের ক্যাপশন এর মাধ্যমে। এতে
করে বিভিন্ন রকমের লাইক এবং কমেন্ট আমাদের পোস্টে পড়ে। আপনি চাইলে এভাবেও
আপনার পোস্টগুলো থেকে ইনকামের একটি সোর্স তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু সেটা
কিভাবে চলেন নিয়মগুলো জেনে নিই।
ধরুন ফেসবুকে আপনি একটি ছবি আপলোড দিলেন। সাথে খুব সুন্দর একটি ক্যাপশন মিল করে
দিয়ে দিলেন। এতে করে দেখা গেল আপনার সেই পোস্টে অধিক পরিমাণে লাইক কমেন্ট এবং
শেয়ার রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের ব্র্যান্ড আপনাকে স্পন্সরশিপ দিতে পারে।
এর ফলে আপনার সেই স্পন্সরশিপের কারণে আপনি সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি যদি বিভিন্ন রকমের ছোটখাটো গল্প কিংবা কবিতা লিখালিখি করে থাকেন আর
আপনার যদি ফেসবুকের ফলোয়ার অধিক পরিমাণে হয়ে থাকে তবে আপনি সেখান থেকে আপনার
বিভিন্ন পণ্যের মার্কেটিং করে উপার্জন করতে পারবেন। যেটা আপনার জন্য প্লাস
পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে। তাহলে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে সাধারণভাবে পোস্ট
করার পরেও আপনার ফেসবুক থেকে আয় করার সম্ভাবনা কতটা রয়েছে।
ফেসবুকে যেকোনো পোস্ট ভাইরাল করার টেকনিক
ফেসবুকে পোস্ট কিভাবে ভাইরাল করা যায়? আপনিও হয়তো এই চিন্তায় চিন্তিত।
সেক্ষেত্রে আপনি যদি ফেসবুকে আপনার কোন পোস্ট ভাইরাল করতে চান তবে আপনাকে
কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। কেননা ফেসবুকে পোস্ট ভাইরাল করা এক ধরনের
কৌশলগত প্রক্রিয়া। যেটা নির্ভর করে থাকে আপনার কন্টেন্টের ওপর। কিভাবে
আপনি পোস্ট প্রচার করবেন সেই পদ্ধতি এবং লক্ষ্য শ্রোতাদের ওপর। তো চলুন জেনে
নিই কিভাবে ফেসবুকে পোস্ট ভাইরাল করা যায়।
মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরিঃ ফেসবুকে পোস্ট ভাইরাল করার জন্য শুরুতেই
আপনাকে যে বিষয়ের উপর ফোকাস করতে হবে সেটা হচ্ছে মানসম্মত কন্টেন্ট
তৈরি। সেক্ষেত্রে আপনাকে এমন কনটেন্ট তৈরি করা উচিত যেটা মানুষের মধ্যে
আগ্রহ সৃষ্টি করবে। এটি মজার, শিক্ষামূলক অথবা চমকপ্রদ হতে পারে। এতে করে
আপনার অনেক ফলোয়ার বাড়বে এবং লাইক কমেন্ট শেয়ার তো আছেই।
সঠিক সময়ে পোস্ট করুনঃ কোন লিখা বা ভিডিও এমন সময় পোস্ট করতে হবে
যে সময় ফেসবুকে অডিয়েন্স বেশি সক্রিয় থাকে। এতে করে আপনার সেই
মূল্যবান লেখা অথবা ভিডিও আপনার অডিয়েন্সের সামনে পৌঁছাবে এবং সেটা সে পড়বে বা
দেখবে। সাধারণত বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত পোস্ট করার মত একটি
কার্যকরী সময়। কেননা এই সময় ফেসবুকে অনেকেই সক্রিয় থাকে।
হ্যাশট্যাগ এর ব্যবহারঃ আপনি যদি বিভিন্ন রকমের লেখালেখি করেন অথবা
যে কোনভাবে পোস্ট করেন তবে অবশ্যই আপনার পোস্টের সাথে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে
হবে। এতে করে আপনার পোস্ট ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি পরিমাণে
থাকে। বিশেষ করে আপনার কন্টেন্ট এর সাথে ট্রেন্ডিং অথবা
ভাইরাল হ্যাশট্যাগ গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
গ্রুপ শেয়ারঃ আপনার লিখা পোস্ট অথবা ভিডিও কন্টেন্টের পরিচিতি লাভের
জন্য সেটা বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করুন। তবে অবশ্যই গ্রুপের নিয়মাবলী
মেনে চলে সেটা শেয়ার করবেন। বিশেষ করে প্রাসঙ্গিক কোন গ্রুপ খুঁজে বের করুন
এবং সেখানে সবসময় সক্রিয় থাকার চেষ্টা করুন। এতে করে খুব শীঘ্রই আপনি
এগিয়ে যেতে পারবেন।
স্পনসর্ড পোস্ট লেখার গুরুত্ব
ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করার উপায় সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে প্রায় অনেক কিছুই
জেনে গেছি। তবে লেখালেখি করার মাধ্যমে উপার্জন করা এর আরো কিছু ধাপ
রয়েছে। যার মধ্যে স্পন্সর্ড পোস্ট লিখা অন্যতম। কারন আপনার
পোস্টে যদি যথেষ্ট পরিমাণে ফলোয়ার এবং লাইক, কমেন্ট, শেয়ার থেকে থাকে তবে আপনি
স্পন্সর্ড পোস্ট লেখার মাধ্যমে অধিক পরিমাণে আয় করতে পারবেন।চলুন বিষয়টা
ক্লিয়ার করে বোঝানো যাক।
যখন আপনার পেইজের পোস্টগুলো অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠবে তখন বিভিন্ন ব্র্যান্ড
আপনাকে স্পন্সর্ড দিতে পারে।আর স্পনসর্ড দেওয়ার ফলে তাদের প্রোডাক্ট এবং
সার্ভিস যদি আপনি আপনার লেখনীর মাঝে প্রমোট করে দেন তবে তার থেকে আপনার আয় হতে
থাকবে। কেননা কোন ব্র্যান্ডের প্রমোটের জন্য সেখান থেকে যথেষ্ট পরিমাণে আয়
করা যায়। এবার আপনি নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন আপনার জনপ্রিয় পোস্ট গুলোর
মধ্যে স্পন্সর্ড পোস্ট লেখার গুরুত্ব কতটা বেশি।
ফেসবুকে ই-বুক প্রমোট করে বিক্রয়
ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে একটি কার্যকরী উপায়
হচ্ছে ই-বুক প্রমোট করে বিক্রয় করা।কেননা এটি স্বল্প খরচে অধিক পরিমাণ
মানুষের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ দিয়ে থাকে।সেজন্য ফেসবুকে ই-বুক প্রমোট করে বিক্রয়
করার মাধ্যমেও প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করা সম্ভব। তবে ই-বুক প্রমোট এবং
বিক্রয় করার জন্য আমাদের সঠিক কৌশল এবং পরামর্শ দরকার। চলুন সেগুলো জেনে
নিই।
ই-বুকের জন্য আকর্ষণীয় ল্যান্ডিং পেজ তৈরিঃ আপনার ই-বুক
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য কভার পেজ এবং মূল্য সেই আকর্ষণীয় পেজে দিয়ে
দিয়েন। সাথে পেমেন্ট সিস্টেম এবং ই-বুক ডাউনলোড লিংক যুক্ত করে
দিন। ল্যান্ডিং পেইজে গ্রাহকদের রিভিউ যুক্ত করে দিন। এতে করে
আপনার ই-বুকের ক্রেতা বৃদ্ধি পাবে।
ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ ব্যবহারঃ এমন একটি ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপ তৈরি
করুন যা ই-বুকের ব্র্যান্ড হিসেবে কাজ করবে।সাথে ই-বুকের টার্গেটকৃত অডিয়েন্স
জড়িত থাকবে। সেই ফেসবুক পেইজ অথবা গ্রুপে নিয়মিত ই-বুক সংক্রান্ত আপডেট
এবং আলোচনার জন্য পোস্ট করুন। কেননা এটিও আপনার ই-বুকের প্রমোট করার
একটি অন্যতম মাধ্যম।
আকর্ষণীয় কনটেন্ট শেয়ারঃ আপনার তৈরি ই-বুকের কিছু অংশ পেজ
অথবা বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করুন। এতে করে আপনার পাঠকদের আগ্রহ
জাগবে। এছাড়াও আপনি ই-বুকের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে ছোট্ট ভিডিও অথবা
তথ্যচিত্র শেয়ার করতে পারেন। এতে করেও আপনার পাঠকদের আগ্রহ জাগানো
সম্ভব।
সবশেষে আমাদের মন্তব্য
আমরা ইতোমধ্যে ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত এবং
খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি বিষয় আলোচনা করেছি। এছাড়াও ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এ
কাজ করার উপায়, ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট ভাইরাল করার উপায় সম্পর্কেও এই
আর্টিকেল এর মধ্যে আলোচনা করেছি। আপনি যদি এ সমস্ত বিষয়গুলো ফলো করে চলতে
পারেন তবে অবশ্যই আপনি ফেসবুকে লেখালেখি করার মাধ্যমেও আয় করতে
পারবেন।
এতক্ষণ আমাদের এই আর্টিকেল থেকে ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করার উপায়
সম্পর্কে জানার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। এছাড়াও এতক্ষণ আমাদেরকে সময় দেওয়ার
জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের
আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল পড়তে
চান তবে ওয়েবসাইটে ফলো করে চলুন। এছাড়াও আপনার কোন কিছু জানার ইচ্ছা থাকলে
অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার সফলতা কামনা করছি।
হ্যাপিনেস ভ্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url