AI ফটো তৈরি করুন মনের মতো- সেরা ৮ টি অ্যাপ


আপনি যদি আপনার মনের মতো AI ফটো তৈরি করতে চান তবে এই আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কেননা বর্তমান সময়ে প্রায় অনেকেই AI ব্যবহার করে খুব সহজে মনের মতো ফটো তৈরি করছে। 
AI ফটো তৈরি করুন মনের মতো- সেরা ৮ টি অ্যাপ
আজকের এই আর্টিকেলে আপনার মনের মতো AI ফটো তৈরি করার সেরা ৮ টি অ্যাপ সম্পর্কে আমি বলে দেবো। যেটা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই বিভিন্ন রকমের পিক তৈরি করতে পারবেন। তাই পুরো আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়তে থাকুন। 

পোস্ট সূচীপত্রঃ AI ফটো তৈরি করুন মনের মতো 

AI ফটো জেনারেশনের জনপ্রিয়তা

আমরা জানি AI ফটো জেনারেশন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অধিক পরিমাণে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আর দিন দিন এআইএর ব্যবহার বাড়তেই আছে। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে প্রফেশনাল ছবি তৈরি করা এটি সবার হাতের নাগালে পৌঁছে গেছে। AI ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম গুলো এমন সকল সরঞ্জাম প্রদান করে চলেছে যা অল্প সময়ে আকর্ষণীয় এবং উচ্চমানের ছবি তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যবসা গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং বিনোদন জগতে নতুন করে AI ফটো জেনারেশনের মাত্রা যোগ হচ্ছে। 

তাহলে নিশ্চয়ই এবার বুঝতে পারছেন এআই ফটো জেনারেশনের জনপ্রিয়তা কত বেশি। AI ফটো জেনারেশনের জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ হলো এর সৃজনশীল স্বাধীনতা এবং বহুমুখীতা। কেননা বর্তমান সময়ে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া হচ্ছে। সাধারণভাবে মুখে স্ক্রিপ্ট বলে এআই এর মাধ্যমে মনের মত ছবি তৈরি করে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। যার জন্য শিল্পী থেকে শুরু করে সাধারণ ব্যবহারকারী পর্যন্ত এটিকে কাজে লাগাচ্ছেন। 

মোবাইল দিয়ে AI ফটো এডিট করার সেরা কিছু অ্যাপ

বর্তমান সময়ে photo editing এর জন্য মোবাইল অ্যাপ অধিক পরিবারের ব্যবহৃত হচ্ছে। কেননা দৈনন্দিন জীবনে প্রায় প্রতিটি ব্যক্তি তাদের পিক সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য মোবাইল ফটো এডিটিং অ্যাপ ব্যবহার করে থাকে।আপনিও যদি মোবাইল দিয়ে খুব সুন্দর এবং আকর্ষণীয় ভাবে ফটো এডিট করতে চান তবে আমি কিছু সেরা অ্যাপের তথ্য আপনাকে বলে দিচ্ছি। যেগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সুন্দর এবং আকর্ষণীয়ভাবে আপনার ফটো এডিট করতে পারবেন। 

1) Snapseed: 
Snapseed গুগলের এমন এক ধরনের ফটো এডিটিং অ্যাপ যা AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফটোকে চমৎকার এবং সুন্দর কালারিং করে দেয়। কেননা এতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের টুলস। যেটা আপনার ফটোগ্রাফিকে আরো বেশি উন্নত করে দেয়।এই অ্যাপে দ্রুত এডিট করা যায়। তাই আপনি চাইলে এটিকে মোবাইলের একটি সেরা অ্যাপ বলে মনে করতে পারেন। 

2) Adobe photoshop express: 
এডোবির এই অ্যাপে একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে এটি দ্রুত ফটো এডিটিং এর জন্য প্রিসেট ফটো ফিল্টার দিয়ে থাকে। এছাড়াও এতে ২০০ প্লাস প্রিমিয়াম প্রিসেট রয়েছে যেগুলো প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের দ্বারা তৈরি। সব মিলিয়ে এটাতে ফটো এডিটিং খুব সহজতর হয়ে থাকে। 

3) Pixlr: 
পিক্সলার এই অ্যাপ দিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজে এবং সুন্দরভাবে ফটো এডিট করা যায়। বিশেষ করে এতে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে বিভিন্ন রকমের ব্যাকগ্রাউন্ড দেওয়া সম্ভব। এছাড়াও এতে বিভিন্ন রকমের সুন্দর সুন্দর ফিল্টার ব্যবহার করা যায় যা আপনার ফটোগ্রাফিকে অনেকটা আকর্ষণীয় করে তুলবে। 

AI ফটো তৈরি করার সেরা ৮ টি অ্যাপ

AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন প্রায় অনেকেই বিভিন্ন রকমের ফটো তৈরি করে থাকে। বিশেষ করে যারা ব্যবসায়ী এবং ইউটিউবার তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়। AI ফটো মোবাইলের সাহায্যে মনের মতো করে তৈরি করার জন্য সেরা কয়েকটি অ্যাপ রয়েছে। নিচে সেগুলো আলোচনা করা হলো। 

সেরা ৮ টি অ্যাপ সমূহ

  1. Dall.e (open ai) 
  2. Adobe Firefly 
  3. Canva 
  4. Fotor
  5. DeepArt 
  6. Runway ML 
  7. Lensa AI 
  8. Prisma 
1. Dall.e (open ai): এই AI অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে টেক্সট থেকে ফটো তৈরি করা সম্ভব। এতে কাস্টমাইজেশন অপশন রয়েছে সাথে এটি ওয়েভ এবং অ্যাপ দুটোই প্লাটফর্মে বিদ্যমান। 

2. Adobe Firefly: এডোবি একটি ফটোশপের এআই চালিত টুল। এই অ্যাপটি বিভিন্ন ধরনের ফটো এডিটিং এবং ডিজাইনের জন্য অন্যতম। এটি খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়। 

3. Canva: এটি খুব পরিচিত একটি অ্যাপ। এটি গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং আই ফটো জেনারেশনের জন্য অধিক কার্যকরী। এই অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজে ফটো জেনারেট করা যায়।  

4. Fotor: এটি একটি AI চালিত ফটো এডিটিং টুল যেটি ব্যবহার করে খুব সহজেই ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন এবং ফটো রিটাচ করা যায়। সাথে রয়েছে এআই ফটো জেনারেশন ফিচার। 


5. DeepArt: এই টুল ব্যবহার করে ফটোকে আর্টের রূপান্তরিত করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে এটি আর্টিস্টিক ফিল্টার এবং এআই পেইন্টিং এর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। 

6. Runway ML: বিশেষ করে যারা কনটেন্ট ক্রেতর তাদের জন্য এটি একটি উন্নত মানের এআই টুল।কেননা এতে এডিটিং ফিচার বিদ্যমান। 

7. Lensa AI: এই AI টি মূলত প্রোফাইল পিকচারের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এআই পাওয়ার্ড ফটো রিটাচ এবং এডিটিং ফিচার রয়েছে যার দ্বারা প্রোফাইল পিকচার খুব সুন্দর ভাবে এডিট করা সম্ভব। 

8. Prisma: প্রিজমা এআই টুল ব্যবহার করে ফটোকে চিত্রকলার মতো করে তৈরি করা সম্ভব। এতে বিভিন্ন রকমের ফিল্টার এবং এ আই অপশন রয়েছে। 

সেরা অ্যাপ গুলোর বৈশিষ্ট্য ও মূল্য তালিকা 

এতক্ষণ আমরা কিভাবে এআই ফটো মনের মত করে তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে দেখলাম। যার মাধ্যমে আমরা সেরা ৮ টি অ্যাপ সম্পর্কে জানলাম।  এখন জানবো এই সেরা ৮ টি অ্যাপের বৈশিষ্ট্য এবং কোন অ্যাপ কিভাবে ব্যাবহার করা সম্ভব। 

1. Dall.e (open ai) 
  • বৈশিষ্ট্যঃ এই AI টুল ব্যবহার এর মাধ্যমে টেক্সট থেকে ফটো তৈরি করা যায়। এছাড়াও এতে বিভিন্ন রকমের শিল্পকর্ম তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে। এতে কাস্টমাইজেশন অপশন রয়েছে। এটি জটিল ডিজাইন তৈরিতে অধিক পারদর্শী। এখান থেকে উচ্চমানের ইমেজ আউটপুট করা সম্ভব। 
  • মূল্যঃ প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণে টোকেন ফ্রি থাকে। তবে এটিতে প্রতি মাসে $১৫ প্রতি ১১৫ ক্রেডিট দিতে হয়। 
2. Adobe Firefly: 
  • বৈশিষ্ট্যঃ AI চালিতো এটি এক ধরনের ফটোশপ টুল। এই টুল ব্যবহার করে জটিল এডিটিং খুব সহজেই করা সম্ভব। এছাড়াও এটি খুব সুন্দর ভাবে ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করতে সক্ষম। এই এআই টুল ব্যবহার করে আর্টিস্টিক ফটো তৈরি করা যায়। বিশেষ করে এটি পেশাদার অথবা গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য অত্যন্ত কার্যকারী। 
  • মূল্যঃ Adobe creative cloud সাবস্ক্রিপশন এর জন্য প্রতি মাসে $২০.৯৯ দিতে হয়। 
3. Canva: 
  • বৈশিষ্ট্যঃ ক্যানভা টুল মূলত এডিটিং ও গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য বিশেষ কার্যকরী। এতে প্রচুর টেমপ্লেট ও ফ্রন্ট এর অপশন রয়েছে। এছাড়াও এতে বিদ্যমান এআই ব্যবহার করে ফটোর ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা সম্ভব। এটি নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য অত্যন্ত সহজ একটি টুল। 
  • মূল্যঃ এখানে ফ্রি এবং প্রিমিয়াম দুটোই বিদ্যামান। প্রিমিয়ারের জন্য $১২.৯৯ প্রতি মাস। 
4. Fotor: 
  • বৈশিষ্ট্যঃ এই টুল ব্যবহার করে এআই চালিত রিটাচিং এবং ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। এতে ফটো এডিটিং এর জন্য প্রচুর পরিমাণে ফিল্টার রয়েছে। যেগুলার মাধ্যমে খুব সুন্দর করে মনের মত ফটো এডিট করা সম্ভব। এতে ব্যবহারকারী বান্ধব ইন্টার ফ্রেশ রয়েছে। এটি খুব দ্রুত কাজ করে। 
  • মূল্যঃ এতে সীমিত AI ফিচার রয়েছে। তবে এটি প্রিমিয়ারের জন্য $৮.৯৯ প্রতি মাস। 
5. DeepArt: 
  • বৈশিষ্ট্যঃ এই AI টুল ফটোকে চিত্রকলায় রূপান্তর করতে সক্ষম। অর্থাৎ এতে আর্টিস্টিক ফিল্টার রয়েছে যেটা ফটোকে খুব সহজেই চিত্র কলায় রূপান্তর করে দেই। এই টুলে বিখ্যাত শিল্পীদের স্টাইল ব্যবহৃত হয়। খুব সহজে এতে সৃজনশীল চিত্র তৈরি হয়। 
  • মূল্যঃ ফ্রিতে কম ফটো আউটপুট করা যায়। প্রিমিয়াম ভার্সন প্রতি মাসে $৫.৯৯ থেকে শুরু। 
6. Runway ML: 
  • বৈশিষ্ট্যঃ এটি এক ধরনের ফটো এবং ভিডিও এডিটিং টুল। যেখানে এআই ব্যবহার করে রিয়েল টাইম ইমেজ মডিফিকেশন করা হয়। এছাড়াও এতে উন্নত মানের ইমেজ ও কাস্টমাইজেশন রয়েছে। বিশেষ করে যারা পেশাদার কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাদের জন্য এটি বিশেষ কার্যকরী। 
  • মূল্যঃ এখানে সীমিত প্রজেক্ট ও স্টোরেজ রয়েছে। এর প্রিমিয়াম ভার্সন $১২ প্রতি মাস। 
7. Lensa AI: 
  • বৈশিষ্ট্যঃ এই এআই টুল টি প্রোফাইল পিকচার এডিটিং এবং রিটাচিং এ বিশেষ কার্যকরী। এখানে AI চালিত রিয়েল টাইম ফিল্টার রয়েছে। এটি অনেক দ্রুত এডিটিং করে থাকে। পাশাপাশি এটি ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ এবং আনন্দদায়ক। 
  • মূল্যঃ ফ্রি ভার্সনে সীমিত ফিচার রয়েছে। এর প্রিমিয়াম ভার্সন $৭.৯৯ প্রতি মাস এবং $২৯.৯৯ প্রতি বছর।
8. Prisma: 
  • বৈশিষ্ট্যঃ এটি ফটোকে চিত্রকলার মতো করে পরিবর্তন করে দেয়। এতে বিভিন্ন রকমের স্টাইল এবং থিম রয়েছে। যা মন মত ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও এটি খুব সহজেই আর্টিস্টিক ফটো তৈরি করে থাকে। এটি বা ডেস্কটপ দুই ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়। 
  • মূল্যঃ এতে সীমিত ফিল্টার ফ্রি রয়েছে। তবে এর প্রিমিয়াম ভার্সন $৪.৯৯ প্রতি মাস এবং $১৯.৯৯ প্রতি বছর। 

AI ফটো এডিট করার ইউনিট কিছু অ্যাপ

AI ফটো তৈরি করুন মনের মতো- সেরা ৮ টি অ্যাপ
1. Remini: 
  • বৈশিষ্ট্যঃ এই অ্যাপের মাধ্যমে উচ্চমানের ছবি পুনরুদ্ধার ও উন্নত করা হয়ে থাকে। এছাড়া রিমিনি অ্যাপের বিশেষ দিক হলো এটি পুরনো ছবি, ঝাপসা ছবি এবং নিম্নমানের ছবিকে HD তে রূপান্তর করে দেয়। 
  • মূল্যঃ এখানে ফটো উন্নত করার জন্য সীমিত ফ্রি ফিচার রয়েছে। এর প্রিমিয়াম ভার্সন প্রতি মাস $৪.৯৯ এবং প্রতি বছর $২৯.৯৯ । 
2. FaceApp: 
  • বৈশিষ্ট্যঃ ফেস অ্যাপে AI টুল ব্যবহার করে মুখের ফিচার পরিবর্তন করা সম্ভব। এছাড়াও বয়স কমানো ও বাড়ানো যায় এবং স্টাইল পরিবর্তনীয়। বিশেষ করে এটি সেলফি বা পোর্ট্রেট ছবি এডিট করতে অধিক কার্যকরী। 
  • মূল্যঃ এতে সামান্য পরিমাণে ফ্রি এডিটিং টুল ও ফিল্টার রয়েছে। এর প্রিমিয়াম ভার্শন প্রতিমাসে $৪.৯৯ এবং প্রতি বছরে $২৯.৯৯ । আজীবনের জন্য $৬৯.৯৯। 
3. Snapseed: 
  • বৈশিষ্ট্যঃ এটি গুগলের একটি অ্যাপ যা পেশাদার মানের ফটো এডিটিং টুল ব্যবহার করে থাকে।এছাড়াও এতে এআই ব্যবহার করে ফিল্টার এবং টিউনিং এর অপশন রয়েছে। 
  • মূল্যঃ এই অ্যাপটির সকল ফিচার বিনামূল্যে পাওয়া যায়। 
4. PicsArt: 
  • বৈশিষ্ট্যঃ এতে সহজে ফটো এডিটিং টুল রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের ফিল্টার এবং ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভার রয়েছে যার মাধ্যমে খুব সহজেই একটি ফটোকে আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব। এছাড়াও এতে স্টিকার এবং টেক্সট এড করার ফিচার রয়েছে। 
  • মূল্যঃ ফটো এডিটিং এর জন্য অনেক ফিচার ফ্রিতে পাওয়া যায়। তবে এর প্রিমিয়াম ভার্সন প্রতি মাসে $১১.৯৯ এবং প্রতি বছরে $৫৫.৯৯। 
5. PhotoRoom: 
  • বৈশিষ্ট্যঃ এই এ আই টুল এর বিশেষত্ব হলো ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করতে এটি অধিক কার্যকরী।এছাড়াও এটি পণ্য ফটোগ্রাফি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ফটো প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 
  • মূল্যঃ ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ এবং কিছু ফ্রী ফিচার রয়েছে। এছাড়া এর প্রিমিয়াম ভার্সন প্রতি মাস $৯.৯৯ এবং প্রতি বছর $৬৯.৯৯। 

AI টুল ব্যবহারে সমস্যা এবং সমাধান 

AI প্রতিনিয়ত ব্যবহারে যেমন অনেক সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি এর সাধারণ কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই জন্য সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সঠিক নিয়ম ব্যবহার করে নৈতিকতার সাথে কাজ করলে AI এর মাধ্যমে অনেক ভালো সম্ভাবনা পাওয়া সম্ভব।তাহলে চলুন জেনে নিই AI টুল ব্যবহারে কি কি সমস্যা রয়েছে এবং এর সমাধানের উপায় গুলো কি কি। 

AI ব্যবহারের সমস্যাগুলো 
গোপনীয়তার সমস্যাঃ এআই টুলগুলো তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। যার কারণে তথ্যের অপব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।এছাড়াও এটি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রক্রিয়াকরণে ঝুঁকি থাকতে পারে।


বৈচিত্রের অভাবঃ AI টুলগুলোতে ব্যবহৃত ভাষা অনেক সময় বিভিন্ন ভাষা বা সংস্কৃতির সাথে মিলাতে পারে না। যার ফলে বিভিন্ন কন্টেন্টে ব্যবহারের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে বলা যায় AI টুলে স্থানীয় ভাষার এডিটিং এবং উন্নত ফিচারের অভাব রয়েছে। 

AI এর অপব্যবহারঃ AI টুলগুলো বিভিন্ন ধরনের তথ্য তৈরি করতে পারে। যার মাধ্যমে অনেকেই এর অপব্যবহার করে থাকে। বিশেষ করে ফটো বা ভিডিও এডিটিং টুলগুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট তৈরি করা সম্ভব হয়। 

জটিলতা ও উন্নত ফিচারঃ কিছু কিছু এআই টুল ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হয়। যার জন্য এটা অনেকেই খুব সহজে ব্যবহার করতে পারে না। এছাড়াও AI টুলের প্রিমিয়াম ভার্সন ব্যবহার করার জন্য উচ্চ মাত্রার সাবস্ক্রিবশন ফী দেওয়া লাগে। 

AI ব্যবহারের সমস্যাগুলোর সমাধান
গোপনীয়তা রক্ষাঃ AI টুল ব্যাবহারের আগে অবশ্যই প্রাইভেসি পলিসি সম্পর্কে পড়ুন। আপনার ব্যক্তিগত যেটা আপলোড করার পূর্বে সতর্ক থাকুন। এর বিকল্প পদ্ধতিতে কৃত্রিম ডেটা ব্যবহার করতে পারেন। 

বৈচিত্র বৃদ্ধিঃ স্থানীয় ভাষায় ব্যবহারের জন্য টুল ডেভেলপমেন্ট এ গুরুত্ব দিতে পারেন। এছাড়াও নির্দিষ্ট ভাষা সংস্কৃতির ব্যবহারকারীদের জন্য টোল অপটিমাইজ করতে পারেন।  

AI অপব্যবহার রোধঃ AI টুল ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর নৈতিক নিয়মাবলী মেনে চলুন। কোন রকমের খারাপ কাজে এটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তিকর কন্টেন্ট এড়াতে এর সোর্স যাচাই করুন। 

সহজ ইন্টারফেস ডিজাইনঃ বিশেষ করে যারা এআই টুল ব্যবহার করে তাদের জন্য ইন্টারফেস সহজ এবং ব্যবহারের উপযুক্ত হওয়া উচিত। এছাড়াও এতে বিভিন্ন রকমের শিখন টিউটোরিয়াল সংযুক্ত করা উচিত। 

উচ্চ খরচের বিকল্প পদ্ধতিঃ AI টুল ব্যবহার এর ক্ষেত্রে ফ্রী ওপেন সোর্স ব্যবহার করতে পারেন।এছাড়াও বিশেষ এডিটিং এর জন্য স্বল্প মেয়াদে সাবস্ক্রিপশন গ্রহণ করুন। 

ফটো এডিটিং AI অ্যাপ এর ভবিষ্যৎ প্রবণতা

ফটো এডিটিং প্রযুক্তি AI এটি আরো উল্লেখযোগ্য ভাবে উন্নত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এটির আরো বিস্তৃতি ব্যবহার দেখা দিবে। বর্তমানে AI ফটো এডিটিং এর টুলগুলো ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ, ফিল্টার প্রয়োগ এছাড়াও আরো কয়েক রকমের কাজ খুব দ্রুত এবং আকর্ষণীয়ভাবে করছে। সেই সব দিক বিবেচনা করে বলা যায়, এটি ভবিষ্যতে এমন সক্ষমতা অর্জন করবে যেখানে ব্যবহারকারীরা প্রাথমিক নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পূর্ণ একটি ডিজাইন বা এডিট খুব সহজেই তৈরি করতে সক্ষম হবে। 

পাশাপাশি AI ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ মত এডিটিং এখানে আবদার করতে পারবে। শীঘ্রই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ফটো এডিটিং এর ক্ষেত্রে জেনারেটিভ এআই এর মতো এমন কিছু প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করবে যা আমাদের একটি সাধারন ছবিকে উচ্চমানের 3D মডেলে রূপান্তর করা অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে। এছাড়াও AI এর জেনারেটিভ মডেল যেমন DALL.E এর উদাহরণ অনুযায়ী, ভবিষ্যতের ফটো এডিটিং টুলগুলো কল্পনার মত ডিজাইনও তৈরি করতে সক্ষম হবে। 

তাহলে এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে, AI ফটো এডিটিং এর দিক দিয়ে ভবিষ্যতে কোন মাত্রায় পৌঁছাতে পারে। এটি বিশেষভাবে পেশাদার ফটোগ্রাফার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার এবং মার্কেটিং বিশেষজ্ঞদের কাজকে নতুন মাত্রা এনে দেবে। এছাড়াও AI ব্যক্তিগতভাবে ফটো এডিটিং এর জন্য কাস্টম মডেল তৈরীর প্রবণতা বাড়াবে। ভবিষ্যতে AI ফটো এডিটিং এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবে যেখানে সৃজনশীলতার কোন সীমা থাকবে না। 

AI অ্যাপ দিয়ে কার্টুন ফটো তৈরি

বর্তমানে AI প্রযুক্তি ফটো এডিটিং এর পাশাপাশি কার্টুন ক্রিয়েশন কে অনেক সহজ এবং আকর্ষণীয় করে তুলেছে। সেজন্য কল্পনাপ্রসূত কাটুন ফটো তৈরি আগের চেয়ে এখন অনেক সহজে করা সম্ভব। AI ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপস গুলো  আজকাল স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে আপনার সাধারণ কোন ছবিকে চমৎকারভাবে একটি কাটুন ছবিতে রূপান্তরিত করে দিতে সক্ষম। তো চলুন দেখে নেই কোন অ্যাপস গুলো ব্যবহার করে এআই ভিত্তিক কার্টুন ফটো তৈরি করা সম্ভব। 

1. ToonApp: 
  • বৈশিষ্ট্যঃ ToonAPP এমন এক ধরনের AI ভিত্তিক অ্যাপ যা আপনার ফটোকে খুব সহজেই কার্টুন স্টাইলে রূপান্তরিত করে দেবে। বিশেষ করে এটি ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন, ড্রিপ ইফেক্ট এবং আর্ট ফিল্টার দিয়ে থাকে। 
  • যেভাবে তৈরি করবেনঃ প্রথমে একটি ডাউনলোড অথবা ইন্সটল করুন। এরপরে আপনি যে ফটোতে কার্টুন এ রূপান্তর করতে চান সেই ফটো সেখানে আপলোড করুন। সেখানে আপনার পছন্দমত কার্টুন ফিল্টার এড করুন। এরপরে পছন্দ মত ইফেক্ট ব্যবহার করুন এবং সবশেষে ফটোটি ডাউনলোড করে নিন। 
2. Cartoonify: 
  • বৈশিষ্ট্যঃ Cartoonify এটি এক ধরনের ফ্রি ওয়েব টুল। যা আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে। এই টুলটি দ্রুত এআই ফটো তৈরি করতে সক্ষম। 
  • যেভাবে তৈরি করবেনঃ শুরুতে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে ঢুকে Cartoonify ওয়েব সাইটে যান।এরপরে আপনার পছন্দের ফটো আপলোড করুন। সাথে আপনার পছন্দমত ইফেক্ট এড করুন।সবশেষে ফটোটি ডাউনলোড করে নিন। 
3. PicsArt: 
  • বৈশিষ্ট্যঃ PicsArt এর AI চুল ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি কার্টুন ইফেক্ট তৈরি করতে পারবেন।এছাড়াও এটি ব্যাকগ্রাউন্ড এবং টেক্সট যোগ করার মত বৈশিষ্ট্য দিয়ে থাকে। 
  • যেভাবে তৈরি করবেনঃ PicsArt অ্যাপটি খুলুন এবং সেখানে একটি ফটো আপলোড করুন মন মত।একটু খেয়াল করে দেখবেন সেখানে "Magic Effects" নামে একটি অপশন আছে। সেখানে যান এবং কার্টুন স্টাইল নির্বাচন করুন। এডিট শেষ সম্পন্ন হলে ফটোটি ডাউনলোড করে নিন। 

AI এর মাধ্যমে ফটো থেকে অপ্রয়োজনীয় বস্তু রিমুভ

AI ফটো তৈরি করুন মনের মতো- সেরা ৮ টি অ্যাপ
বিভিন্ন রকমের AI টুল রয়েছে যেগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ফটো থেকে অপ্রয়োজনে বস্তু রিমুভ করা সম্ভব। মূলত একটি ফটো থেকে অপ্রয়োজনীয় বস্তুর রিমুভ করার পরে ছবিটি দেখতে অনেক স্মার্ট এবং আকর্ষণীয় লাগে। তো চলুন জেনে নিই কিভাবে এবং কোন AI টুল ব্যবহারের মাধ্যমে একটি ফটো থেকে খুব সুন্দর ভাবে অপ্রয়োজনীয় বস্তু রিমুভ করা যায়। 

1. Adobe Photoshop: 
  • বৈশিষ্ট্যঃ এডোবি ফটোশপের Content-aware fill টুল ফটো থেকে অপ্রয়োজনীয় বস্তু খুব সহজে রিমুভ করার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। কেননা এটি ফটোকে সুনির্দিষ্ট ভাবে অপ্রয়োজনীয় বস্তুগুলো মুছে দিয়ে প্রাকৃতিক পূরণ প্রদান করে থাকে। 
  • যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ প্রথমে এডোবি ফটোশপে প্রবেশ করুন এবং যে ফটো থেকে অপ্রয়োজনীয় বস্তু রিমুভ করতে চান সেই ফটোটি আপলোড করুন। অতঃপর "Lasso Tool" দিয়ে অবাঞ্ছিত বস্তুকে সিলেক্ট করুন। এরপর এডিট ম্যানুতে যান এবং "Content-aware fill" অপশন নির্বাচন করুন। এবার ফটোটি সেভ করে নিন। 
2. SnapEdit: 
  • বৈশিষ্ট্যঃ স্ন্যাপ এডিট একটি স্মার্ট ফোন অ্যাপ হওয়ায় যারা মোবাইলে ব্যাকগ্রাউন্ডের অপ্রয়োজনে বস্তু রিমুভ করতে চান তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা জনক। এতে আপনি এআই ফটো এডিট এবং ব্যাকগ্রাউন্ড এর অপ্রয়োজনীয় বস্তু রিমুভ দুইটাই করতে পারবেন। 
  • যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ শুরুতে আপনাকে SnapEdit অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে।এরপরে সেই ফটোটি আপলোড করুন যে ফটো থেকে আপনি অবাঞ্ছিত বস্তু সরাতে চান। সেখানকার "Remove object" অপশনে ক্লিক করে মুছে ফেলুন। সম্পাদিত ফাইটি সেভ করে নিন। 

সবশেষে আমার মন্তব্য

আপনি হয়তো এটা জানেন যে AI অ্যাপগুলো বর্তমান যুগে বিশেষ করে ফটো এডিটিং এর ক্ষেত্রে এক নতুন বিপ্লব এনে দিয়েছে। কেননা বিভিন্ন রকমের AI অ্যাপগুলো ব্যবহার করে একটি সুন্দর ফটো এডিটিং, ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে অপ্রয়োজনীয় সমস্ত বস্তু রিমুভ করা এবং ফটো থেকে সুন্দর সুন্দর কার্টুন ফটো তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। যেইগুলো সমস্ত প্রসেস নিয়ে আমি ইতোমধ্যে এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। 

আমি আশা রাখছি আপনি যদি পুরো আর্টিকেল খুব সুন্দর ভাবে পড়ে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আপনি AI ব্যবহার করে যে কোন রকমের ফটো মন মতো তৈরি করে নিতে পারবেন। তবে AI অ্যাপ গুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে ছবির মান, প্রাইভেসি, এডিটিং এর স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি নিয়ম মেনে সঠিকভাবে এই অ্যাপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন তবে সেটা আপনার জন্য এক নতুন দক্ষতার পরিপূরক হবে। 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

হ্যাপিনেস ভ্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url